HomeProgrammingসি প্রোগ্রামিং ভাষা (C Programming Language) কি?

সি প্রোগ্রামিং ভাষা (C Programming Language) কি?

সি প্রোগ্রামিং ভাষা কি? (What is C Programming Language in Bengali/Bangla?)

সি (C) হচ্ছে মধ্য পর্যায়ের হাই-লেবেল ল্যাংগুয়েজ। এটি অন্যান্য হাই-লেবেল ল্যাংগুয়েজগুলোর মধ্যে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী ভাষা। এ ভাষা ব্যবহার করে সব ধরনের প্রোগ্রাম লেখা যায় বলে বর্তমানে এ ভাষা বহুভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ভাষাতে কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার লেখা হয়।

 

সি প্রোগ্রামিং ভাষা উন্নয়নের ইতিহাস (Development History of C Programming Language)

সি একটি প্রসিডিউরাল প্রোগ্রাম ভাষা। বর্তমানে প্রসিডিউর অরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ভাষা হিসেবে সি ব্যাপকভাবে পরিচিত। সি নামটা এসেছে মার্টিন রিচার্ডস-এর উদ্ভাবিত BCPL (Basic Combined Programming Language) ভাষা (সংক্ষেপে বি) থেকে, যা প্রাথমিকভাবে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে রিসার্স অরিয়েন্টেড কাজে ব্যবহৃত হতো। ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এটিএন্ডটি বেল ল্যাবরেটরিতে ডেনিস রিচি (Dennis Ritchie) ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে সি ভাষা উদ্ভাবন করেন। ১৯৭৮ সালে ডেনিস রিচির লেখা ‘দ্যা সি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ’ বইটি প্রকাশের পর এবং মাইক্রো কম্পিউটারের জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে সি-এর ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়। সে সময়ে সি-এর জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ ছিল এক কম্পিউটারে লেখা প্রোগ্রাম অন্য কম্পিউটারে ব্যবহারের সুবিধা।

 

সি প্রোগ্রামিং ভাষার বৈশিষ্ট্য (Characteristics of C Programming Language)

প্রোগ্রামিং ভাষা হিসেবে সি এর গুরুত্ব অনেক। নিচে সি এর কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো–

১. এটি একটি উচ্চ স্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা।

২. C ভাষা একটি স্ট্রাকচারড প্রোগ্রামিং ভাষা।

৩. প্রতিটি C প্রোগ্রামিংয়ে একটি main ( ) ফাংশন (Function) থাকে।

৪. প্রতিটি প্রোগ্রামিং স্টেটমেন্ট শেষ হয় সেমিকোলন দ্বারা।

৫. প্রতিটি চলক ব্যবহারের পূর্বেই তাদের ডাটা টাইপ উল্লেখ থাকে।

৬. Header ফাইলগুলো #include দ্বারা যুক্ত করা হয়।

৭. সি ভাষায় অনেক লাইব্রেরী ফাংশন, কন্ট্রোল স্টেটমেন্ট ইত্যাদির সুবিধা আছে।

 

সি প্রোগ্রামিং ভাষার অসুবিধা (Disadvantages of C Programming Language)

১. সি ল্যাংগুয়েজকে case sensitive ভাষাও বলা হয়। সি-ভাষায় সাধারণত সব প্রোগ্রাম ছোট হাতের অক্ষরে লেখা হয় অর্থাৎ সি প্রোগ্রামে ছোট হাতের অক্ষর ও বড় অক্ষরের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।

২. সি ভাষায় নেম স্পেস অগ্রাহ্য করে।

৩. সি ভাষায় সঠিকভাবে চলক ঘোষণা করা হয়।

৪. লাইব্রেরি ফাংশনের হেডার ফাইলগুলো ঠিকমত ডিক্লেয়ার করতে হয়।

৫. সি ল্যাংগুয়েজ অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ফিচারকে সমর্থন করে না।

৬. প্রোগ্রাম রান করার সময় চেকিং করা যায় না।

৭. আধুনিক প্রোগ্রামিং এনভায়রনমেন্টকে হ্যান্ডেলিং করার মতো পর্যাপ্ত লাইব্রেরি ফাংশন নেই।

 

সি ভাষার ব্যবহার (Using of C Programming Language)

বর্তমানে প্রচলিত কম্পাইলার ও অপারেটিং সিস্টেমগুলোর শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশি সি ভাষায় রচিত। সি ভাষায় অ্যাসেম্বলি এবং উচ্চতর ভাষার প্রোগ্রামিং কৌশলের সমন্বয় সাধন করা যায় বলে এটি মধ্যস্তরের ভাষা হিসেবে পরিচিত। সি ভাষায় সহজেই অত্যন্ত জটিল সমস্যা সমাধান করা যায়। সি ভাষাকে কম্পিউটার ভাষার জনক বলা হয়ে থাকে। এ ভাষার সাহায্যে যে ধরনের প্রোগ্রাম লেখা যায় তাহলো–

১. অপারেটিং সিস্টেম (Operating System)

২. ল্যাংগুয়েজ কম্পাইলার (Language Compiler)

৩. ল্যাংগুয়েজ ইন্টারপ্রিটার (Language Interpreter)

৪. অ্যাসেম্বলার (Assembler)

৫. ডেটাবেজ প্রোগ্রাম (Database Programme)

৬. টেক্সট এডিটর (Text Editor)

৭. কম্পিউটার গেমস (Computer Games)

৮. কম্পিউটার ভাইরাস ও এন্টিভাইরাস (Computer Virus and Anti-Virus)

৯. ইউটিলিটিজ (Utilities)

১০. নেটওয়ার্ক ড্রাইভারস (Network Drivers)

 

এ সম্পর্কিত আরও প্রশ্ন ও উত্তরঃ–

১। C ভাষায় লেখা প্রোগ্রামকে কী কোড বলা হয়?

উত্তর : সোর্স।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments