HomeChemistryমিঠা পানি কাকে বলে? মিঠা পানির উৎস কয়টি?

মিঠা পানি কাকে বলে? মিঠা পানির উৎস কয়টি?

আমরা জানি, পানির অপর নাম জীবন, কারণ পানি ছাড়া জীবন কল্পনা করা যায় না। রাসায়নিকভাবে পানি হলো H2O; এটি সার্বজনীন দ্রাবক। তাই পানি সর্ব প্রকার দূষিত পদার্থকে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশুদ্ধ পদার্থে পরিণত করে পরিবেশ ও জীবকূল রক্ষা করে থাকে। পৃথিবী পৃষ্ঠের প্রায় 75% পানি দ্বারা আবৃত। পৃথিবীর মোট পানি সম্পদের শতকরা 97 ভাগ হলো লবণাক্ত পানি আর বাকি তিনভাগ হলো স্বাদু বা মিঠা পানি। আজকে আমরা আলোচনা করবো এই মিঠা পানি সম্পর্কে। এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন মিঠা পানি কাকে বলে?; মিঠা পানির উৎসকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?; এই প্রশ্নগুলির উত্তর। তো চলুন প্রথমেই জেনেনি মিঠা কাকে বলে।

 

মিঠা পানি কাকে বলে?

যে পানিতে অতি সামান্য পরিমাণে দূষিত পদার্থ দ্রবীভূত থাকে তাকে মিঠা পানি বলে। উদাহরণ : নদ-নদী, ঝরনা, পুকুর, হ্রদ, লেক, ভূ-গর্ভস্থ পানি ইত্যাদি।

 

মিঠা পানির উৎস কয়টি?

মিঠা পানির প্রধান উৎস দুটি:

১. ভূপৃষ্ঠীয় পানি (Surface water) : নদ-নদী, হ্রদ, ঝরনার পানি, খাল-বিলের পানি এবং বাঁধ ও খাদে জমে থাকা পানি হল ভূপৃষ্ঠীয় পানি।

২. ভূগর্ভস্থ পানি (Under ground water) : মাটির নিচে জমে থাকা পানিই ভূগর্ভস্থ পানি।

বায়ুমণ্ডলের মাধ্যমে মিঠা পানির সমতা বজায় থাকে। সূর্য কিরণ ব্যবহার করে সাগর মহাসাগর হতে উৎপন্ন বাষ্প বায়ুমণ্ডলে চলে আসে। এ বাষ্প বৃষ্টি আকারে ভূ-পৃষ্ঠে নেমে এসে ব্যবহৃত পানির ঘাটতি পূরণ করে। মানুষ তার প্রয়োজনে মিঠা পানির বহুমাত্রিক ব্যবহারের মাধ্যমে মিঠা পানিকে দূষিত করে ফেলে। যেমন— চাষাবাদের জন্য ভূ গর্ভস্থ পানির ব্যাপক ব্যবহারের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির ঘাটতি ও দূষণ ঘটে, নদ-নদীর পানি তাপবিদ্যুৎ ও অন্যান্য ব্যবহারের জন্য দূষিত হয়ে পড়ে। দূষিত পানি সাগর মহাসাগরে চলে যায়, আবার বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে পানির প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা পায়।

মিঠা পানির বিভিন্ন ব্যবহারের শতকরা পরিমাণ : তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে 50%, কৃষিকাজে 30%, শিল্পে 13%, গৃহস্থালিতে 7%।

 

বিশুদ্ধ মিঠা পানির গুরুত্ব কী?

মিঠা পানির গুরুত্ব : রান্নাবান্না, সেচকাজ সহ অন্যান্য আরও বহু কাজে মিঠা পানি ব্যবহার করা হয়। সে হিসেবে মিঠা পানির গুরুত্ব অত্যধিক। নিম্নে মিঠা পানির গুরুত্ব তুলে ধরা হলো:

  • দৈনন্দিন জীবনের নানাবিধ কাজ যেমন : খাওয়া, রান্না, গোসল, কাপড় ধোয়া বিভিন্ন কাজে বিশুদ্ধ মিঠা পানির ব্যবহার রয়েছে।
  • প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের দেহের মোট ভরের প্রায় ৭০% শতাংশ হচ্ছে পানি। মানুষকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য দৈনিক ৩-৪ লিটার পানি পানের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ দেহ গঠনে বিশুদ্ধ পানি অপরিহার্য।
  • কৃষিকাজে পানির গুরুত্ব অত্যধিক। ফসল উৎপাদনে সেচ কাজে বিশুদ্ধ মিঠা পানির প্রয়োজন হয়।
  • শিল্প কারখানায় যন্ত্রপাতি শীতল করতে, দ্রাবক হিসেবে পানি প্রয়োজন। এছাড়াও উৎপাদনের কোনো না কোনো পর্যায়ে পানি প্রয়োজন হয়। পানি ব্যবহার করে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
  • জীবের জন্য পানি অপরিহার্য। স্থলজ কিংবা জলজ যেকোনো পরিবেশের জীবের বেঁচে থাকার জন্য পানি আবশ্যক। প্রয়োজনীয় পানির অভাব ঘটলে বাস্তুতন্ত্র বা খাদ্যশৃঙ্খলের বিপর্যয় ঘটে। সুতরাং বাস্তুতন্ত্র এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণে পানির গুরুত্ব অত্যধিক।

 

Tags :

  • মিঠা পানি কি
  • মিঠা পানির উৎস কোনটি
  • মিঠা পানির সবচেয়ে বড় উৎস কোনটি
  • স্বাদু পানি ও মিঠা পানির পার্থক্য
  • পৃথিবীর মিঠা পানির উৎস কোনটি
  • বাংলাদেশের মিঠা পানির উৎস কোনটি
  • ভূপৃষ্ঠের মোট পানির শতকরা কত ভাগ মিঠা পানি
  • মিঠা পানির সংকেত কি?
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments