রসায়ন ও শক্তি (নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন)

প্রশ্ন-১. আন্তঃআণবিক শক্তি বেশি হলে পদার্থের অবস্থা কীরূপ হয়?

উত্তর : কঠিন।

প্রশ্ন-২. রাসায়নিক বন্ধন কাকে বলে?

উত্তর : মৌলসমূহের একে অপরের সাথে যুক্ত হবার শক্তিকে রাসায়নিক বন্ধন বলে।

প্রশ্ন-৩. রাসায়নিক বন্ধন কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর : রাসায়নিক বন্ধন ৩ প্রকার। যথা– (i) আয়নিক বন্ধন : ধাতু ও অধাতুর মধ্যকার বন্ধন; (ii) সমযোজী বন্ধন : অধাতু ও অধাতুর মধ্যকার বন্ধন; (iii) ধাতব বন্ধন : ধাতব দন্ডে বিদ্যমান পরমাণুসমূহের বন্ধন।

প্রশ্ন-৪. আন্তঃআণবিক শক্তি কাকে বলে?

উত্তর : পদার্থের অণু বা আয়নসমূহের মধ্যে যে আকর্ষণ বল বিদ্যমান তাকে আন্তঃআণবিক শক্তি বলে।

প্রশ্ন-৫. তাপোৎপাদী বিক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তর : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয় তাকে তাপোৎপাদী বিক্রিয়া বলে। সাধারণভাবে সকল দহন বিক্রিয়া তাপোৎপাদী। যেমন, কাঠকে বাতাসে দহন করলে তাপ উৎপন্ন হয়। এখানে কাঠের দহন একটি তাপোৎপাদী বিক্রিয়া।

প্রশ্ন-৬. তাপহারী বিক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তর : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ শোষিত হয় তাকে তাপহারী বিক্রিয়া বলে। যেমন, পানির মধ্যে গ্লুকোজ যোগ করলে পানি কিছুটা ঠান্ডা হয়ে যায়। কারণ এক্ষেত্রে পানি ও গ্লুকোজের দ্রবণ পরিবেশ থেকে তাপ শোষণ করে।

প্রশ্ন-৭. চুনের সংকেত কি?

উত্তর : চুনের সংকেত CaO।

প্রশ্ন-৮. তাপের পরিবর্তনের ভিত্তিতে রাসায়নিক বিক্রিয়া কত প্রকার?

উত্তর : দুই প্রকার।

প্রশ্ন-৯. বিক্রিয়া তাপ কাকে বলে?

উত্তর : কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পরিবর্তিত তাপকে বিক্রিয়া তাপ বলে।

প্রশ্ন-১০. খাবার সোডার রাসায়নিক নাম কি?

উত্তর : সোডিয়াম বাই কার্বনেট।

প্রশ্ন-১১. লেবুর রসে কোন এসিড থাকে?

উত্তর : সাইট্রিক এসিড।

প্রশ্ন-১২. ভিনাগারে কোন এসিড থাকে?

উত্তর : এসিটিক এসিড।

প্রশ্ন-১৩. H–Cl বন্ধনশক্তি কত?

উত্তর : 431 kj/মোল।

প্রশ্ন-১৪. O = O এর বন্ধনশক্তি কত?

উত্তর : 498 kj/মোল।

প্রশ্ন-১৫. তাপ ও আলো কীভাবে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে?

উত্তর : তড়িৎ চুম্বকীয় রশ্মি হিসেবে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রশ্ন-১৬. শক্তি কী?

উত্তর : কাজ করার ক্ষমতাকে শক্তি বলে।

প্রশ্ন-১৭. আধুনিককালের সবচেয়ে জনপ্রিয় শক্তি কি?

উত্তর : বিদ্যুৎ।

প্রশ্ন-১৮. উদ্ভিদ কোন প্রক্রিয়ায় শক্তি সঞ্চয় করে?

উত্তর : সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায়।

প্রশ্ন-১৯. বিশুদ্ধ জ্বালানি কাকে বলে?

উত্তর : যা পোড়ানোর ফলে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক পদার্থ তৈরি হয় না, তাকে বিশুদ্ধ জ্বালানি বলে।

প্রশ্ন-২০. ফটোক্যামিক্যাল ধোঁয়া কাকে বলে?

উত্তর : যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে যে বিষাক্ত গ্যাসের ধোঁয়ার সৃষ্ট করে  তাকে ফটোক্যামিক্যাল ধোঁয়া বলে।

প্রশ্ন-২১. কোন গ্যাসকে গ্রীনহাউজ গ্যাস বলে?

উত্তর : কার্বন-ডাই অক্সাইড গ্যাসকে গ্রীনহাউজ গ্যস বলে।

প্রশ্ন-২৩. Ultraviolet ray কী?

উত্তর : সূর্যের আলোতে উপস্থিত অতিবেগুনি রশ্মিকে Ultraviolet ray বলে।

প্রশ্ন-২৪. সেলুলোজ কী?

উত্তর : উদ্ভিদ দেহের উপাদানসমূহকে সেলুলোজ বলে।

প্রশ্ন-২৫. ইলেকট্রনিক পরিবহী কাকে বলে?

উত্তর : সে সকল পরিবাহী ইলেকট্রন প্রবাহের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে তাকে ইলেকট্রনিক পরিবাহী বলে।

প্রশ্ন-২৬. তড়িৎ অপরিবাহী কাকে বলে?

উত্তর : যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে না তাকে তড়িৎ অপরিবাহী বলে।

প্রশ্ন-২৭. ধাতু আয়ন তড়িৎদ্বার কাকে বলে?

উত্তর : কোনো একটি ধাতু যদি উক্ত ধতুর লবণের দ্রবণে ডুবানো থাকে, তাহলে তাকে ধাতু আয়ন তড়িদ্বার বলে।

প্রশ্ন-২৮. গ্যালভানিক কোষ কী?

উত্তর : যে তড়িৎ রাসায়নিক কোষে তড়িৎদ্বার বিক্রিয়া স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘটে তাকে গ্যালভানিক কোষ বলে।

প্রশ্ন-২৯. সর্বাধিক পরিচিত ড্রাই সেল কী?

উত্তর : লেকলেন্স সেল।

প্রশ্ন-৩০. ড্রাইসেলে অ্যানোড হিসেবে কী ব্যবহার করা হয়?

উত্তর : জিংকের তৈরি ছোট জার (কৌটা)।

প্রশ্ন-৩১. ড্রাইসেলের কাইকে ঘন করতে কী যুক্ত করা হয়?

উত্তর : স্টার্চ।

প্রশ্ন-৩২. ফুয়েল সেলের সবচেয়ে ভাল জ্বালানি কী?

উত্তর : হাইড্রোজেন গ্যাস।

প্রশ্ন-৩৩. নিউক্লিয়ার ফিসন কী?

উত্তর : যে নিউক্লিয়া বিক্রিয়ায় বড় নিউক্লিয়াস ভেঙ্গে ছোট ছোট নিউক্লিয়াস তৈরি হয় তাকে নিউক্লিয়ার ফিসন বলে।

প্রশ্ন-৩৪. কত তপমাত্রায় হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে হিলিয়ম পরমাণু তৈরি হয়?

উত্তর : 15 মিলিয়ন °C।

প্রশ্ন-৩৫. ইঞ্জিনের টারবাইন ঘুরালে কী ধরনের রূপান্তর হয়?

উত্তর : তাপশক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিণত হয়।

প্রশ্ন-৩৬. নিউক্লিয়ার ফিউসন বিক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তর : যে নিউক্লিয় বিক্রিয়ার দুটি ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াস একত্রিত হয়ে অপেক্ষাকৃত বড় নিউক্লিয়াসযুক্ত ভিন্ন মৌল তৈরি করে তাকে নিউক্লিয়ার ফিউসন বিক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-৩৭. ইলেকট্রোপ্লেটিং কেন করা হয়?

উত্তরঃ ইলেকট্রোপ্লেটিং হচ্ছে মরিচা রোধক প্রলেপ। এটির ব্যবহারে লোহার স্থায়িত্ব বেড়ে যায়। কোনো ধাতুর উপর ইলেকট্রোপ্লেটিং করলে তা মসৃণ হয়। আবার ইলেকট্রোপ্লেটিং এর ফলে অলংকারের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। তাই ইলেকট্রোপ্লেটিং করা হয়।

প্রশ্ন-৩৮. এসিড মিশ্রিত পানিকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলা হয় কেন?

উত্তর : বিদ্যুৎ প্রবাহ যদি পরিবাহীর আয়ন দ্বারা সাধিত হয়, তবে এসব পরিবাহীকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলে। যেমন গলিত লবণ, এসিড, ক্ষার ও লবণের দ্রবণ।

এসিড মিশ্রিত পানি হাইড্রোজেন আয়ন পরিবহনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে বিধায় এসিড মিশ্রিত পানিকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলে।

প্রশ্ন-৩৯. ইলেকট্রনীয় পরিবাহী এবং ইলেকট্রোলাইটিক পরিবাহীর মধ্যে মূল পার্থক্য কী?

উত্তর : ইলেকট্রনীয় পরিবাহী এবং ইলেকট্রোলাইটিক পরিবাহীর মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে ইলেকট্রনীয় পরিবাহীতে মুক্ত ইলেকট্রন কণা তড়িৎ পরিবহনের কাজ করে। অপরদিকে ইলেকট্রোলাইটিক পরিবাহীতে গলিত ও দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ বিশ্লেষ্য থেকে যে আয়ন উৎপন্ন হয় সেই আয়নগুলো তড়িৎ পরিবহনের কাজ করে।

প্রশ্ন-৪০. ইলেকট্রোপ্লেটিং ও গ্যালভানাইজিং-এর মধ্যে তুলনা কর।

উত্তর : তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি ধাতুর তৈরি জিনিসপত্রের উপর কম সক্রিয় ধাতুর প্রলেপ দেয়াকে ইলেকট্রোপ্লেটিং বলে। অপরদিকে মরিচা রোধ করার জন্য একটি ধাতুর উপর অন্য ধাতুর প্রলেপ বা রং দেয়ার নাম গ্যালভানাইজিং।

প্রশ্ন-৪১. আয়নিক যৌগসমূহ কঠিন অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে না কেন?

উত্তর : আয়নিক যৌগসমূহ কঠিন অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। এক্ষেত্রে যৌগসমূহের ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নসমূহ নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে এবং বিদ্যুৎ অপরিবাহিতা প্রদর্শন করে। সাধারণত কম তাপমাত্রায় আয়নিক যৌগসমূহ কঠিন অবস্থায় থাকে। ইলেকট্রন চলাচল করতে পারে না বলে এ অবস্থায় এরা বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে না।

প্রশ্ন-৪২. ব্যাকেলাইট কী ধরনের পলিমার এবং কেন?

উত্তর : ব্যাকেলাইট এক ধরনের কৃত্রিম পলিমার। অ্যালডিহাইড ও ফেনলের বিক্রিয়ায় এ পলিমারটি উৎপন্ন হয়। মিথান্যাল ও ফেনলের ঘনীভবন পলিমারকরণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যাকেলাইট উৎপন্ন হয়। এটি এক ধরনের প্লাস্টিক যা সুইচ, চিরুনি, কলমের বডি প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-৪৩. ব্যাটারিতে ব্যবহৃত পদার্থগুলো বিষাক্ত কেন?

উত্তর : ব্যাটারিতে তড়িৎদ্বার হিসেবে এবং তড়িৎ বিশ্লেষ্যরূপে বিভিন্নভাবে মেটাল ব্যবহার করা হয়। এগুলো পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে এদেরকে বিষাক্ত পদার্থ বলে। ব্যাটারিতে ব্যবহৃত ধাতুগুলো হলো Hg, Pb, Zn, Cu, Mn প্রভৃতি। ব্যাটারি নষ্ট হলে আমরা ফেলে দেই। ফলে নষ্ট ব্যাটারির এ ভারী ধাতুগুলো মাটিকে দূষিত করে এবং খাদ্যচক্রের মাধ্যমে আমাদের দেহে আসে। ফলে এ ধাতুগুলো আমাদের দেহে ক্যান্সারসহ নানাবিধ রোগ সৃষ্টি করে থাকে।

Leave a Comment