অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূ-পৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোন বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে। অভিকর্ষজ ত্বরণের মান পৃথিবীর কেন্দ্র হতে বস্তুর দূরত্বের উপর নির্ভর করে। একে ‘g’ দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
এখানে, G= মহাকর্ষ ধ্রুবক, M= পৃথিবীর ভর এবং d= পৃথিবীর কেন্দ্র হতে বস্তুর দুরত্ব
কী কী কারণে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান পরিবর্তন হয়?
অভিকর্ষজ ত্বরণ ‘g’ কোনো ধ্রুব সংখ্যা নয়। স্থানভেদে এর পরিবর্তন হয়। নিম্নোক্ত তিনটি কারণে g এর পরিবর্তন হয়।
১. উচ্চতার ক্রিয়া,
২. অক্ষাংশ ক্রিয়া,
৩. পৃথিবীর ঘূর্ণন ক্রিয়া।
অভিকর্ষজ ত্বরণকে সমত্বরণ বলা যায় কেন?
কোনো বস্তুর বেগ যদি নির্দিষ্ট দিকে সব সময় একই হারে বাড়তে থাকে তাহলে সেই ত্বরণকে সুষম বা সমত্বরণ বলে। আবার আমরা জানি, অভিকর্ষ বলের প্রভাবে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনো বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে। এ সংজ্ঞা থেকে ‘সুস্পষ্ট যে, পড়ন্ত বস্তু নির্দিষ্ট দিক অর্থাৎ নিচের দিকে যখন পড়ে তখন বেগ সবসময় একই হারে বাড়তে থাকে। তাই, অভিকর্ষজ ত্বরণকে সমত্বরণ বলা যায়।
অভিকর্ষজ ত্বরণের প্রভাব
বস্তুর ওজনের উপর অভিকর্ষজ ত্বরণের প্রভাব রয়েছে। নির্দিষ্ট ভরের কোনো বস্তুর ওজন অভিকর্ষজ ত্বরণের মানের উপর নির্ভরশীল। যেমন কোনো বস্তুর ভর ১০০ কেজি হলে বিষুব অঞ্চলে বস্তুটির ওজন হতো ১০০ × ৯.৭৮ = ৯৭৮ নিউটন এবং মেরু অঞ্চলে বস্তুটির ওজন হবে ১০০ × ৯.৮৩ = ৯৮৩ নিউটন।