উপর দিকে কোনাে ঢিল ছোঁড়া হলে তা অভিকর্ষের টানে ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। কিন্তু যদি কোনাে বস্তুকে এমন বেগ দেওয়া যায়, তা পৃথিবীর অভিকর্ষ বলকে অতিক্রম করতে পারে তাহলে বস্তুটি আর পৃথিবীতে ফিরে আসবে না। ন্যূনতম যে বেগে কোনাে বস্তুকে উপরের দিকে ছোঁড়া হলে তা পৃথিবীর অভিকর্ষ থেকে মুক্ত হয়ে মহাশূন্যে চলে যেতে পারে তাই মুক্তি বেগ নামে পরিচিত।
সর্বাপেক্ষা কম যে বেগে কোনাে বস্তুকে খাড়া উপরের দিকে নিক্ষেপ করলে তা আর পৃথিবীতে ফিরে আসে না সেই বেগকে মুক্তি বেগ বলে। গাণিতিকভাবে,
যেখানে ve মুক্তিবেগ, G হল মহাকর্ষীয় ধ্রুবক (G = ৬.৬৭×১০−১১ মি৩ কেজি−1 সেকেন্ড−২), M তারা, গ্রহ বা অন্য যেকোন বস্তুর ভর এবং r এর ব্যাসার্ধ।
রকেটের বেগ মুক্তিবেগ নয় কেন?
আমরা জানি, কোনো বস্তুকে সর্বনিম্ন যে বেগে খাড়া উপরের দিকে নিক্ষেপ করলে তা আর পৃথিবীতে ফিরে আসে না তাকে মুক্তি বেগ বলে। মুক্তি বেগের ক্ষেত্রে বেগ দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এতে আর কোনো প্রকার শক্তি সরবরাহের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু রকেট নিক্ষেপের ক্ষেত্রে সব সময়ই জ্বালানী ব্যবহার করে শক্তি সরবরাহ করা হয়। তাই রকেটের বেগ মুক্তিবেগ নয়।
Tags :
- মুক্তিবেগ এর সূত্র কি?
- মুক্তিবেগ বস্তুর ভরের উপর নির্ভরশীল নয় কেন?
- বৃহস্পতির মুক্তিবেগ কত?
- মঙ্গল গ্রহের মুক্তিবেগ কত?
- সূর্যের মুক্তিবেগ কত?
- মুক্তিবেগ বস্তুর ভরের উপর নির্ভর করে না কেন?
- বুধের মুক্তিবেগ কত?
- রকেটের বেগ মুক্তিবেগ নয় কেন?
- বৃহস্পতি গ্রহের মুক্তিবেগ কত?
- মুক্তবেগ কাকে বলে?
- কোনো বস্তুকে মুক্তিবেগের কতগুণ বেগে নিক্ষেপ করলে কৃত্রিম উপগ্রহে পরিণত হবে?
- মুক্তিবেগের রাশিমালা।