তড়িৎ বলরেখা কাকে বলে? তড়িৎ বলরেখার ধর্ম কি কি?

Uncategorized

তড়িৎক্ষেত্র সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য মাইকেল ফ্যারাডে তড়িৎ বলরেখার অবতারণা করেন।

কোনো তড়িৎক্ষেত্রে একটি ধনাত্মক আধান স্থাপন করলে এটি একটি বল লাভ করবে। যদি আধানটি মুক্ত হয় তবে সেটি এই বল লাভের ফলে স্থির না থেকে একটি নির্দিষ্ট পথে চলবে। ধনাত্মক আধানটির এই চলার পথই বলরেখা। বলরেখার বাস্তব কোনো অস্তিত্ব নেই। এই রেখাগুলো কাল্পনিক। বলরেখা থেকে তড়িৎক্ষেত্রের প্রাবল্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তড়িৎক্ষেত্রের বলরেখাগুলো এমন হয় যে তড়িৎ বলরেখার কোনো বিন্দুতে অঙ্কিত স্পর্শক ঐ বিন্দুতে একটি ধনাত্মক আধানের উপর ক্রিয়াশীল লব্ধি বলের দিক অর্থাৎ প্রাবল্যের দিকে নির্দেশ করে। তড়িৎক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে বলরেখাগুলোর সাথে লম্বভাবে অবস্থিত একক ক্ষেত্রফল পরিমিত স্থানের মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত বলরেখার সংখ্যা ঐ বিন্দুর প্রাবল্যের মানের সমানুপাতিক।

 

তড়িৎ বলরেখা কাকে বলে?

তড়িৎক্ষেত্রে একটি মুক্ত ধনাত্মক আধান স্থাপন করলে এটি যে পথে পরিভ্রমণ করে তাকে তড়িৎ বলরেখা বলে।

বলরেখাগুলো কাল্পনিক এবং তড়িৎক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে তড়িৎ তীব্রতার পরিমাপ ও দিক ব্যাখ্যা করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

 

তড়িৎ বলরেখার ধর্ম

তড়িৎ বলরেখার নিম্নলিখিত ধর্মগুলো দেখা যায়–

  • তড়িৎ বলরেখা খোলা বক্ররেখা।
  • তড়িৎ বলরেখাগুলো ধনাত্মক আধান থেকে বের হয়ে ঋণাত্মক আধানে শেষ হয়। পরিবাহীর অভ্যন্তরে কোনো বলরেখা থাকে না।
  • বলরেখা ধনাত্মকভাবে চার্জিত পরিবাহীর পৃষ্ঠ থেকে লম্বভাবে বের হয় এবং ঋণাত্মকভাবে চার্জিত পরিবাহীর পৃষ্ঠের সাথে লম্বভাবে প্রবেশ করে।
  • বলরেখারগুলো পরস্পরের উপর আড়াআড়িভাবে প্বার্শ চাপ প্রয়োগ করে এবং কখনো পরস্পরকে ছেদ করে না।
  • বলরেখারগুলো স্থিতিস্থাপক সুতার ন্যায় দৈর্ঘ্য বরাবর সংকুচিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *