HomeBlogপাসওয়ার্ড (Password) কাকে বলে? পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পাঁচটি সুবিধা

পাসওয়ার্ড (Password) কাকে বলে? পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পাঁচটি সুবিধা

অনলাইন নেটওয়ার্ক সিস্টেমে বা কোনো ডিভাইসে প্রবেশের সময় ব্যবহারকারীর পরিচয় যাচাই করার জন্য যে বিশেষ বা গোপনীয় শব্দ/বর্ণ, চিহ্ন অক্ষরের সমষ্টি ব্যবহৃত হয় তাকে পাসওয়ার্ড (Password) বলে। আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে সকল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করি তার গোপনীয়তা রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী। নিচে পাসওয়ার্ড রক্ষা করার কৌশল ব্যাখ্যা করা হলো—

i. সংক্ষিপ্ত পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে দীর্ঘ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা।

ii. বিভিন্ন ধরনের ছোট এবং বড় হাতের বর্ণ ব্যবহার করা। যেমন– z26a1$a18a1@myeenu1

iii. শব্দ, বাক্য, সংখ্যা এবং প্রতীকের সমন্বয়ে গঠিত জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা।

iv. অনলাইনে পাসওয়ার্ডের শক্তিমাত্রা যাচাই করা। শক্তিমাত্রা কম হলে তা বাড়িয়ে নেওয়া।

v. সাইবার ক্যাফে বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে সিস্টেম ব্যবহার করলে আসন ত্যাগের পূর্বে সংশ্লিষ্ট সাইট থেকে লগ আউট করা।

vi. lastpass, keepass ইত্যাদি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করা।

vii. নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা।

জানা যায়, পাসওয়ার্ডের ব্যবহার প্রাচীনকাল হতে। প্রহরীরা কারো প্রবেশ ঠেকাতে এটি ব্যবহার করত, প্রবেশকারী বা প্রবেশকারী দলকে সরবরাহ করা হত একটি পাসওয়ার্ড বা ওয়াচওয়ার্ড যা প্রবেশের সময় বলতে হত। আধুনিক সময়ে, ব্যবহারকারী নাম এবং পাসওয়ার্ড সাধারণভাবে ব্যবহার করা হয় লগইনের কাজে যা প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম, মোবাইল ফোন, ক্যাবল টিভি ডিকোডার, এটিএম, ইমেইল ইত্যাদিতে। একজন সাধারণ কম্পিউটার ব্যবহারকারী বিভিন্ন উদ্দেশ্যে পাসওয়ার্ড রাখতে পারেন যেমন: বিভিন্ন একাউন্টে লগইন করতে, ইমেইল দেখার জন্য বা উদ্ধারের জন্য, বিভিন্ন এ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশের জন্য, ডাটাবেস, ওয়েব সাইট এবং এমনকি সকালের খবরের কাগজ অনলাইনে দেখার জন্যও।

নাম দেখে যদিও মনে হয় তবুও পাসওয়ার্ড শব্দই হতে হবে এমন কোন কথা নেই। বস্তুত, পাসওয়ার্ড যেগুলো আসলে শব্দ নয় সেগুলো অনুমান করা কঠিন। কিছু পাসওয়ার্ড গঠন করা হয় বহু শব্দ ও অনেক কিছু মিলিয়ে যাকে ডাকা হয় পাসফ্রেজ বা শব্দ সমষ্টি। যখন গোপন তথ্যটি যদি সংখ্যাতাত্ত্বিক হয় যেমন পিন কোড যা এটিএমে ব্যবহৃত করা হয় সেগুলোকে কখনো কখনো পাসকোড বা পাসকি বলা হয়। পাসওয়ার্ড সাধারণত ছোট হয় যাতে তা সহজে মনে রাখা যায় এবং টাইপ করা যায়।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান একটি পাসওয়ার্ড নীতি নির্দিষ্ট করে দেয় যা পাসওয়ার্ডের ব্যবহার ও সম্মিলনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়। সাধারণত এজন্য সর্বনিম্ন দৈর্ঘ্য, প্রয়োজনীয় বিষয়শ্রেণী (বড় হাতের বা ছোট হাতের, সংখ্যা, বিশেষ অক্ষর), নিষিদ্ধ উপাদান (নিজের জন্মদিন, নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর) প্রভৃতির হুকুম করা হয়। কোথাও কোথাও কিছু সরকারি সেবায় জাতীয় সত্যতা যাচাই কাঠামো আছে যা ব্যবহারকারী যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে, যেখানে পাসওয়ার্ডও প্রয়োজন হয়।

 

পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পাঁচটি সুবিধা

পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পাঁচটি সুবিধা উল্লেখ করা হলো–

১. পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নিজের একাউন্টটি সুরক্ষিত রাখা যায়। তা না হলে যে কেউ সেই আইডিটি ব্যবহার করতে পারে।

২. হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচা যায়।

৩. নিজের অনলাইন পরিচয় গোপন রাখা যায়।

৪. সাইবার অপরাধের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

৫. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপদ ও নৈতিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়।

 

Tags :

  • পাসওয়ার্ডের গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য কী কী করা উচিত?
  • কোনটি পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে একটি জরুরি কাজ?
  • পাসওয়ার্ড কেন ব্যবহার করা হয়?
  • ইউনিক পাসওয়ার্ড কি?
  • মৌলিক পাসওয়ার্ড কি?
  • জটিল পাসওয়ার্ড কি কি থাকে?
  • পাসওয়ার্ড ব্যবহারের ৫ টি সুবিধা
  • password ki?
  • পাসওয়ার্ড জানার উপায় কি?
  • পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?
  • আমার পাসওয়ার্ড কি
  • ইউনিক পাসওয়ার্ড এর বৈশিষ্ট্য
  • ইন্টার পাসওয়ার্ড মানে কি
  • তোমার কম্পিউটারটি ভাইরাস আক্রান্ত হলে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে?
  • পাসওয়ার্ড ব্যবহারের কৌশল কী?
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments