HomeChemistryসমাণুতা কাকে বলে? সমাণুতা কত প্রকার ও কি কি?

সমাণুতা কাকে বলে? সমাণুতা কত প্রকার ও কি কি?

যেসব যৌগের আণবিক সংকেত একই কিন্তু কমপক্ষে একটি ভৌত বা রাসায়নিক ধর্মে পার্থক্য বিদ্যমান থাকে তাদেরকে পরস্পরের সমাণু এবং এ বিষয়কে সমাণুতা (Isomerism) বলে।

 

সমাণুতার শ্রেণিবিভাগ (Classification of Isomerism)

সমাণুতাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। যথা–

১. গাঠনিক বা কাঠামোগত সমাণুতা (Structural Isomerism)

২. ত্রিমাত্রিক বা স্টেরিও সমাণুতা (3 dimentional or stereo Isomerism)

১. গাঠনিক বা কাঠামোগত সমাণুতা (Structural Isomerism)

সমাণু যৌগসমূহের আণবিক গঠনের কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য যে ধরনের সমাণুতার উদ্ভব হয় তাকে গাঠনিক সমাণুতা বলে। গাঠনিক সমাণুতা পাঁচ ধরনের :

  • শিকল বা কেন্দ্রীয় সমাণুতা;
  • কার্যকরী মূলক সমাণুতা;
  • অবস্থান সমাণুতা;
  • টটোমারিজম ও
  • মেটামারিজম।

i. অবস্থান সমাণুতাঃ জৈব যৌগের অণুতে কার্বন শিকলে কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন বা কার্বন-কার্বন ত্রিবন্ধন এর অবস্থান বা একই কার্যকরী মূলকের বিভিন্ন অবস্থানের কারণে সৃষ্ট সমাণুতাকে অবস্থান সমাণুতা বলে।

ii. টটোমারিজমঃ যদি একটি নির্দিষ্ট কার্যকরী মূলক সংবলিত কাঠামো থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভিন্ন রকম কার্যকরী মূলক যুক্ত কাঠামোর যৌগে রূপান্তর ঘটে এবং উভয় কাঠামোর মধ্যে একটি গতিশীল সাম্যাবস্থার সৃষ্টি হয় তবে এ ধরনের সমাণুতাকে টটোমারিজম বলে।

iii. মেটামারিজমঃ একই সমগোত্রীয় শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত সমাণুসমূহের একই কার্যকরী মূলকের উভয় পার্শ্বে কার্বন পরমাণুর সংখ্যার ভিন্নতার কারণে সৃষ্ট সমাণুতাকে মেটামারিজম বলে।

 

২. ত্রিমাত্রিক বা স্টেরিও সমাণুতা (3 dimentional or stereo Isomerism)

একই আণবিক সংকেত ও একই গাঠনিক সংকেতবিশিষ্ট কিছু সমাণু যৌগের অণুস্থিত বিভিন্ন পরমাণু ও মূলকের ত্রিমাত্রিক অবস্থান বিন্যাসের ভিন্নতার কারণে এদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়, এসব যৌগকে স্টেরিও সমাণু এবং এদের এ ধর্মকে স্টেরিও সমাণুতা বলে। স্টেরিও সমাণুতা দু’প্রকার। যেমন, ১. জ্যামিতিক সমাণুতা বা সিস-ট্রান্স সমাণুতা ও ২. আলোক সক্রিয় সমাণুতা।

i. জ্যামিতিক সমাণুতা বা সিস-ট্রান্স সমাণুতা : একই আণবিক সংকেত ও গাঠনিক সংকেতবিশিষ্ট জৈব যৌগের কার্বন-কার্বন বন্ধনের অক্ষ বরাবর মুক্ত আবর্তন সম্ভব না হলে তখন ভিন্ন কনফিগারেশন বা জ্যামিতিক বিন্যাস যুক্ত দু’ধরনের যৌগ অণু সৃষ্টি হয় তাদেরকে সিস্-ট্রান্স সমাণু বলে।

উদাহরণ : বিউটিন-2 এর দুটি কনফিগারেশন যুক্ত দুটি সমাণু সম্ভব। তাদের একটি হলো সিস্-বিউটিন-2 ও অপরটি হলো ট্রান্স-বিউটিন-2।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments