ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির আইসিটি)

প্রশ্ন-১. SQL এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তর : SQL এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Structured Query Language.

প্রশ্ন-২. @ সিমবলটির ব্যবহার কী?

উত্তর : @ সিমবলটির শুধু ক্যারিয়ার ইনপুট দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-৩. CRM এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তর : CRM এর পূর্ণরূপ হলো Customer Relationship Management.

প্রশ্ন-৪. ডেটাবেজ সিকিউরিটির প্রকারভেদ লেখ।

উত্তর : ডেটাবেজ সিকিউরিটিকে মূলত দুইটি অংশে ভাগ করা যায়। তা হলো– (১) সিস্টেম সিকিউরিটি (২) ডেটা সিকিউরিটি।

প্রশ্ন-৫. ডেটাবেজের রিলেশন কত প্রকার?

উত্তর : ডেটাবেজের রিলেশন চার প্রকার।

প্রশ্ন-৬. ডেটাবেজ ফাইলে কত ধরনের ইনডেক্স ব্যবহৃত হয়?

উত্তর : ডেটাবেজ ফাইলে দুই ধরনের ইনডেক্স ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-৭. ওয়েব এনাবল্ড ডেটাবেজের কয়েকটি সুবিধা লেখ।

উত্তর : ভার্চুয়াল কমিউনিটি, রিলেশনাল ডেটাবেজ, তাৎক্ষণিক মতামত।

প্রশ্ন-৮. ডেটাবেজ সৃজনের গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় লেখো।

উত্তর : ডেটাবেজ সৃজনের গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় হলো: (১) ডেটা গঠন ও তাদের মধ্যে সম্পর্ক এবং (২) ডেটাবেজের উপাত্ত কাঠামো।

প্রশ্ন-৯. কি-ফিল্ড কী?

উত্তর : ফাইল ও ডেটাবেজের রেকর্ড শনাক্তকরণ, অনুসন্ধান এবং একাধিক ফাইলের মধ্যে সম্পর্ক তৈরির জন্য যে ফিল্ড ব্যবহার করা হয় তাকে কি-ফিল্ড বলে।

প্রশ্ন-১০. এনটিটি সেট কী?

উত্তর : ডেটাবেজের অন্তর্গত ডেটা ফাইল বা টেবিলগুলোকে এক একটি এনটিটি সেট বলা হয়।

প্রশ্ন-১১. ডেটা টাইপ কী?

উত্তর : ডেটার ধরনকে ডেটা টাইপ বলে।

প্রশ্ন-১২. make table কুয়েরি কাকে বলে?

উত্তর : কুয়েরি ফলাফল দিয়ে নতুন টেবিল তৈরি করা হলে তাকে make table কুয়েরি বলে।

প্রশ্ন-১৩. এনক্রিপশন কাকে বলে?

উত্তর : ডেটাবেজকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর মূল ফরমেট থেকে অন্য ফরমেটে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে এনক্রিপশন বলে।

প্রশ্ন-১৪. ইনডেক্সিং কী?

উত্তর : সুসজ্জিতভাবে বা সুবিন্যস্তভাবে তথ্যাবলির সূচি প্রণয়ন করা হলো ইনডেক্সিং।

প্রশ্ন-১৫. ফর্ম কি?

উত্তর : ফর্ম এক ধরনের অবজেক্ট যা প্রাথমিকভাবে ডেটাবেজে কোনো ইনপুট বা ডেটা প্রদর্শনের ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-১৬. DBMS এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তর : DBMS এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Database Management System.

প্রশ্ন-১৭. ATM এর অর্থ কী?

উত্তর : ATM এর অর্থ হলো Automated Teller Machine.

প্রশ্ন-১৮. ডেটার রেকর্ডসমূহকে কী কী ভাবে সর্ট করা যায়?

উত্তর : রেকর্ডসমূহকে দুভাবে সর্ট করা যায়।যথা- ১. Ascending order ও ২. Descending order

প্রশ্ন-১৯. SQL এর মূল সংগঠনগুলো কী কী?

উত্তর : SQL এর মূল সংগঠনগুলো হলো- ১. select, ২. From ও ৩. Where।

প্রশ্ন-২০. কুয়েরি ল্যাঙ্গুয়েজ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিনটি নাম কী কী?

উত্তর : উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো- ১. QUEL, ২. QBE এবং ৩. SQL।

প্রশ্ন-২১. SQL কত সালে তৈরি হয়?

উত্তর : ১৯৭৪ সালে IBM এর San Jose Research center-এ SQL তৈরি হয়।

প্রশ্ন-২২. কয়েকটি অপারেটরের নাম লেখ।

উত্তর : কয়েকটি অপারেটরের নাম হলো: ১. রিলেশনাল অপারেটর, ২. যুক্তিমূলক অপারেটর ও ৩. গাণিতিক অপারেটর।

প্রশ্ন-২৩. অপারেটর কী?

উত্তর : অপারেটর হচ্ছে সে সকল চিহ্ন যা প্রোগ্রামে গাণিতিক, যুক্তিমূলক ও তুলনামূলক কাজে ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন-২৪. সেকেন্ডারি কি-ফিল্ড কী?

উত্তর : রেকর্ড শনাক্ত করার জন্য প্রাইমারি কি-ফিল্ড ছাড়া অন্য যে সকল কি-ফিল্ড ব্যবহৃত হয় তাকে সেকেন্ডারি কি-ফিল্ড বলে।

প্রশ্ন-২৫. Null ভেল্যু নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হয় কোনটি?

উত্তর : Null ভেল্যু ব্যবহারের জন্য Is ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-২৬. ডেটা ওয়্যারহাউস কী?

উত্তর : ডেটা ওয়্যারহাউস হলো বিশাল আকারের ডেটাবেজ যেটি ঐতিহাসিক ও বর্তমান লেনদেনগুলোর বিশ্লেষণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ডেটাকে সংরক্ষণ করে।

প্রশ্ন-২৭. ডেটা মাইনিং বলতে কী বোঝ?

উত্তর : ডেটা ওয়্যারহাউজ ডেটাবেজ এবং তাদের ধারণকৃত স্ট্যাটিক ডেটার (Static Data) প্রধান ব্যবহারই হচ্ছে ডেটা মাইনিং (Data Mining)।

প্রশ্ন-২৮. অ্যাট্রিবিউট কাকে বলে?

উত্তর : কোনো একটি এনটিটি সেটের যে প্রপার্টিজগুলো ঐ এনটিটির বৈশিষ্ট্যগুলো প্রকাশ করে এবং যার ওপর ভিত্তি করে উপাত্ত গ্রহণ, প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ করা হয় তাকে অ্যাট্রিবিউট বলে।

প্রশ্ন-২৯.ডেটাবেজ সিকিউরিটি কী?

উত্তর : অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির হাত থেকে ডেটার গোপনীয়তা রক্ষা করাকে বলা হয় ডেটাবেজ সিকিউরিটি।

প্রশ্ন-৩০. কুয়েরি কাকে বলে?

উত্তর : ডেটাবেজে সংরক্ষিত অসংখ্য তথ্য থেকে কোনো নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে তথ্য খুঁজে বের করাকে কুয়েরি বলে। কুয়েরির সাহায্যে নির্দিষ্ট ফিল্ডের ডেটা, নির্দিষ্ট গ্রুপের ডেটা, নির্দিষ্ট শর্ত অনুসারে প্রদর্শন করা যায়।

প্রশ্ন-৩১. ডেটাবেজ ইন্টারোগেশন কী?

উত্তর : ব্যবহারকারী ডেটাবেজ হতে তথ্য আহরণ অর্থাৎ রেকর্ড অনুসন্ধান ও রিপোর্ট তৈরি করতে পারে আর এটাই হচ্ছে ডেটাবেজ ইন্টারোগেশন।

প্রশ্ন-৩২. সর্টিং ও ইনডেক্সিং এক নয় কেন?

উত্তর : সর্টিং ও ইনডেক্সিং এক নয়। কারণ সর্টিং পদ্ধতিতে ডেটা ফাইলকে সর্ট করা হলে মূল ডেটা ফাইলের রেকর্ডটির ক্রমিক নং পরিবর্তন হয়। কিন্তু ইনডেক্সিং রেকর্ডের ক্রমিক নং অপরিবর্তিত থাকে। এছাড়াও ডেটাবেজ কোনো রেকর্ড সংশোধন বা সংযোজন করলে সর্ট করা ফাইল আপডেট হয় না, কিন্তু ইনডেক্সিং এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়। তাই সর্টিং ও ইনডেক্সিং এক নয়।

প্রশ্ন-৩৩. ফর্ম ও রিপোর্টের মধ্যে পার্থক্য লিখো।

উত্তর : ফর্ম হলো এমন একটি ফাইল যা ব্যবহারকারী থেকে ইনপুট নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। ফর্মের অধীনস্ত ফাঁকা ফিল্ডগুলোকে ব্যবহারকারী পূরণ করে যাবে।

অন্যদিকে, ডেটাবেজ থেকে কুয়েরি করে নির্দিষ্ট ফিল্ডের ডেটা প্রদর্শনের জন্য রিপোর্ট তৈরি করা হয়।

প্রশ্ন-৩৪. ডেটাবেজ রিলেশন তৈরি করলে কী সুবিধা পাওয়া যায়?

উত্তর : ডেটাবেজ রিলেশন করলে তথ্যের নিম্নোক্ত সুবিধা পাওয়া যায়-

টেবিলে ডেটা ডুপ্লিকেশন হতে পারে না। ফলে মেমোরি অপচয় এবং খরচ রোধ করা যায়।

ডুপ্লিকেশন কমানো যায়, প্রসেসিং স্পিড বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন-৩৫. ইনডেক্সিং এর তুলনায় সর্টিং এ বেশি মেমোরির প্রয়োজন হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : ইনডেক্সিং এর তুলনায় সর্টিং এ বেশি মেমরির প্রয়োজন হয়। কারণ সর্টিং পদ্ধতিতে ডেটা ফাইলকে সর্ট করা হলে মূল ডেটা ফাইলের রেকর্ডের ক্রমিক নং পরিবর্তন হয় এবং সর্ট করা মূল ডেটা ফাইলটি বিন্যাসকৃত অবস্থায় মেমোরিতে জমা হয়।

প্রশ্ন-৩৬. দুটি ডেটা টেবিলের প্রাইমারি কি ফিল্ড কখন একই হওয়া প্রয়োজন ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : রিলেশন করানোর জন্য দুইটি ডেটা টেবিলের প্রাইমারি কি ফিল্ড একই হওয়া প্রয়োজন। প্রাইমারি কি ফিল্ড হলো যে ফিল্ডের প্রত্যেকটি মান একটি অপরটির থেকে ভিন্ন। দুটি ডেটা টেবিলের প্রাইমারি কি যদি একই হয়, তাহলে তাদের মধ্যে One to one রিলেশন সৃষ্টি করা সম্ভব। আর রিলেশনের মাধ্যমে ডেটাবেজ আরো সুন্দর করা এবং সাজানো যায়। আর এক্ষেত্রেই দুটি ডেটা টেবিলের প্রাইমারি কি ফিল্ড একই হওয়া প্রয়োজন।

প্রশ্ন-৩৭. key ফিল্ড ছাড়াও দুইটি টেবিলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : Key ফিল্ড ছাড়াও দুইটি টেবিলের সাথে Composite Primary Key দ্বারা সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। একাধিক ফিল্ডের সমন্বয়ে ইহা গঠিত হয়। এখানে কয়েকটি টেবিল থেকে একটি প্রাইমারি কি নির্ধারণ করা হয়। তাই ইহা দ্বারাও দুইটি টেবিলের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব।

প্রশ্ন-৩৮.SQL এর INSERT কমান্ডের গঠন ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : কোন টেবিলে নতুন রেকর্ড সংযোজন করার জন্য insert স্টেটমেন্টটি ব্যবহৃত হয়। insert স্টেটমেন্টটির সিনটেক্স হলো-

INSERT INTO tablename(columnnamel, columnname2, columnname3,…..)

VALUES(Valuel, Value2, Value3, …);

এখানে উল্লেখ্য যে, ভেল্যু টেক্সট বা ক্যারেক্টার হলে সিঙ্গেল কোটেশন (‘ ‘) এর মধ্যে লিখতে হবে কিন্তু নাম্বার বা সংখ্যা হলে কোন কোটেশনের প্রয়োজন নেই।

 

প্রশ্ন-৩৯.দুটি টেবিলের মধ্যে রিলেশন তৈরির প্রধান শর্ত লিখ।

উত্তর : ডেটাবেজের ক্ষেত্রে, কোন একটি ফিল্ডের উপর ভিত্তি করে দুই বা ততোধিক টেবিলের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য সম্পর্ক তৈরি করাকে রিলেশন বা রিলেশনশীপ বলে। রিলেশন তৈরির প্রধান শর্তসমূহ হলো: ১. রিলেশন ডেটা টেবিলগুলির মধ্যে কমপক্ষে একটি কমন ফিল্ড থাকবে। ২. কমন ফিল্ডকে অবশ্যই প্রাইমারি কি ফিল্ড হতে হবে। ৩. কমন ফিল্ডের নাম, ডেটা টাইপ, ফিল্ড সাইজ ইত্যাদি একই হতে হবে। ৪. প্রাইমারি কি ফিল্ড হিসাবে নির্বাচিত ফিল্ডের তথ্য ইউনিক হতে হবে।

প্রশ্ন-৪০.DBMS-এর ক্ষেত্রে ব্যাক এন্ড বলতে কী বোঝ?

উত্তর : যেখানে তথ্য বা ডেটা জমা থাকে তাকে ব্যাক এন্ড বলে। সুতরাং ব্যাক এন্ড হলো তথ্যের ধারক। যেমন: টেবিল (Table), ভিউ (View) ইত্যাদি। ডেটাবেজের গঠনগত পরিবর্তন, ইউজারের সংখ্যা নির্ধারণ এবং ইউজার প্রিভিলেজ ইত্যাদি কাজ ব্যাক এন্ডে করা হয়। এ ছাড়াও ব্যাক এন্ড যে সব দায়িত্ব পালন করে তা হলো কুয়েরি (Query) সম্পাদনা, অপটিমাইজেশন, কনকারেন্সসি কন্ট্রোল, রিকভারি ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৪১. DBMS-এর গাঠনিক স্তর বুঝিয়ে লেখো।

উত্তর : এই স্তরটি সবচেয়ে নিচের স্তর। এর মানে হলো, এ স্তরটি অন্য স্তরের ভিত্তি। এ স্তরে ডেটাবেজ কীভাবে গঠন করা হলো, এতে তথ্য কী উপায়ে রাখা হলো, তথ্যের গঠন ইত্যাদি বিস্তারিত দেওয়া থাকে।

প্রশ্ন-৪১. এনক্রিপশন কীভাবে ডেটার নিরাপত্তা বিধান করে?

উত্তর : ডেটার নিরাপত্তার জন্য সাধারণত ডেটা এনক্রিপশন করা হয়। এই পদ্ধতিতে ডেটা এনক্রিপ্ট করা হয়, ফলে তা এক ধরনের কোডে পরিনত হয়, যাকে পুনরায় ডিক্রিপ্ট করলে অরজিনাল ডেটা এনক্রিপ্টেড পূর্ববর্তী ডেটা পাওয়া যায়। উৎস বা প্রেরক ডেটাকে এনক্রিপ্ট করলে, প্রাপক বা গন্তব্য ঐ এনক্রিপ্টেড ডেটাকে ব্যবহারের আগে ডিক্রিপ্ট করে নেয়। তবে প্রেরককে এনক্রিপ্ট এবং প্রাপককে ডিক্রিপ্ট করার নিয়ম জানতে হয়। এনক্রিপ্টেড ডেটাকে একই পদ্ধতি বা অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ডিক্রিপ্ট করতে হয়।

Leave a Comment