HomeBlogমানচিত্র কাকে বলে? মানচিত্রে সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় কেন?

মানচিত্র কাকে বলে? মানচিত্রে সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় কেন?

মানচিত্র একজন ভূগোলবিদের জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় উপকরণ (Tools)। এর সাহায্যে সমগ্র পৃথিবী বা কোনো অঞ্চল সম্বন্ধে সুস্পষ্ট জ্ঞান লাভ করা যায়। একটি মানচিত্রের মধ্যে আমরা সমগ্র পৃথিবীকে অথবা এর কোনো এক অঞ্চলকে দেখাতে পারি। আমরা কোনো একটি কাগজের মধ্যে মানচিত্র এঁকে সেখানে চিহ্ন দিয়ে সেই অঞ্চলের অবস্থা সম্বন্ধে বুঝাতে পারি। একটি মানচিত্র যে কেবল ভূগোলবিদদের প্রয়োজন হয় তা নয়। এটি প্রায় সকল মানুষের বিশেষ করে পর্যটক, প্রশাসক, পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদ, আবহাওয়াবিদ এমনকি সাধারণ মানুষেরও বিশেষ প্রয়োজনে লাগে। এ আর্টিকেলে মানচিত্র, এর প্রকারভেদ, গুরুত্ব, ব্যবহার, স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করব। তো চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

 

মানচিত্র কাকে বলে?

আয়তকার বা বর্গাকার কাগজে অংকিত পৃথিবী বা তার অংশের ছোট আকারের প্রতিরূপকে মানচিত্র বলে।

 

মানচিত্র কত প্রকার ও কি কি? (How many types of maps?)

মানচিত্র অনেক প্রকার হতে পারে। সাধারণ মানচিত্রে ব্যবহৃত স্কেল এবং বিষয়বস্তু অনুসারে মানচিত্রগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। স্কেল অনুসারে মানচিত্র আবার দুই প্রকারের– (ক) বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র এবং (খ) ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র।

আকার ও স্কেল অনুসারে মানচিত্র বিভিন্ন রকম হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে–

১. মৌজা মানচিত্র;

২. ভুসংস্থানিক মানচিত্র;

৩. ভূচিত্রাবলি মানচিত্র এবং

৪. দেয়াল মানচিত্র।

ব্যবহারিক বিশেষত্ব ও বিষয়বস্তু অনুসারে মানচিত্রকে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। যেমন–

১. প্রাকৃতিক মানচিত্র;

২. জলবায়ু মানচিত্র;

৩. রাজনৈতিক মানচিত্র;

৪. অর্থনৈতিক মানচিত্র;

৫. জনসংখ্যা মানচিত্র এবং

৬. যাতায়াত মানচিত্র।

 

মানচিত্রে সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় কেন?

পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের আলাদা আলাদা বিষয়গুলো নির্দেশ করার জন্য মানচিত্রে সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।

মানচিত্রের মাধ্যমে বিচিত্র পৃথিবীর, বিভিন্ন অংশের প্রাকৃতিক অবস্থা, জলবায়ু, কৃষি, জনসংখ্যা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন দ্বারা এক একটি বিষয় নির্দেশ করা হয়। কোনো মানুষ উক্ত সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে অতি সহজেই পৃথিবীর সাগর, মহাসাগর, দেশ, মহাদেশ চিহ্নিত করতে পারে।

 

মানচিত্রের প্রয়োজনীয়তা

মানচিত্রের সাহায্যে অল্প জায়গার মধ্যে বড় আকারের কোন বিষয়বস্তুকে দেখানো যায়, যার সাহায্যে একটি সুস্পষ্ট ধারণা ও মাপ পাওয়া যায়। একটি মানচিত্র যেমন গোটা বিশ্বকে চিহ্নিত করে, তেমনি একটি মহাদেশ, দেশ, জেলা, ইউনিয়ন, থানা প্রভৃতিকেও নির্দেশ করে। মানচিত্রের সাহায্যে একটি দেশের ভৌগোলিক সীমারেখা, ভৌগোলিক অবস্থান, জলবায়ু, নদ-নদী, পাহাড়, বনাঞ্চল, শস্য ইত্যাদি সম্পর্কে এক নজরে সমান ধারণা লাভ করা যায়। আর এসব কিছু জানার জন্য মানচিত্রের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

 

কম্পাস ও মানচিত্রের পার্থক্য কি?

কম্পাস

১। এটি দিক নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্র।

২। যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে, যেকোনো পরিস্থিতিতে এই যন্ত্রের সাহায্যে দিক নির্ণয় করা যায়।

৩। অচেনা জায়গায় গিয়ে হারিয়ে গেলে এটি সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়।

মানচিত্র

১। এটি সীমানার অবস্থান নির্দেশ করে।

২। যেকোনো সময়, যেকোনো পরিস্থিতিতে, যেকোনো স্থানের অবস্থান, সীমানা, আয়তন মানচিত্রের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়।

৩। অচেনা ভূখণ্ডের সীমানা নির্ধারণে সঠিক নির্দেশ দেয়।

 

Tags :

মানচিত্র কাকে বলে?; মানচিত্র কত প্রকার ও কি কি?; মানচিত্র অভিক্ষেপ কাকে বলে?; টপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র কাকে বলে?; ভূসংস্থানিক মানচিত্র কাকে বলে?; মানচিত্রের উপাদান গুলি কি কি?; মানচিত্র স্কেল কাকে বলে?; মানচিত্র পঠন ও ব্যবহার; মানচিত্রের বৈশিষ্ট্য কি কি?; কার্টোগ্রাফি কাকে বলে?; স্কেল অনুসারে মানচিত্র কত প্রকার?; মানচিত্র অংকন পদ্ধতি কি?; ক্যাডাস্ট্রাল ম্যাপ কাকে বলে?; থিমেটিক মানচিত্র কাকে বলে?; মৌজা মানচিত্র কাকে বলে?; বিন্দু মানচিত্র কাকে বলে?; প্রাকৃতিক মানচিত্র কাকে বলে?;

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments