ভিডিও কনফারেন্সিং কি? ভিডিও কনফারেন্সিং এর সুবিধা কি?

ভিডিও কনফারেন্সিং হলো এক সারি ইন্টারঅ্যাক্টিভ টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি যেগুলো দুই বা ততোধিক অবস্থান হতে নিরবিচ্ছিন্ন দ্বিমুখী অডিও এবং ভিডিও সম্প্রচারের মাধ্যমে একত্রে যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ দেয়। একে ‘ভিজ্যুয়াল কোলাবোরেশন’ নামেও কেউ কেউ অভিহিত করে থাকেন এবং এটি গ্রুপওয়্যারের একটি ধরন। তবে এটি ভিডিওফোনের চেয়ে ভিন্নতর। কারণ ভিডিওফোনের মাধ্যমে পৃথক পৃথকভাবে ভিডিও যোগাযোগ করা যায়। আর ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সকলে একত্রিত অবস্থায় পারস্পরিক আলাপ আলোচনা চালিয়ে যেতে পারেন। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত উপকরণগুলো প্রয়োজন–

১. মাল্টিমিডিয়া কম্পিউটার (Multimedia computer)

২. ওয়েবক্যাম (Webcam)

৩. ভিডিও ক্যাপচার কার্ড (video capture card)

৪. মডেম (Modem)

৫. মাইক্রোফোন (Microphone)

৬. টেলিফোন সংযোগ (Telephone connection)

৭. ইন্টারনেট সংযোগ (Internet connection)

৮. প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারসমূহ (Required software)

এ পদ্ধতি যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন ধরনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। বর্তমানে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবসায়-বাণিজ্য ছাড়াও শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে অনেকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে অনেক দূরে অবস্থান করা কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে রোগী সরাসরি কথা বলতে পারেন যা টেলিমেডিসিন নামে পরিচিত। ভ্রমণ ভাড়া, থাকা, খাওয়া, সময় বাঁচিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য এটি একটি অত্যন্ত সহায়ক উপায়। মাইক্রোসফট নেটমির্টিং একটি জনপ্রিয় ভিডিও কনফারেন্সিং সফটওয়্যার। ভিডিও কনফারেন্সিং এর ব্যাপক ব্যবহার ইদানিং বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও দেখা যাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন টক শো তে ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে থাকা ব্যক্তিরা একইসাথে টক শো তে অংশগ্রহণ করতে পারে। অনেক সময়ই দেখা যায় বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যক্তি একই সাথে তাদের আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন যা আগে কল্পনাও করা যেত না। আর এর সবই তথ্য প্রযুক্তির অবদান।

 

ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কেন?

দূরবর্তী অবস্থানে দু’জনের মধ্যে একে অপরের ভিডিও দেখে তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব হওয়ায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সাহায্যে রােগীরা দূরবর্তী অবস্থানরত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিকট থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীরা ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে অধিদপ্তরের ডাক্তারদের নিকট থেকে টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করতে পারে। অর্থাৎ সরাসরি দূরে অবস্থান করেও কাছে থাকার মতাে তথ্য সেবা পাওয়া যায় বলে বর্তমানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবহার অধিক দেখা যায়।

 

ভিডিও কনফারেন্সিং এর সুবিধা

  • একই জায়গায় না এসে বিভিন্ন স্থানের একদল মানুষ সভায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
  • বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন দল এক জায়গায় না এসে এ সভায় অংশগ্রহণ করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
  • বিভিন্ন জায়গা থেকে সভায় অংশগ্রহণ করা যায় বলে যাতায়াতের প্রয়োজন হয় না ফলে গুরুত্বপূর্ণ সময় অপচয় হয় না।
  • ভিডিও কনফারেন্সিংটি রেকর্ড করে রাখা যায়, ফলে যে কোনো সময় তা আবার দেখা যায়।

Leave a Comment