HomeBlogব্লগ তৈরির নিয়ম ও ব্লগ থেকে আয়ের উপায় কি?

ব্লগ তৈরির নিয়ম ও ব্লগ থেকে আয়ের উপায় কি?

আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমি আলোচনা করবো ব্লগ কিভাবে তৈরি করবেন এবং ব্লগ থেকে আয় করার উপায় নিয়ে?; তো চলুন শুরু করি আজকের আলোচনা….।

এই আর্টিকেলে যা থাকছে–

  • ব্লগ কি বা কাকে বলে? (What is Blog in Bengali?)
  • ব্লগ তৈরির নিয়ম কি?
  • ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম করার উপায় কি?
  • বাংলা ব্লগ তৈরির নিয়ম কি?
  • বাংলা ব্লগ থেকে আয়ের উপায় কি?
  • ব্লগার ও ওয়ার্ডপ্রেস থেকে আয় করার উপায় কি?
  • ব্লগ সাইট তৈরির নিয়ম কি?

ব্লগ কি বা কাকে বলে? (What is Blog in Bengali?)

Blog অর্থ দিনলিপি। অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য লিপিবদ্ধের ওয়েব পেজ বা ওয়েব পৃষ্ঠাকে ওয়েবব্লগ (Webblog) বা সংক্ষেপে ব্লগ (Blog) বলে। ব্লগ একটি ডায়েরির মত। ডায়েরিতে যেমন প্রতিদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়, ব্লগ বা ব্লগ সাইটে তেমনি ঘটে যাওয়া ঘটনা লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়। ব্লগের ধারণা বর্তমানে ব্যাপক ও বিস্তৃত। শুধু প্রতিদিনকার ঘটনা নয়, বর্তমানে ব্লগে ব্যক্তিগত তথ্য লিপিবদ্ধের পাশাপাশি জ্ঞান, বিজ্ঞান, দর্শনসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড এমনকি গবেষণা মূলক তথ্য সংরক্ষণ ও প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এটি একটি সংবাদপত্রের মত। তাই ব্লগ সাইটকে অনলাইন ভিত্তিক পত্রিকা বলা হয়ে থাকে। ব্লগে প্রকাশিত তথ্যকে কন্টেন্ট (Content) বলে। ব্লগের অন্যতম সুবিধা হলো, ব্লগে প্রকাশিত কন্টেন্টে পাঠক মন্তব্য করতে পারে, এটি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এবং এর পাঠক বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত। যে ব্লগ লেখে তাকে ব্লগার (Blogger) বলা হয়ে থাকে এবং ব্লগ লেখার কাজকে  ব্লগিং (Blogging) বলে।

 

ব্লগ তৈরির নিয়ম বা ব্লগ সাইট খোলার নিয়মঃ

ব্লগ সাইট তৈরি বা ব্লগ সাইট খোলা খুবই সোজা। ব্লগ সাইট খোলার দুটি নিয়ম রয়েছে-

১. ফ্রিতে ব্লগ সাইট খোলার নিয়ম

২. অর্থের বিনিময়ে ব্লগ সাইট খোলার নিয়ম

 

ফ্রিতে ব্লগ সাইট খোলার উপায়ঃ

ফ্রিতে ব্লগ সাইট খুলতে চাইলে সর্ব প্রথম আপনার যা প্রয়োজন তা হল আপনার একটি ইমেইল এড্রেস বা ইমেইল ঠিকানা থাকতে হবে। আমরা যারা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করি তাদের প্রায় সকলের Gmail মেইল এড্রেস রয়েছে। এড্রেসটি  [email protected] এর মতো। যাই হোক ফ্রিতে ব্লগ সাইট খুলতে প্রথমে ইমেইল এড্রেস থাকতে হবে। ইমেইল এড্রেস খোলা না থাকলে ইমেইল এড্রেস খুলতে এখানে ক্লিক করুন>>> ।  এরপর হচ্ছে আসল কাজ। ফ্রিতে ব্লগিং করতে আপনাকে ফ্রিতে ব্লগ করতে দেয় এমন সাইটে সাইন আপ করতে হবে। বর্তমানে ফ্রিতে ব্লগিং এর জন্য জনপ্রিয় একটি সাইট হল Google এর Blogger সাইট। Blogger সাইটের অপর নাম Blogspot সাইট। Blogger ব্লগে বা সাইটে সাইন আপ করতে বা ফ্রিতে নিজের ব্লগ ক্রিয়েট করতে এখানে ক্লিক করুন>>>।  ব্লগারে ব্লগ খুলতে যে নামে ব্লগ খুলতে চান সেই নামটি আগে থেকে ঠিক করে নিবেন। এর পর যা যা চাইবে সে সকল তথ্য পূরণ করলেই আপনার পছন্দের নামে একটি ব্লগ সাইট খোলা হবে। আপনার ব্লগের নামটি হবে Prosnouttar.blogspot.com এর মতই। ব্লগ খোলার পর blogger.com এ প্রবেশ করে আপনি লেখা শুরু করতে পারবেন। আপনি যা লিখবেন তা সারাবিশ্ব দেখবে। ফ্রি ব্লগ খুলে আয় করতে পারবেন খুব সহজে।

 

অর্থের বিনিময়ে ব্লগ সাইট খোলার নিয়মঃ

অর্থের বিনিময়ে ব্লগ সাইট খুলতে আপনাকে দুটি জিনিস ক্রয় করতে হবে এবং ক্রয় কৃত এ দুটি জিনিস হল –

১. ব্লগের নাম বা ডোমেইন

২. ব্লগের তথ্য রাখার স্থান বা হোস্টিং

ব্যাপারটি হল আপনি একটি বাড়ি করলেন এবং বাড়ির একটি নাম দিলেন এবং মালামাল রাখার জন্য আসবাবপত্র ক্রয় করলেন। আমাদের সাইটের anusoron.com হল সাইটের নাম বা ডোমেইন এবং আপনি যে লেখাটি এখন পড়ছেন তা যে সাইটে  সংরক্ষণ করা আছে সেটি হল আমাদের হোস্টিং সাইট।  অনলাইনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে যারা ডোমেইন নাম বিক্রি করে থাকে। কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা হোস্টিং বিক্রি করে। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা একি সাথে ডোমেইন ও হোস্টিং বিক্রি করে থাকে। ইনটারন্যাশনাল ভাবে ডোমেইন ও হোস্টিং বিক্রি করে এমন একটি জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে Namecheap, নেম চিপ থেকে ডোমেইন হোস্টিং ক্রয়ের জন্য এখানে ক্লিক করুন>>>। বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে একি সাথে ডোমেইন ও হোস্টিং ক্রয়ের জন্য Dianahost কে বেছে নিতে পারেন। ডাইনাহোস্ট থেকে ডোমেইন ও হোস্টিং ক্রয় করতে এখানে ক্লিক করুন>>>। ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করার পর সাইটকে সুন্দর করে সাজাতে ও লেখালেখির জন্য আপনাকে একটি সাইটের সহযোগিতা নিতে হবে, সেটি হল WordPress। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ব্লগ চালাতে সর্বপ্রথম আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেসে সাইন আপ করতে হবে। WordPress এ sign up করতে এখানে ক্লিক করুন>>>। ওয়ার্ডপ্রেসে সাইন আপ করার পরবর্তী কাজ হল ক্রয় কৃত ডোমেইন নেম এবং হোস্টিংকে ওয়ার্ডপ্রেসের সাথে যুক্ত করা।

ডোমেইন ও হোস্টিং কে ওয়ার্ডপ্রেসে যুক্ত করার বিস্তারিত তথ্য জানতে WordPress সম্পর্কিত আমাদের লেখা আর্টিকেলটি পড়ে নিবেন। ওয়ার্ডপ্রেসে ডোমেইন হোস্টিং যুক্ত করার পর আপনার পরবর্তী কাজ হল ওয়ার্ডপ্রেসে প্রবেশ করে লেখালেখির কাজ করা ও প্রকাশ করা। ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি যা লিখবেন তা আপনার ব্লগের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে এবং দেখবে সারা বিশ্ব।

ফ্রি ব্লগ সাইট নাকি ক্রয় কৃত ব্লগ সাইট উত্তমঃ

ব্লগ তৈরি করে লেখালেখির অভ্যাস ভালো থাকলে ফ্রি বা ক্রয়, যে কোনো প্রকারের ব্লগি ভালো। তবে কিনে নেওয়া ডোমেইন হোস্টিং দিয়ে ব্লগ তৈরি করলে আপনি ইচ্ছামত ব্লগ সাইটের ডিজাইন করতে পারবেন। ইচ্ছা মত লেখালেখি করতে পারবেন। ফ্রি ব্লগ খুললে যে সাইটে ফ্রি ব্লগ সাইট খুলবেন সেই সাইটের কিছু বিধিনিষেধ থাকতে পারে যা আপনাকে অনুসারণ করতে হবে। ব্লগ তৈরির পর আপনার প্রধান কাজ হবে ভালো ভালো আর্টিকেল বা কন্টেন্ট তৈরি করে ব্লগ কে জনপ্রিয় করে তোলা। একটি জনপ্রিয় ব্লগ ফ্রি নাকি ক্রয় কৃত সেটা মূল বিষয় নয় আপনি ব্লগ থেকে প্রচুর আয় করতে পারবেন এটাই বাস্তবতা।

