HomeChemistryরাসায়নিক শক্তি কাকে বলে? What is called Chemical Energy?

রাসায়নিক শক্তি কাকে বলে? What is called Chemical Energy?

রাসায়নিক শক্তি কাকে বলে? (What is called Chemical Energy in Bengali/Bangla?)

কোনো পদার্থের মধ্যে একটি পরমাণু আরেকটি পরমাণুর সাথে যে আকর্ষণ শক্তির (বন্ধন শক্তি) মাধ্যমে যুক্ত থাকে অথবা একটি অণু অন্য অণুর সাথে যে আকর্ষণ শক্তির (আন্তঃআণবিক শক্তি) সাহায্যে যুক্ত থাকে তাকে রাসায়নিক শক্তি (Chemical Energy) বলে।

 

রাসায়নিক শক্তিকে তাপশক্তিতে রূপান্তর

পদার্থমাত্রই রাসায়নিক বন্ধন দ্বারা যুক্ত। কোনো পদার্থকে অক্সিজেন দ্বারা জারিত করলে তাকে দহন বলে। কয়লার কার্বন (C), মিথেন (CH4) ও হাইড্রোজেন দাহ্য পদার্থ। জ্বালানি দহনের ফলে উৎপন্ন পদার্থের অণু গঠনে ব্যয়িত শক্তি জ্বালানির অণুর মধ্যে স্থিত শক্তির তুলনায় কম। ফলে অতিরিক্ত শক্তি তড়িৎ চুম্বকীয় রশ্মি হিসেবে চারদিকে ছড়ায় যা, তাপ হিসেবে অনুভব করি।

 

রাসায়নিক শক্তির কাজ

কাজ করার ক্ষমতাকে শক্তি বলে। বিভিন্ন উৎস থেকে শক্তি উৎপন্ন করা যায়। আধুনিককালের সবচেয়ে জনপ্রিয় শক্তি হলো বিদ্যুৎ। সিংহভাগ বিদ্যুৎ তাপ ইঞ্জিনে জ্বালানি পুড়িয়ে টারবাইন ঘুরিয়ে তৈরি করা হয়। রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে আলো জ্বালানো, রেডিও টিভি চালানো, পাখা ঘুরানো প্রভৃতিতে ব্যবহার করা যায়।

 

রাসায়নিক শক্তির যথাযথ ব্যবহার

সব শক্তির উৎস হল সূর্য। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে সূর্য থেকে শক্তি সঞ্চয় করে। আলোকশক্তি ও বায়ুর কার্বন-ডাই অক্সাইড মিলে উদ্ভিদ দেহে বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক যৌগের সৃষ্টি হয়। উদ্ভিদ থেকে প্রাণীকূল সংগ্রহ করে। উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃত্যুর পর পরবর্তীতে বহু বছর ধরে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে পেট্রোলিয়াম, কয়লা ও প্রাকৃতির গ্যাসরূপে ভূগর্ভে জমা হয়। এদেরকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলে। কিন্তু এ জীবাশ্ম জ্বালানি অফুরন্ত নয়। আগামী একশ বছরেই এ জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হয়। আমরা বিভিন্নভাবে শক্তির অপচয় করছি। অপ্রয়োজনে চুলা জ্বালিয়ে রাখছি। আলো জ্বালাচ্ছি, পাখা ঘুরাচ্ছি, বিনোদনের জন্য রকমারী আলোকসজ্জা করছি। এর ফলে খনিজ জ্বালানিগুলো দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাই এসব জ্বালানির অপচয় রোধ করে জ্বালানির দীর্ঘ সময় ব্যবহার নিশ্চিত করা আমাদের একান্ত মানবীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য।

 

রাসায়নিক শক্তি ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব

জ্বালানিকে পুড়িয়ে সিংহভাগ শক্তি উৎপন্ন করা হয়। ফলে CO2, CO, SO2, NO ও ধোয়ার সাথে বের হওয়া অদহনীয় জ্বালানি বাতাসে মিশে যাচ্ছে। এতে করে দিন দিন CO2 এর পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। CO2 এর তাপ ধারণ ক্ষমতা বেশি এবং এটি ওজনে ভারী হওয়ায় পৃথিবী পৃষ্ঠের কাছাকাছি থাকে। এতে দিন দিন পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, যাকে আমরা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলি। CO2-এর এ ধরনের ঘটনাকে গ্রিনহাউজ প্রভাব বলে এবং CO2 কে গ্রিনহাউস গ্যাস বলে। জ্বালানি পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন বিভিন্ন গ্যাস এসিড বৃষ্টি ও ফটোক্যামিক্যালে ধোঁয়ার সৃষ্টি করে এবং ওজোনস্তরে ক্ষতের সৃষ্টি করে। ওজোনস্তর, সূর্যের আলোর ছাঁকনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments