HomeBlogকিভাবে সফল ইউটিউবার হওয়া যায়?

কিভাবে সফল ইউটিউবার হওয়া যায়?

এ সময়ে ভিডিও মানেই যেন ইউটিউব (YouTube)। এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যিনি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন অথচ ইউটিউব ব্যবহার করেন না। শিক্ষা, বিনোদন, খেলা, সংবাদ, প্রযুক্তি, সাজসজ্জা, রান্না ও ভ্রমণ থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের ভিডিও রয়েছে ইউটিউবে। ইউটিউব যেমনি শিক্ষা-বিনোদনের এক অনন্য মাধ্যমে পরিণত হয়েছে, তেমনি ইউটিউব বর্তমান সময়ে অর্থ উপার্জনেরও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করে আপনি যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন, তেমনই আয় করতে পারেন।

সফল ইউটিউবার হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ও সততার পরিচয় দিতে হবে। আপনার ভিডিওর বিষয়বস্তু হতে হবে স্বতন্ত্র বা Unique । চ্যানেল তৈরি করার সঙ্গে সঙ্গেই হাজার হাজার ভিউ ও সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে অথবা হাজার হাজার টাকা আয় হবে— এটা ভাবা ঠিক নয়। সফলতার জন্য সময় ও শ্রম দিতে হবে।

 

চ্যানেলের বিষয়

প্রথমেই ঠিক করতে হবে আপনি কোন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন। যেমন শিক্ষা, বিনোদন, প্রযুক্তি, রান্না, ফ্যাশন, ভ্রমণ, মজার ভিডিওসহ নানা বিষয় নিয়ে ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করতে পারেন। তবে যেকোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে চ্যানেল তৈরি করলে দর্শকের কাছে তা বেশি গ্রহণযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এখন ভিডিও ব্লগ বা ব্লগিংও বেশ জনপ্রিয়।

 

চ্যানেলের নাম

আপনার ভিডিওর বিষয়ের সঙ্গে মিল রেখে চ্যানেলের একটি Unique নাম দিতে পারেন। চ্যানেল ট্যাগ ব্যবহার করুন; যা আপনার চ্যানেলটি খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।

 

আয়

ইউটিউবের আয় মূলত পরোক্ষ আয় (প্যাসিভ ইনকাম)। ইউটিউবের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে যে আয় হয় তার একটি অংশ ভিডিও নির্মাতা বা ক্রিয়েটরকে দেওয়া হয়। এখানে এমন কোনো সমীকরণ নেই যে এক হাজার ভিউ হলে এত ডলার আয় হবে। ইউটিউবে চ্যানেল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ভিডিও মনিটাইজেশন করতে পারবেন না। ইউটিউব থেকে আয় করতে আপনাকে ইউটিউবের পার্টনার প্রোগ্রামে অংশ নিতে হবে। আপনার চ্যানেলটিতে ১২ মাসে কমপক্ষে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার ও চার হাজার ঘণ্টা ওয়াচটাইম থাকলে, তা মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করা যাবে। তবে আপনার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বেশি থাকলে এবং ভিডিও ভিউ অনেক বেশি হলে ইউটিউবের আয়ের বাইরে আপনি স্পন্সরও জোগাড়ের চেষ্টা করতে পারেন। বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ বা পর্যালোচনা করেও আয় করা যায়।

 

কীভাবে ভিউ বাড়াবেন

আপনার ভিডিওতে যথাযথ ও আকর্ষণীয় শিরোনাম ও থাম্বনেইল যুক্ত করুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে ভিডিওর দর্শকের সংখ্যা (ভিউ) বাড়াতে পারেন। ইউটিউবে ভিডিও প্রকাশের (আপলোড) সময় এন্ড স্ক্রিনে অন্য ভিডিও বা প্লে লিস্ট যুক্ত করুন। সঠিক ভিডিও ডেসক্রিপশন যোগ করুন। বিভাগ অনুসারে ভিডিওগুলো প্লে লিস্টে সাজান। প্রাসঙ্গিক ভিডিও ট্যাগ ব্যবহার করুন। ট্যাগ রিসার্চে TubeBuddy আথবা VidIQ–এর মতো টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তা ছাড়া আপনি পেইড বুস্টও (বিজ্ঞাপন) করতে পারেন।

 

সতর্কতা

আপনাকে অবশ্যই Copyright ও Community Guidelines মানতে হবে। এ নির্দেশনাগুলো না মানলে আপনার মনিটাইজেশন (আয়) বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এমনকি আপনার চ্যানেলটি বন্ধও হতে পারে। কপিরাইট ও কমিউনিটি গাইডলাইনের তিনটি স্ট্রাইক থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একেকটি স্ট্রাইকের জন্য ভিডিও মুছে যাওয়া, লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ হওয়া, ভিডিও আপলোড করতে না পারার মতো ঘটনা ঘটে। আর তৃতীয় স্ট্রাইকে চ্যানেল বন্ধ করা হয়। তবে আপনি যদি মনে করেন, আপনার কপিরাইট স্ট্রাইকটি ভুল করে দেওয়া হয়েছে— তাহলে কাউন্টার নোটিফিকেশন দিতে পারেন।

 

কীভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন ও সাজাবেন?

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন–

ধাপ-১ : youtube.com–এ যান। ওপরে ডান পাশে Sign In–এ ক্লিক করে gmail দিয়ে Sign In করুন।

ধাপ-২ : ওপরে ডান পাশের গোল চ্যানেল আইকনে ক্লিক করে My Channel এ ক্লিক করুন। Use YouTube as… বক্স আসবে। দুই শব্দের চ্যানেল নাম হলে তা দুটি ঘরে লিখে ফেলুন। আর দুই শব্দের চ্যানেল নাম না হলে নিচের Use a business or other name এ ক্লিক করে পছন্দমতো চ্যানেল নাম লিখে Create Channel এ ক্লিক করে চ্যানেল তৈরি করুন।

ধাপ-৩ : সবার ওপরে ডান পাশে Create a video or post–এ (ক্যামেরার ওপর যোগ চিহ্ন দেওয়া আইকন) ক্লিক করলে Upload video এবং Go live অপশন পাবেন। এখান থেকে ভিডিও আপলোড করুন। শিডিউল পোস্টও করতে পারেন। ভিডিও টাইটেল, ভিডিও ডেসক্রিপশন, ট্যাগ, থাম্বনেইল ও প্লে লিস্ট যুক্ত করে Publish–এ ক্লিক করে ভিডিও পাবলিশ করুন।

ধাপ-৪ : My Channel থেকে Customize Channel এ ক্লিক করে Channel Icon এবং Channel Art যোগ করুন। Channel Trailer যোগ করুন। হোম পেজ সাজান। প্লে লিস্ট তৈরি করুন।

ধাপ-৫ : About এ ক্লিক করে চ্যানেল ডেসক্রিপশন, ই-মেইল, লোকেশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের লিংক যোগ করুন।

ধাপ-৬ : Status and Features এর পাশের Verify অপশনে ক্লিক করে মোবাইল নম্বর দিয়ে চ্যানেলটি অবশ্যই ভেরিফাই করে নিন।

ধাপ-৭ : Channel থেকে Branding এ ক্লিক করে চ্যানেল ব্র্যান্ডিং করুন।

ধাপ-৮ : Video Manager থেকে End Screen & Annotation যোগ করুন। Analytics থেকে বিভিন্ন তথ্য দেখে নিতে পারেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments