HomeBlogবর্ণ কাকে বলে? ধ্বনি এবং বর্ণের মধ্যে পার্থক্য কি?

বর্ণ কাকে বলে? ধ্বনি এবং বর্ণের মধ্যে পার্থক্য কি?

কতকগুলো ধ্বনির সাহায্যে আমরা মনের ভাব প্রকাশ করে থাকি। কিন্তু মনের ভাব লিখে প্রকাশ করতে হলে প্রতিটি ধ্বনির জন্য এক একটি সংকেত বা চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়। ধ্বনির পরিবর্তে ব্যবহৃত এসব সংকেত বা চিহ্নকে বর্ণ বলে। যেমন- বাংলায় অ, আ, ক, খ এবং ইংরেজিতে a, b, c, d ইত্যাদি। অর্থাৎ, ভাষাকে লিখে প্রকাশ করার জন্য যেসব সংকেত বা চিহ্ন ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে বর্ণ বলে।

 

ব্যঞ্জনবর্ণ ও যুক্তবর্ণ কাকে বলে?

ব্যঞ্জনবর্ণঃ ব্যঞ্জনধ্বনি প্রকাশের জন্য যেসব বর্ণ ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলে। এ বর্ণগুলো অন্য কোনো বর্ণের সাহায্য ছাড়া নিজে নিজে উচ্চারিত হতে পারে না। বিশ্বের প্রতিটি ভাষাতেই এধরনের কিছু বর্ণ রয়েছে। বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা মোট ৩৯টি।

যুক্তবর্ণঃ দুই বা ততােধিক ব্যঞ্জনবর্ণ একত্রে মিলিত হয়ে যে নতুন ব্যঞ্জনবর্ণ গঠন করে, তাকে যুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষর বলে। যেমন– স্ক (স + ক), ক্ত (ক + ত), ন্দ (ন+ দ), ষ্ঠ (ষ + ঠ) ইত্যাদি।

বাংলা ভাষায় যুক্তবর্ণের সংখ্যা অনেক। যুক্তবর্ণকে সংযুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষরও বলা হয়। যুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষরগুলাে কখনাে উপর-নিচ, আবার কখনাে বা পাশা-পাশি লেখা হয়।

 

ধ্বনি এবং বর্ণের মধ্যে পার্থক্য কি?

ধ্বনি হলো বর্ণের উচ্চারিত রূপ, অন্যদিকে বর্ণ হলো ধ্বনির লিখিত রূপ।

 

Tags :

  • ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি?
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments