HomeComputerর‌্যাম কাকে বলে? র‌্যাম কত প্রকার ও কি কি?

র‌্যাম কাকে বলে? র‌্যাম কত প্রকার ও কি কি?

র‌্যাম কাকে বলে? (What is called RAM in Bengali/Bangla?)

মাদারবোর্ডের সাথে সরাসরি সংযুক্ত যে মেমোরিতে রিড (পঠন) এবং রাইট (লিখন) দুটি কাজই সম্পন্ন করা যায় সে মেমোরিকে র‌্যাম (RAM) বলে।

এটি একটি অস্থায়ী মেমোরি। কম্পিউটারে যতক্ষণ বিদ্যুৎ প্রবাহ চালু থাকে, ততক্ষণ র‌্যামে তথ্যসমূহ সংরক্ষিত থাকে। বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে র‌্যাম তার সমস্ত তথ্য মুছে ফেলে। এজন্য র‌্যামকে কম্পিউটারের অস্থায়ী (Volatile) মেমোরি বলা হয়। এছাড়া র‌্যামকে মেইন স্টোরেজ (Main Sotrage) এবং কোর স্টোরেজ (Core Storage) হিসেবেও অভিহিত করা হয়। র‌্যাম হচ্ছে কম্পিউটারের কর্ম এলাকা। মাইক্রোপ্রসেসর প্রাথমিকভাবে র‌্যাম এলাকায় প্রয়োজনীয় তথ্য জমা করে। মাইক্রোপ্রসেসর সরাসরি র‌্যামের জন্য জানা অবস্থান বা ঠিকানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বা তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে। এখানে সরাসরি তথ্য সংগ্রহের জন্য যাওয়া যায় বলে একে Random Access Memory বলা হয়।

 

র‌্যাম এর বৈশিষ্ট্য (Characteristics of RAM)

র‌্যামের বৈশিষ্ট্য নিম্নে তুলে ধরা হলো–

১. এটি একটি লিখন ও পঠন স্মৃতি।

২. এটি একটি অস্থায়ী বা ক্ষণস্থায়ী মেমোরি বা স্মৃতি।

৩. বিদ্যুৎ প্রবাহ চালু হলে RAM স্মৃতি সচল হয় এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হলে RAM স্মৃতির তথ্য মুছে যায়।

৪. এর তথ্যকে পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধন করে পুনরায় সংরক্ষণ করা যায়।

৫. RAM-এর সঞ্চিত তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করা যায় বিধায় RAM-এ সঞ্চিত যেকোনো তথ্য বা প্রোগ্রাম মুছে নতুন সমস্যা সমাধানের জন্য তথ্য বা প্রোগ্রাম সঞ্চয় করা যায়।

৬. RAM স্মৃতির কোষ থেকে তথ্য আনতে যে সময় লাগে RAM স্মৃতির কোষে তথ্য জমা রাখতেও ঠিক একই সময় লাগে।

৭. RAM-এ সঞ্চিত তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করা যায়। RAM-এ সঞ্চিত যেকোনো তথ্য মোছা যায় এবং নতুন তথ্য সঞ্চয় করা যায়।

 

র‌্যাম কত প্রকার ও কি কি? (How Many Types of RAM?)

RAM বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। যথা :

i. স্ট্যাটিক র‌্যাম (Static RAM);

ii. ডাইনামিক র‌্যাম (Dynamic RAM);

iii. TTL RAM;

iv. CMOS RAM;

v. SIMM RAM ইত্যাদি।

 

এ সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তরঃ–

১। ক্লিপবোর্ড কি?

উত্তর : ক্লিপবোর্ড র‌্যামের একটি অংশ যেখানে কোনো ডেটা অন্য কোনো স্থানে পেস্ট করার পূর্বে অস্থায়ীভাবে জমা থাকে। ক্লিপবোর্ড কমান্ড তিনটি – cut, copy, paste। যখন কোনো প্রোগ্রামের এডিট মেনু থেকে cut বা copy কমান্ড দিয়ে কোনো টেক্সট, ইমেজ বা অন্য কোনো ধরনের ডেট ফাইল সিলেক্ট করা হয়, তখন তা ক্লিপবোর্ডে জমা হয়। একইভাবে paste কমান্ডের মাধ্যমে ক্লিপবোর্ডের ডেটাকে কোনো ডকুমেন্ট বা প্রোগ্রামের মাঝে পেস্ট করা যায়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments