HomeNetworkingহাব কি? হাব ও সুইচের মধ্যে পার্থক্য কি?

হাব কি? হাব ও সুইচের মধ্যে পার্থক্য কি?

হাব (Hub) হচ্ছে নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারসমূহকে পরস্পর কানেক্টেড বা সংযুক্ত করার জন্য একটি সাধারণ কানেক্টিং পয়েন্ট যা রিপিটার হিসেবে কাজ করে। হাবে অনেকগুলাে পাের্ট থাকে। একটি পাের্টের মাধ্যমে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হয়। হাবের অন্তর্ভুক্ত যেকোনাে কম্পিউটার থেকে কোনাে ডেটা প্রেরণ করলে তা সব পাের্টের কাছেই পৌছায়। ফলে নেটওয়ার্কভুক্ত সকল কম্পিউটারই উক্ত ডেটা গ্রহণ করতে পারে। হাবের দাম কম। হাবের মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদানে বাধার সম্ভাবনা থাকে। কার্যপ্রণালীর ওপর ভিত্তি করে হাবকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

  • প্যাসিভ হাব বা নিষ্ক্রিয় হাব
  • অ্যাকটিভ হাব বা সক্রিয় হাব
  • ইন্টেলিজেন্ট হাব বা বুদ্ধিমান হাব

১। সক্রিয় হাব (Active Hub) : এসব হাব সংকেতের মানকে বৃদ্ধি করে এবং মূল সংকেত থেকে অপ্রয়োজনীয় সংকেত বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় সংকেত প্রেরণ করে। কোনো কোনো সক্রিয় হাব সংকেতকে স্বল্পমাত্রায় প্রসেসও করে থাকে। এ-জাতীয় অধিক ক্ষমতাযুক্ত হাবকে অনেক সময় Intelligent Hub বলা হয়।

২। নিষ্ক্রিয় হাব (Passive Hub) : এসব হাব কম্পিউটারগুলোর মধ্যে বসে তথ্য আদান-প্রদানে সহায়তা করে মাত্র; কিন্তু সংকেতের মানকে বৃদ্ধি করে না। সেই জন্য এসব হাব কোনো অপঃরাব ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়।

৩। ইন্টেলিজেন্ট হাব বা বুদ্ধিমান হাব : অ্যাকটিভ হাব কেবল সিগনাল রিজেনারেট করতে পারে কিন্তু সেসব সিগনাল ফিল্টারিং কিংবা প্রসেসিং করতে পারে না। ইনটেলিজেন্ট হাব বিভিন্ন সিগনাল প্রসেসিং ও প্রয়োজনে ফিল্টারিং করতে পারে। বিভিন্ন সিগনাল পরীক্ষা করে সেই সিগনালকে নির্দিষ্ট গন্তব্য কম্পিউটারের নিকট পাঠিয়ে দিতে পারে ইন্টেলিজেন্ট হাব। এর ফলে একটি সিগনাল সব কম্পিউটারে যায় না এবং নেটওয়ার্কে অযথা ট্রাফিক তৈরি করে না।

 

হাব ও সুইচের মধ্যে পার্থক্য কি?

হাব ও সুইচের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হলোঃ

হাব

  • নেটওয়ার্কের কম্পিউটারগুলোকে যুক্ত করার জন্য হাব ব্যবহৃত হয়।
  • হাবের তুলনামূলক দাম কম।
  • হাব নির্দিষ্ট ঠিকানা অনুযায়ী তথ্য পাঠাতে পারে না।
  • হাবের কাজের গতি কম।
  • হাব কমসংখ্যক কম্পিউটার যুক্ত করতে পারে।
  • হাবের কনফিগারেশন সহজ।

সুইচ

  • নেটওয়ার্কের সকল কম্পিউটারকে যুক্ত করতে সুইচ ব্যবহৃত হয়।
  • সুইচের মূল্য হাবের থেকে একটু বেশি।
  • সুইচ নির্দিষ্ট ঠিকানা অনুযায়ী তথ্য পাঠাতে পারে।
  • সুইচের গতি হাবের থেকে বেশি।
  • সুইচ হাবের তুলনায় বেশি সংখ্যক কম্পিউটার যুক্ত করতে পারে।
  • সুইচের কনফিগারেশন একটু জটিল।

 

হাব ব্যবহারের সময় বিশেষ যে বিষয়গুলাের দিকে নজর রাখা দরকার তাহলােঃ

  • একটি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করার জন্য সর্বোচ্চ কয়টি হাব ব্যবহার করতে পারা যায় তার একটি সীমা আছে। এটি নির্ভর করে টপােলজির উপর । বেশিরভাগ নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চারটি হাব ব্যবহারের সুযােগ আছে।
  • ভাল পারফরম্যান্সের জন্য একটি হাবকে আরেকটির সাথে যুক্ত না করে কোনাে সার্ভার নেটওয়ার্ক এডাপ্টারের সাথে যুক্ত করতে হবে।
  • হাবে যুক্ত হওয়া প্রতিটি সংযােগ লেবেল যুক্ত করতে হবে। সেই লেবেলে স্পষ্টভাবে লিখেতে হবে যে উক্ত ক্যাবলটি কোন স্টেশন হতে এসেছে। এর ফলে ট্রাবলটিং সুবিধা হবে।
  • একটি ডেটা সিগনালকে যত বেশি হাবের মধ্য দিয়ে যেতে হবে তত সেই সিগনাল দূর্বল হয়ে যাবে। সে কারণে বেশি হাব থাকা মানে নেটওয়ার্কের গতি কমে যাওয়া।

 

Tags :

  • হাবের কাজ কি
  • Usb হাব কি
  • হাব ও সুইচ কাকে বলে
  • হাব কত প্রকার
  • হাব নেটওয়ার্ক
  • পাওয়ার হাব কি
  • হাব কি এর সুবিধা লিখ
  • হাবের অসুবিধা কোনটি?
  • হাব সুইচ রাউটার পার্থক্য
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments