HomePhysicsবল কি? বলের একক কি? বল কত প্রকার ও কি কি?

বল কি? বলের একক কি? বল কত প্রকার ও কি কি?

কোন ফুটবল মাঠে একজন খেলোয়াড় যখন বলে কিক করেন, তখন মূলত তিনি তার পায়ের সাহায্যে ফুটবলে বল প্রয়োগ করেন। একইভাবে কোন মেঝের উপর কোন স্থির মার্বেলের উপর আরেকটি মার্বেল আঘাত করলে সেটি গতিশীল হয়। এখানে প্রতিটি ক্ষেত্রে ফুটবল বা মার্বেলের গতির অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। একইভাবে রাস্তায় সাইকেল চালানোর সময় যদি প্যাডেল চালানো বন্ধ রাখা হয়, তবে একসময় গতিশীল সাইকেলটি গতি হ্রাস করে থেমে যেতে থাকে। এক্ষেত্রে বাতাসের বাধা ও রাস্তার ঘর্ষণ সাইকেলের গতিকে হ্রাস করে। তাই বাতাসের বাধা ও ঘর্ষণ বল উভয়ই সাইকেলের গতির বিপরীত দিকে ক্রিয়াশীল বল।

তাই এসব অভিজ্ঞতা থেকে বলের বৈশিষ্ট্যমূলক সংজ্ঞা এভাবে লেখা যেতে পারেঃ যা স্থির বস্তুর উপর ক্রিয়া করে স্থির বস্তুকে গতিশীল করে বা করতে চায় এবং যা গতিশীল বস্তুর উপর ক্রিয়া করে তার গতির পরিবর্তন করে বা করতে চায়, তাকে বল (Force) বলে। অর্থাৎ, বল হচ্ছে একটি বাহ্যিক প্রভাব, যা স্থির বস্তুর উপর ক্রিয়া করে স্থির বস্তুকে গতিশীল করে বা করতে চায় এবং যা গতিশীল বস্তুর উপর ক্রিয়া করে তার গতির পরিবর্তন করে বা করতে চায়।

বলকে ইংরেজি অক্ষর F এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

 

বলের একক (Unit of Force)

বলের কয়েকটি একক প্রচলন আছে। যেমন-

  • M.K.S পদ্ধতিতে বলের একক Newton (নিউটন)
  • C.G.S পদ্ধতিতে বলের একক Dyne (ডাইন)
  • F.P.S পদ্ধতিতে বলের একক Poundal (পাউন্ডাল)

 

বলের প্রকারভেদ (Types of Force)

উৎস বা প্রয়োগ ক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করে বলকে বিভিন্ন নামে নামকরণ করা হয়েছে। যেমন: টান, চাপ, ঠেলা, ঘর্ষণ, আকর্ষণ, বিকর্ষণ, ওজন ইত্যাদি।

টান (Tension) : কোনো বস্তুকে একটি সরু রশি বা তার দ্বারা টানা হলে ঐ রশি বা তার বরাবর বস্তুটির উপর যে বল ক্রিয়া করে তাকে টান বলে।

চাপ (Pressure) : যখন একটি বস্তুকে অপর একটি বস্তুর উপর রাখা হয়, তখন প্রথম বস্তুটি দ্বিতীয় বস্তুর উপর যে বল প্রয়োগ করে তাকে চাপ বলে।

ঠেলা (Thrust) : অনেক সময় দেখা যায় বাস (বা অন্য কোনো গাড়ী) কোনো স্থানে রাখা ছিল, এখন স্টার্ট দেওয়ার সময় স্টার্ট নিচ্ছে না। এমন অবস্থায় বাসটিকে কতকগুলি লোক বল প্রয়োগ করে সামনে বা পিছনে সরানোর চেষ্টা করে এবং গড়ালেই ড্রাইভার স্টার্ট করতে সক্ষম হন। এই ক্ষেত্রে যে বল প্রয়োগ করে গাড়িকে গড়ানো হয় তাকে ঠেলা বা ধাক্কা বল বলে।

ঘর্ষণ (Friction) : একটি বস্তু অপর একটি বস্তুর উপর দিয়ে (স্পর্শ করে) চলতে গেলে বাধাপ্রাপ্ত হয়। যেমন- তুমি যদি একটি ফুটবলে শট দাও তবে তা কিছুক্ষণ ভূমিতে গড়ানোর পরে থেমে যাবে। ফুটবলটি নিশ্চয়ই কোনো বাধার কারণে থেমে গেছে। এখানে ভূমির স্পর্শে গড়ানোর কারণে যে বল বাধা হিসেবে কাজ করে তাকে ঘর্ষণ বল বা সংক্ষেপে ঘর্ষণ এবং যে বিন্দুতে স্পর্শ করে ঐ বিন্দুকে ঘর্ষণ বিন্দু বলা হয়।

আকর্ষণ (Attraction) : বাহ্যিক কোনো বল (যেমন- চাপ, ঠেলা, ধাক্কা) প্রয়োগ ছাড়াই একে অপরকে স্পর্শ করেনি এরূপ দুইটি বস্তু যে বলের ক্রিয়ার কারণে একে অপরের দিকে অথবা যে কোন একটি অপরটির দিকে অগ্রসর হয় বা হওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয় তাকে আকর্ষণ বল বা সংক্ষেপে আকর্ষণ বলে। যেমন, একটি লৌহ খণ্ড চুম্বকের আকর্ষণে চুম্বকের দিকে অগ্রসর হয়, পৃথিবীর আকর্ষণে বৃন্তচ্যুত ফল মাটিতে পড়ে।

বিকর্ষণ (Reputation) : বাহ্যিক কোনো বল প্রয়োগ ব্যতিরেকে একে অপরকে স্পর্শ করেনি এরূপ দুইটি বস্তু যে বলের ক্রিয়ার ফলে একটি অন্যটি থেকে সরে যায়, তাকে বিকর্ষণ বল বা সংক্ষেপে বিকর্ষণ বলে।

চুম্বকের সমজাতীয় দুই মেরু কাছাকাছি আনলে চুম্বকদ্বয় পরস্পর হতে দূরে সরে যাবে। এই বলটিই বিকর্ষণ বল।

ওজন (Weight) : কোনো বস্তুকে পৃথিবী তার কেন্দ্রের দিকে যে পরিমাণ আকর্ষণ বল দ্বারা টানে তাকে ঐ বস্তুর ওজন বলা হয়।

বস্তুর ওজন সর্বদা বস্তুর ওপরস্থ একটি নির্দিষ্ট বিন্দু দিয়ে খাড়া নিচের দিকে ক্রিয়াশীল। ঐ নির্দিষ্ট বিন্দুটিকে বস্তুর ভারকেন্দ্র (Centre of gravity) বলা হয়।

 

বলের প্রভাব (Effects of Force)

 

বল নিচের ঘটনাগুলো ঘটাতে পারে:

১. বল একটি স্থির বস্তুকে গতিশীল এবং গতিশীল বস্তুকে স্থির করতে পারে।

২. বল একটি বস্তুর গতির দিক পরিবর্তন করতে পারে।

৩. বল একটি গতিশীল বস্তুর বেগ কমাতে বা বাড়াতে পারে।

৪. বল একটি বস্তুর আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে।

 

বলের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Force)

  • বল প্রয়োগে কোন বস্তুর জড়তার পরিবর্তন হয় বা হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
  • বল সর্বদা জোড়ায় জোড়ায় ক্রিয়া করে। অর্থাৎ কোন বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করলে প্রযুক্ত বলের বিপরীত দিকে আরেকটি বল ক্রিয়া করে। একারণে বলের ক্রিয়াকে Interaction বা মিথস্ক্রিয়াও বলে। যেমন যখন কোন বস্তুকে দড়িতে বেধে টানা হয় তখন প্রযুক্ত বলের বিপরীত দিকে দড়িতে যে একটা বল ক্রিয়া করে তাকে টান বল বলে।
  • যতক্ষণ লব্ধ বল ক্রিয়াশীল থাকে ততক্ষণ উক্ত বস্তুতে ত্বরণ সৃষ্টি হয়। মূলত কোন পদার্থের ভর স্থির হলে প্রযুক্ত বল বস্তুটির গতির অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় বা ত্বরণ সৃষ্টি করে।
  • বল কোন বস্তুকে বিকৃত করতে পারে বা তার ভৌত ধর্মের পরিবর্তন করতে পারে।
  • বল একটি ভেক্টর রাশি। কারণ এর মান ও দিক আছে।

 

বল সম্পর্কিত আরও কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. বলের মাত্রা কি?

উত্তর : বলের মাত্রা হচ্ছে [MLT-2]

প্রশ্ন-২. বলের একক কি?

উত্তর : বলের একক হচ্ছে kgms-2 বা Newton।

প্রশ্ন-৩. বলের প্রকৃতি কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর : বলের প্রকৃতি দুই প্রকার। যথা- ১. স্পর্শ বল ও ২. অস্পর্শ বল।

প্রশ্ন-৪. স্পর্শ বল কাকে বলে?

উত্তর : যে বল সৃষ্টির জন্য দুটি বস্তুর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শের প্রয়োজন তাকে স্পর্শ বল বলে।

প্রশ্ন-৫. অস্পর্শ বল কাকে বলে?

উত্তর : দুটি বস্তুর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শ ছাড়াই যে বল ক্রিয়া করে তাকে অস্পর্শ বল বলে।

প্রশ্ন-৬. বল কীভাবে পরিমাপ করা হয়?

উত্তর : বস্তুর ভর ও ত্বরণের গুণফল দ্বারা পরিমাপ করা হয়।

প্রশ্ন-৭. সাম্য বল কাকে বলে?

উত্তর : কোনো বস্তুর ওপর একাধিক বল ক্রিয়া করলে যদি বলের লব্ধি শূন্য হয় অর্থাৎ বস্তুটি সাম্যাবস্থায় থাকে, তবে ঐই বলগুলোকে সাম্য বল বলে।

প্রশ্ন-৮. বল ধ্রুবক কি?

উত্তর : কোনো স্প্রিং-কে এর সাম্যাবস্থান হতে একক পরিমাণ সংকুচিত বা প্রসারিত করতে বা যেকোনো সরল ছন্দিত গতিসম্পন্ন বস্তু এর সাম্যাবস্থান হতে একক সরণ লাভ করলে এর ওপর যে প্রত্যয়নী বল প্রযুক্ত হয় তাকে বল ধ্রুবক বলে।

প্রশ্ন-৯. কাজহীন বল কাকে বলে?

উত্তর : কোনো সচল বস্তুর সরণের লম্ব দিকে এক বা একাধিক বল বস্তুটির উপর ক্রিয়া করতে পারে। এই বলগুলোর অভিমুখ সরণের অভিমুখের সাথে ৯০° কোণে থাকলে বস্তুর সরণের সময় এই বলগুলো কোনো কাজ করে না। এই ধরনের বলকে কাজহীন বল বলে।

প্রশ্ন-১০. ক্ষেত্র-জনিত বল কাকে বলে?

উত্তর : দুটি বস্তু পরস্পরের সাথে সংস্পর্শে না এলেও এদের মধ্যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলগুলি ক্রিয়াশীল হতে পারে। এরূপ বলকে ক্ষেত্র বল বা ক্ষেত্র-জনিত বল (Field Force) বলে।

প্রশ্ন-১১. পরিবর্তনশীল বল কাকে বলে?

উত্তর : যে বলের মানের ও দিকের অথবা যেকোনো একটির পরিবর্তন হয় তাকে পরিবর্তনশীল বল বলে।

প্রশ্ন-১২. সংসক্তি বল কি?

উত্তর : একই পদার্থের দুই বা ততোধিক অণুগুলোর মধ্যে যে আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে তাই হলো সংসক্তি বল।

প্রশ্ন-১৩. স্থির বল কাকে বলে?

উত্তর : কোনো বস্তুর উপর বল ক্রিয়া করলে সে বল যদি মানে ও দিকে অপরিবর্তিত হয় তবে তাকে স্থির বল বলে।

প্রশ্ন-১৪. মৌলিক বল কাকে বলে?

উত্তর : যেসব বল মূল বা স্বাধীন অর্থাৎ যেসব বল অন্য বল থেকে উৎপন্ন বা অন্য কোনো বলের কোনো রূপ নয় বরং অন্যান্য বল এসব বলের কোনো না কোনো রূপের প্রকাশ তাদেরকে মৌলিক বল বলে।

প্রশ্ন-১৫. ১ নিউটন বল কাকে বলে?

উত্তর : যে পরিমাণ বল 1 kg ভরের কোনো বস্তুর ওপর ক্রিয়া করে 1ms-2 ত্বরণ সৃষ্টি করে তাকে ১ নিউটন বল বলে।

প্রশ্ন-১৬. একক বল কাকে বলে?

উত্তর : একক ভরের কোন বস্তুর উপর একক ত্বরণ সৃষ্টি করতে যে বল প্রযুক্ত হয় তাকে একক বল বলে।

প্রশ্ন-১৭. দুর্বল নিউক্লিয় বল কাকে বলে?

উত্তর : প্রোটন নিউট্রন অনুপাত যথাযথ না হলে নিউক্লিয়াসের অস্থিতিশীলতা বা বিটা ক্ষয়ের জন্য যে বল দায়ী তাকে দুর্বল নিউক্লিয় বল বলে।

প্রশ্ন-১৮. সবল নিউক্লিয় বল কাকে বলে?

উত্তর : যে আকর্ষণ বল প্রোটন নিউট্রন তথা নিউক্লিয় কণা বা নিউক্লিয়নগুলোকে একত্রিত করে নিউক্লিয়াস গঠন করে তাকে সবল নিউক্লিয় বল বলে।

প্রশ্ন-১৯. লরেঞ্জ বল কাকে বলে?

উত্তর : কোন স্থানে একই সময়ে একটি তড়িৎক্ষেত্র ও একটি চৌম্বকক্ষেত্র বিদ্যমান থাকলে সেখানে একটি গতিশীল আধান যে লব্ধি বল অনুভব করে তাকে লরেঞ্জ বল বলে।

প্রশ্ন-২০. প্রত্যায়নী বল কাকে বলে?

উত্তর : বল প্রয়োগে কোন বস্তু বিকৃত হলে স্থিতিস্থাপকতার কারণে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে বস্তুর মধ্যে যে বল উৎপন্ন হয় তাকে প্রত্যায়নী বল বলে। এ প্রত্যায়নী বল মূলত স্থিতিস্থাপক বল।

প্রশ্ন-২১. স্থিতিস্থাপক বল কাকে বলে?

উত্তর : স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে বাইরে থেকে বল প্রয়োগে কোনো বস্তুর আকার-আকৃতির পরিবর্তন ঘটানোর পর বল অপসারণ করলে যে বলের কারণে তা আবার পূর্বের আকার আকৃতি ফিরে পায় তাকে স্থিতিস্থাপক বল বলে।

প্রশ্ন-২২. ঘর্ষণ বল কি?

উত্তর : যখন একটি বস্তু অপর একটি তলের উপর দিয়ে চলে তখন গতির বিরুদ্ধে যে বল কাজ করে তাকে ঘর্ষণ বল বলে।

প্রশ্ন-২৩. ঘূর্ণন বল কাকে বলে?

উত্তর : স্ক্রুকে খোলার জন্য একটি মোচড় বল প্রয়োগ করলে ঘূর্ণন সৃষ্টি হয়। এরূপ বলকে ঘূর্ণন বল বলে।

প্রশ্ন-২৪. বলের অংশক কাকে বলে?

উত্তর : কোনো বস্তুকণার ওপর একাধিক বল প্রযুক্ত হওয়ার ফলে যে প্রভাব পড়ে যদি কোনো একটি বল প্রয়োগ করলেও ঐ একই প্রভাব পড়ে, তবে প্রথমোক্ত একাধিক বলগুলি প্রত্যেককে পরের ঐ একটি বলের অংশক বলে।

প্রশ্ন-২৫. তাড়িত চৌম্বক বল কাকে বলে?

উত্তর : দুটি আহিত বস্তু বা কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরের উপর যে বল প্রয়োগ করে তাকে তাড়িত চৌম্বক বল বলে।

প্রশ্ন-২৬. বলের ঘাত কি?

উত্তর : বলের ঘাত হলো বলের মান ও ক্রিয়াকালের গুণফল।

প্রশ্ন-২৭. বলের ঘাতের একক ও মাত্রা কি?

উত্তর : বলের ঘাতের একক NS বা kgms-1। এটি বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের সমান। এর মাত্রা MLT-1।

প্রশ্ন-২৮. কেন্দ্রমুখী বল কাকে বলে?

উত্তর : যে বল কোনো বস্তুকে বৃত্তাকার পথে ঘোরানোর জন‍্য বৃত্তাকার পথের কেন্দ্রাভিমুখে ক্রিয়া করে তাকে কেন্দ্রমুখী বল বা অভিকেন্দ্র বল বলে।

প্রশ্ন-২৯. ঘাত বল কাকে বলে?

উত্তর : অতি উচ্চমানের যে বল অল্প সময়ের জন্য ক্রিয়া করে তাকে ঘাত বল বলে। ক্রিকেট বলের ওপর ব্যাট দ্বারা আঘাত ঘাতবলের একটি উদাহরণ। বলের মান এবং ক্রিয়াকালের গুণফল দ্বারা বলের ঘাত বিবেচনা করা হয়।

প্রশ্ন-৩০. কেন্দ্রবিমুখী বল কি?

উত্তর : কেন্দ্রবিমুখী বল হচ্ছে কেন্দ্রমুখী বলের সমান ও বিপরীতমুখী। যে বল বৃত্তের কেন্দ্রের উপর ব্যাসার্ধ বরাবর কেন্দ্রের বাইরের দিকে ক্রিয়া করে তাকে কেন্দ্রবিমুখী বল বলে।

প্রশ্ন-৩১. আসঞ্জন বল কাকে বলে?

উত্তর : একটি পদার্থকে অন্য একটি পদার্থের সংস্পর্শে রাখলে পদার্থ দুটির অণুগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আকর্ষণ বল অনুভূত হয়। বিভিন্ন পদার্থের অণুগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আকর্ষণ বলকে আসঞ্জন বল (Adhesive Force) বলে। যেমন – ব্লাক বোর্ডে যখন চক দিয়ে লেখা হয় তখন চক ব্লাক বোর্ডে লেগে থাকে। এক্ষেত্রে ব্লাক বোর্ড ও চকের অণুগুলোর মধ্যে যে আকর্ষণ বল, তাই আসঞ্জন বল।

প্রশ্ন-৩২. মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র কাকে বলে?

উত্তর : যেকোনো অঞ্চলে একটি ভর রাখলে এর উপর মহাকর্ষীয় বল ক্রিয়া করে তখন এই অঞ্চলকে মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র বলে।

প্রশ্ন-৩৩. বল প্রয়োগে বস্তুর কী কী ধরনের পরিবর্তন হয়?

উত্তর : বল প্রয়োগে বস্তুর যেসব পরিবর্তন হয় তা নিচে দেওয়া হলো–

স্থির বস্তু গতিশীল হয় বা হতে চায়।

গতিশীল বস্তু স্থির হয় বা হতে চায়।

চলন্ত বস্তুর গতির দিক পরিবর্তন হয়।

বস্তুর আকার বা আয়তন পরিবর্তন হয়।

প্রশ্ন-৩৪. 50N বল বলতে কী বুঝ?

উত্তর : 50N বল বলতে বুঝি 1 kg ভরের কোনো বস্তুর উপর 1 N বল প্রয়োগ করলে বস্তুর সরণ বলের দিকে 50 m হয়।

প্রশ্ন-৩৫. অভিকেন্দ্র বল একটি কার্যহীন বল– ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ অভিকেন্দ্র বল সব সময় গতিপথের লম্বদিকে ক্রিয়া করায় ঐ বলের অভিমুখে বস্তুর কোনো সরণ হয় না। সুতরাং অভিকেন্দ্র বল কোনো কাজ করে না। এই কারণে অভিকেন্দ্র বলকে কার্যহীন বল (no-work force) বলে।

প্রশ্ন-৩৬. প্রযুক্ত বল ভরবেগের পরিবর্তনের সমানুপাতিক বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : প্রযুক্ত বল ভরবেগের পরিবর্তনের সমানুপাতিক বলতে আমরা বুঝি যে প্রযুক্ত বলের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে বস্তুর ভরবেগ বৃদ্ধিপায় আবার প্রযুক্ত বলের পরিমাণ হ্রাস করলে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তন কমে যায়।

 

Tags :

  • বল কি?
  • বলের একক কি?
  • বলের উদাহরণ;
  • বল কত প্রকার ও কি কি?
  • টান বল কাকে বলে?
  • চাপ কাকে বলে?
  • ঠেলা কাকে বলে?
  • ঘর্ষণ কাকে বলে?
  • আকর্ষণ কাকে বলে?
  • বলের প্রভাব
  • বলের বৈশিষ্ট্য কি কি?
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments