ফর্মুলা : ওয়ার্কশিটে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সংখ্যাগুলোর ভিত্তিতে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, শতকরা ইত্যাদির গাণিতিক হিসাব-নিকাশের পদ্ধতিকে ফর্মুলা বলে। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে অল্প সময়ে নির্ভুলভাবে বিভিন্ন জটিল হিসাব-নিকাশের কাজ করা যায়।
যেমন- ধরি সেল A1 এবং A2 এ রক্ষিত সংখ্যাগুলো যোগ করতে হবে, তাহলে = A1+A2 টাইপ করে এন্টার চাপলে সেলদ্বয়ের সংখ্যার যোগফল পাওয়া যাবে। এখানে =A1+A2 হচ্ছে ফর্মুলা।
ফাংশন : ফাংশন হচ্ছে ফর্মুলার সংক্ষিপ্ত রূপ যেখানে বিভিন্ন গাণিতিক সূত্র পূর্ব থেকেই সন্নিবেশিত থাকে। অর্থাৎ ফর্মুলাকে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহারের পদ্ধতিকে ফাংশন বলে। যেমন–
ধরি A1, A2, A3, A4, A5 এর যোগফল বের করার জন্য ফর্মুলা হচ্ছে A1+A2+A3+A4+A5 যাহা টাইপ করতে সময় বেশি লাগছে এবং ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।
উপরের ফর্মুলাকে ফাংশন ব্যবহার করে লেখা যায় =SUM(A1:A5)।
এখানে = SUM () হচ্ছে ফাংশন।
ফর্মুলা ও ফাংশন লেখার নিয়ম
ফাংশন লেখার নিয়মঃ
১. প্রথমে সমান চিহ্ন (=) দিয়ে ফাংশন টাইপ শুরু করতে হয়।
২. ফাংশনের ডানপাশে বন্ধনী থাকে এবং বন্ধনীর মধ্যে আর্গুমেন্ট টাইপ করতে হয়।
৩. একাধিক আর্গুমেন্ট থাকলে কমা চিহ্ন (,) কোলন চিহ্ন (;) দিয়ে পৃথক করে দেখাতে হয়।৪. ফাংশন এক্সপ্রেশনে সর্বাধিক ২৫৫ বর্ণ ব্যবহৃত হতে পারে।
৫. আর্গুমেন্ট হিসাবে সংখ্যাও থাকতে পারে।
৬. একটি ফাংশনে সর্বোচ্চ ৩০টি পর্যন্ত আর্গুমেন্ট ব্যবহার করা যায়।
৭. টেক্সট ফাংশনে আর্গুমেন্ট কোটেশন চিহ্নের ভেতরে রাখতে হয়।
৮. ফাংশন লেখার সময় বড় বা ছোট হাতের অক্ষর ব্যবহার করা যায়।
৯. ফাংশন ও আর্গুমেন্ট এর ব্রাকেটের মাঝে ফাঁকা রাখা যাবে না।
ফর্মুলা ও ফাংশনের মধ্যে পার্থক্য কি?
ফর্মুলা ও ফাংশনের মধ্যে পার্থক্য নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
ফর্মুলা
- বিভিন্ন সংখ্যার ভিত্তিতে যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ ইত্যাদি কাজের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে বলা হয় ফর্মুলা।
- ফর্মুলা ফাংশনের উপর নির্ভরশীল নয়।
- ফর্মুলাতে গাণিতিক হিসাবের বিস্তারিত বর্ণনা থাকে।
- ফর্মুলা প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহারকারী তৈরি করে থাকে।
- ফর্মুলা অনেক বড় হলে টাইপ করতে বেশি সময় লাগে।
- ফর্মুলার সাহায্যে কঠিন ও জটিল হিসাবের কাজ সহজে করা যায় না।
- ফর্মুলার কোন প্রকারভেদ নাই।
ফাংশন
- ফাংশন হচ্ছে ফর্মুলার সংক্ষিপ্ত রূপ যা স্প্রেডশিট প্যাকেজ প্রোগ্রাম তৈরির সময় অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া হয়।
- ফাংশন সুনির্দিষ্ট ফর্মুলার ভিত্তিতে তৈরি হয়।
- ফাংশনে গাণিতিক হিসাবের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা থাকে।
- ফাংশন আগে থেকেই তৈরি করা থাকে। তবে ম্যাক্রো ব্যবহার করে ফাংশন তৈরি করা যায়।
- ফাংশন টাইপ করতে কম সময় লাগে।
- ফাংশনের সাহায্যে কঠিন ও জটিল হিসাবের কাজ সহজে করা যায়।
- ফাংশনের সুনির্দিষ্ট প্রকারভেদ আছে।