রম কাকে বলে? রমের কাজ কি?

যে মেমোরি স্থায়ী, যার কোনো তথ্য পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন করা যায় না এবং যে মেমোরি থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য, সংবাদ পড়া যায়, বিদ্যুৎ চলে গেলেও যে মেমোরি মুছে যায় না, তাকে রম (ROM) বলে।

রম (ROM) এর পূর্ণরূপ হলো- রীড-অনলি মেমোরি (Read-only memory)।

এটি কম্পিউটার এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়। রমে যে তথ্য থাকে তা পরিবর্তন করা যায় না বা করা গেলেও তা খুব ধীরে অথবা করা কঠিন। তাই এটি ব্যবহার করা হয় প্রধানত র্ফামওয়্যারে।

 

রমের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of ROM)

১. রম একটি স্থায়ী প্রকৃতির প্রধান মেমোরি।

২. রম মেমোরিতে রক্ষিত তথ্যসমূহ কেবল ব্যবহার করা যায় কিন্তু পরিবর্তন করা যায় না।

৩. কম্পিউটার চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু প্রোগ্রাম রম স্মৃতিতে স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে।

৪. বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলেও রমে রক্ষিত ডেটা সমূহ মুছে যায় না।

 

রমের প্রকারভেদ (Types of ROM)

রম বিভিন্ন ধরনের হয়। এর মধ্যে ছয় ধরনের রমের নাম নিচে দেয়া হলো :

১. প্রোগ্রামেবল বা পি-রম (P-ROM) : প্রোগ্রামেবল রীড-অনলি মেমোরি (পিআরওএম) অথবা ওয়ান-টাইম প্রোগ্রামেবল রম (ওটিপি) যা একবারই প্রোগ্রাম করা যায় এমন রমে প্রোগ্রামিং করা হয় বিশেষ যন্ত্র দিয়ে যাকে পিরম প্রোগ্রামার বলে। চিপের মধ্যকার আন্তঃসংযুক্ত লিংক বা সংযোগে উচ্চ মাত্রার ভোল্টেজ সরবরাহ করে স্থায়ীভাবে কোন কিছু তৈরী বা মুছে ফেলা হয়। ফলে এটাতে একবারই প্রোগ্রাম করা যায়।

২. বুট রম (Boot ROM)

৩. ইপি-রম (EP-ROM) : ইরেজেবল প্রোগ্রামেবল রীড-অনলি মেমোরি (ইপিআরওএম) শক্তিশালী অতিবেগুনী রশ্মির আলোতে উন্মুক্ত করে (সাধারণত ১০ মিনিট বা তারও বেশি) মুছা হয় এবং আবার প্রোগ্রাম লিখা হয়। পরেরবার মুছার সময় প্রথমবার যে শক্তি প্রয়োগ করে মুছা হয়েছিল তারচেয়ে বেশি শক্তি বা বেশি সময় ধরে রাখতে হয়। বারবার অতিবেগুনী রশ্মিরআলোতে উন্মুক্ত করার ফলে রম ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী রমগুলো ১০০০ বা তার উপরে মুছা যায় এবং প্রোগ্রাম করা যায়। ইপিআরওএম চেনা যায় রমের মধ্যে একটি “জানালা” আকারের খালি জায়গা থাকে যেটা দিয়ে অতিবেগুনী রশ্মির আলো প্রবেশ করে। প্রোগ্রামিং করার পরে এটি লেভেল দিয়ে ঢাকা থাকে যাতে অনাকাঙ্খিত কোন কিছু না ঘটে এবং পুনব্যবহারের জন্য।

৪. ইএপ-রম (EAP-ROM)

৫. ইইপি-রম (EEP-ROM) : ইলেক্ট্রিক্যালি ইরেজেবল প্রোগ্রামেবল রীড-অনলি মেমোরি (ইইপিআরওএম) ইপিআরওএম এর মতই এর সেমিকন্ডাক্টরের গঠন কিন্তু এটিতে নিদির্ষ্ট বা পুরো অংশই বৈদ্যুতিক শক্তি প্রয়োগ করে মুছা যায় এবং প্রোগ্রাম করা যায়। এতে করে এগুলোকে খুলতে (কম্পিউটার, এমপিথ্রী প্লেয়ার, ক্যামেরা প্রভৃতি) হয় না। ইইপিরমে লিখা বা ফ্ল্যাশ করা খুবই ধীর গতির র‍্যামের চেয়ে।

৬. এমপি-রম (MP-ROM)

৭. ফ্ল্যাশ-রম (FLASH-ROM)

 

Tags :

  • রম কিভাবে কাজ করে?
  • রম কত প্রকার ও কি কি?

Leave a Comment