ব্লগ থেকে আয়ের উপায় সমূহঃ

ব্লগ সাইট খুলে আয়ের নানারকম উপায় রয়েছে। মেধা আর কঠর পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকলে খুব দ্রুত ব্লগ থেকে সফলতা পাওয়া সম্ভব। নিম্নে ব্লগ সাইট থেকে আয়ের কিছু জনপ্রিয় পদ্ধতি তুলে ধরা হল-

১. Adsense যুক্ত করে ব্লগ থেকে আয়

২. Ad বা বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক যুক্ত করে ব্লগ থেকে আয়

৩. নিজের তৈরি পন্য ব্লগের মাধ্যমে বিক্রি করে আয়

৪. ডিজিটাল প্রডাক্ট বিক্রি করে ব্লগ থেকে আয়

৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ব্লগ থেকে আয়

৬. ব্লগ কন্টেন্ট বিক্রি করে ব্লগ থেকে আয়

৭. ব্লগ ব্যবহার করে অনলাইন কোর্স করিয়ে আয়

৮. বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচার করে ব্লগ থেকে আয়

৯. গেস্ট ব্লগিং করে ব্লগ থেকে আয়

১০. সেবা বা সার্ভিস প্রদান করে ব্লগ থেকে আয়

১১. পেইড রিভিউ করে ব্লগ থেকে আয়

১২. এপ ও সাইটের প্রমোশনাল লিংক রেফার করে ব্লগ থেকে আয়

Adsense যুক্ত করে ব্লগ থেকে আয়ঃ

Adsense গুগলের একটি সার্ভিস। বিভিন্ন বানিজ্যেক প্রতিষ্ঠানের সাথে adsense অর্থের বিনিময়ে বিজ্ঞাপন দেখানোর চুক্তি করে। এডসেন্স সেসব বিজ্ঞাপন ব্লগ সাইটে প্রকাশ করে। ব্লগের মালিককে বিনিময়ে এডসেন্স কমিশন রেখে অর্থ প্রদান করে। মনে করুন স্কয়ার গ্রুপ অফ কোম্পানি তাদের পন্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে চাই। তারা adsense এর সাথে চুক্তি বদ্ধ হল যে বিজ্ঞাপন প্রচার করলে তারা adsense কে ১০০ টাকা দিবে। Adsense আপনার ব্লগে স্কয়ারের পন্যের এড প্রকাশ করল বিনিময়ে আপনাকে ৬০ টাকা দিল এবং বাকি ৪০ টাকা এডসেন্সের কমিশন আয় হল। নিজের ব্লগে Adsense যুক্ত করে আয় করতে এডসেন্সে একাউন্ট খুলে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য আবেদন করতে হয়। এডসেন্স আপনার ব্লগ দেখে সন্তুষ্ট হলে আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু করবে এবং আপনার ইনকাম শুরু হবে। বর্তমানে বেশিরভাগ ব্লগার তাদের ব্লগ তৈরি করে এডসেন্স থেকে আয় করার জন্য। নিজের ব্লগে Adsense যুক্ত করতে এখানে ক্লিক করুন>>>

ব্লগে এড নেটওয়ার্ক যুক্ত করে আয়ঃ

শুধু Adsense নয়, অনলাইনে অসংখ্য সাইট রয়েছে যারা এডসেন্সের মত এড দেখিয়ে আয়ের সুযোগ করে দেয়। Ezoic.com তেমনি একটি এড নেটওয়ার্ক। এছাড়া media.net আরেকটি জনপ্রিয় এড নেটওয়ার্ক। বাংলায় ব্লগ লিখলে media.net এপ্রভ করে না কিন্তু ezoic.net করে। বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় এড নেটওয়ার্ক হল Bdadverise, এখানে একাউন্ট খুলেও ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করা যায়। এছাড়া অনলাইনে অসংখ্য এড নেটওয়ার্ক রয়েছে। এড নেট ওয়ার্ক ব্লগে যুক্ত করে আয় করার মূল শর্ত হল ব্লগে প্রচুর ভিজিটর থাকা বা ট্রাফিক থাকা। তাই বেশি ট্রাফিক মানে বেশি আয়। ব্লগে Ezoic.com নেটওয়ার্ক যুক্ত করে আয় করতে এখানে ক্লিক করে সাইন আপ করুন>>>

ব্লগের মাধ্যমে নিজের তৈরি পন্য বিক্রি করে আয়ঃ

আপনার যদি নিজের তৈরি পন্য থাকে তবে তা বিক্রি করার জন্য ব্লগে পন্যের বিবরণ সহ বিক্রয় মূল্য লিপিবদ্ধ করতে পারেন। ভিজিটর রা আপনার ব্লগের মাধ্যমে আপনার তৈরি পন্যের বিবরণ দেখে সন্তুষ্ট হয়ে ক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করলে, নিজের তৈরি পন্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। এভাবে ব্লগের মাধ্যমে নিজের তৈরি পন্যের প্রচার ও প্রসার করে খুব সহজে আয় করা যায়।

ডিজিটাল প্রডাক্ট ব্লগের মাধ্যমে বিক্রি করে আয়ঃ

ডিজিটাল প্রডাক্ট বলতে অনলাইন ভিত্তিক প্রডাক্টকে বোঝানো হচ্ছে। বিভিন্ন সফটওয়ার,  ব্লগের থিম, ই-বুক, গেম, এপ, ডোমেইন, ছবি বা ইমেজ, ভিডিও সহ নানারকম ডিজিটাল প্রডাক্ট ব্লগের মাধ্যমে প্রচার করে ও বিক্রি করে আয় করা যায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ব্লগ থেকে আয়ঃ

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে অন্যের তৈরি পন্য বিক্রি করে কমিশন নেওয়া কে বোঝায়। অনলাইনে অসংখ্য সাইট রয়েছে যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ব্লগ থেকে আয়ের সুযোগ করে দেয়। Alibaba.com, Amazon.com এসকল সাইটের মধ্যে অন্যতম।

আলিবাবা বা অ্যামাজন থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে প্রথমে সেখানে সাইন আপ করতে হবে। সাইন আপের পর তাদের সাইটে থাকা পন্যের অ্যাফিলিয়েট লিংক ব্লগে প্রকাশ করে, ক্রেতাদের দ্বারা লিংক ক্লিক করিয়ে পন্য বিক্রি করে কমিশন পাওয়া যায়। অর্থাৎ ভিজিটররা আপনার ব্লগে প্রকাশ করা পন্যের লিংকে ক্লিক করলে এসকল ইকমার্স সাইট থেকে পন্য ক্রয় করলে পন্যের বিক্রয়ের উপর কমিশন পাওয়া যায়। এভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ব্লগ থেকে প্রচুর আয় করা যায়। এছাড়া বাংলাদেশি একটি ই কমার্স সাইট Daraz.com এ সাইন আপ করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ব্লগ থেকে আয় করা যায়।

ব্লগ কন্টেন্ট বিক্রি করে আয়ঃ

অনলাইনে অসংখ্য সাইট রয়েছে যারা আপনার লেখা কন্টেন্ট ক্রয় করে থাকে। এভাবে নিজের তৈরি ব্লগের কন্টেন্ট বিক্রি করে খুব সহজে আয় করা যায়।

ব্লগের মাধ্যমে অনলাইন কোর্স করিয়ে আয়ঃ

বর্তমানে অনলাইন কোর্স খুবি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আপনি ইচ্ছা করলে পৃথিবীর এক প্রান্তে থেকে অন্য প্রান্তে থাকা যে কাওকে অনলাইনে কোর্স করিয়ে আয় করতে পারেন। ব্লগিং কোর্স, কম্পিউটার কোর্স, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট কোর্স, লার্নিং কোর্স, আইটি কোর্স সহ বিভিন্ন কোর্স ব্লগ সাইট ব্যবহার করে করিয়ে আয় করা যায়। ইন্ডিয়া ভিত্তিক ব্লগ সাইট BYJU ব্লগের মাধ্যমে এডুকেশনাল কোর্স করিয়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে থাকে।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচার করে ব্লগ থেকে আয়ঃ

আপনার ব্লগ জনপ্রিয় হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পন্যের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য আপনার চেনা জানা প্রতিষ্ঠানের সাথে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন।

তারা তাদের পন্যের বিজ্ঞাপন আপনার ব্লগে প্রচার করার বিনিময়ে আপনাকে অর্থ প্রদান করবে এভাবে আপনি আয় করতে পারেন। এছাড়া আপনার ব্লগ খুব জনপ্রিয় হলে অনেক প্রতিষ্ঠান আলনাকে তাদের বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য অফার করবে। এভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচার করে ব্লগ সাইট থেকে আয় করা যায়।

গেস্ট ব্লগিং করে ব্লগ থেকে আয়ঃ

অনলাইনে অনেক ব্লগার আছে যারা তাদের সাইটের কোনো ব্লগের লিংক ও আর্টিকেল লিংক আপনার ব্লগের আর্টিকেলে প্রকাশ করার বিনিময়ে অর্থ প্রদান করে থাকে। এভাবে অর্থের বিনিময়ে অন্যের ব্লগ লিংক বা ব্লগ নিয়ে আর্টিকেল লিখে নিজের ব্লগ থেকে আয় করা যায়।

সেবা বা সার্ভিস প্রদান করে ব্লগ থেকে আয়ঃ

আপনি যদি কোনো সার্ভিসে পারদর্শি হন তবে ব্লগের মাধ্যমে আপনার পাবলিসিটি বাড়িয়ে বেশি বেশি সার্ভিস করে আয় করতে পারেন। ধরুন আপনি কম্পিউটার সার্ভিসিং করতে পারেন। আপনার ব্লগে কম্পিউটার সম্পর্কিত আপনার দক্ষতা বা স্কিল প্রকাশ করে ভিজিটর দের আকৃষ্ট করে ও তাদের সার্ভিস প্রদান করে আয় করতে পারেন।

পেইড রিভিউ করে ব্লগ থেকে আয়ঃ

অনলাইনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা তাদের পন্যের রিভিউ বাড়ানোর বিনিময়ে অর্থ প্রদান করে থাকে। আপনি আপনার ব্লগ ব্যবহার করে আপনার ব্লগের ভিজিটিরদের সেসব পন্যের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারেন। এভাবে পেইড রিভিউ করে ব্লগ থেকে আয় করা যায়।

এপ ও সাইটের প্রমোশনাল লিংক রেফার করে ব্লগ থেকে আয়ঃ

অনলাইনে বিভিন্ন সাইট রয়েছে যারা তাদের সাইটে ভিজিটর বাড়াতে বা সদস্য বাড়াতে বা তাদের এপ ডাউনলোড বাড়াতে রেফারাল লিংক প্রদান করে থাকে। আপনি আপনার ব্লগে রেফারাল লিংক প্রকাশ করে তাতে ক্লিক করিয়ে সেসব সাইটে ভিজিটরদের সাইন আপ করাতে পারেন বা সেসব সাইটের এপ ডাউনলোড করাতে পারেন, বিনিময়ে তারা আপনাকে অর্থ প্রদান করবে। এভাবে রেফার করে ব্লগের মাধ্যমে আয় করা যায়।

ব্লগ থেকে আয়ের অন্যান্য পদ্ধতিঃ

ব্লগ খুলে আয়ের অসংখ্য পদ্ধতি রয়েছে। মেধা আর দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ব্লগ থেকে আয় করা যায়।

ব্লগ থেকে সর্বোচ্চ কত আয় করা যায়ঃ

ব্লগ থেকে আয়ের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। আপনার ব্লগ জনপ্রিয় হলে ভিজিটর আপনার ব্লগে আসবে। ভিজিটরদের আকৃষ্ট করে আপনি বিভিন্ন ভাবে ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন। এমন অনেক ব্লগ আছে যারা ব্লগ থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে।

ব্লগ থেকে আয়ের প্রধান শর্তঃ

আপনার ব্লগের প্রাণ হচ্ছে এর ভিজিটর বা ট্রাফিক। তাই ব্লগ থেকে আয়ের প্রধান শর্ত ব্লগে ভিজিটর বা ট্রাফিক থাকা। ভালো ভালো দর্শক প্রিয় আর্টিকেল বা কন্টেন্ট ব্লগ সাইটে প্রকাশ করে সাইটে ভিজিটির বাড়িয়ে তোলা যায়। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন এক জন প্রফেশনাল ব্লগার। ব্লগ সাইট হয়ে উঠতে পারে আপনার প্রধান কর্ম ক্ষেত্র।

আজ আর নয়। আর্টিকেল সম্পর্কে কমেন্ট করে আমাদের সহযোগীতা করলে ধন্য হব।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments