নগ্নবীজী উদ্ভিদ কাকে বলে? নগ্নবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য কি কি?

যেসব উদ্ভিদের ফুলে ডিম্বাশয় থাকে না, ফলে ডিম্বকগুলো নগ্ন থাকে তাদেরকে নগ্নবীজী উদ্ভিদ (Gymnosperm) বলে। যেমন- ডাব, নারিকেল, সাইকাস, পাইনাস ইত্যাদি। এগুলোর নির্দিষ্ট কোনো আকার, আাকৃতি নেই।

Gymnosperm শব্দটি দুটি গ্রিক শব্দ gymnos অর্থ নগ্ন এবং sperma অর্থ বীজ থেকে এসেছে। অর্থাৎ জিনমোস্পার্ম শব্দের অর্থ naked seed বা নগ্নবীজী।

 

নগ্নবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Gymnosperm)

নগ্নবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো–

  • সকল নগ্নবীজী উদ্ভিদ চিরসবুজ, স্বাবলম্বী এবং বহুবর্ষজীবী।
  • মাইক্রোস্পোর ও মেগাস্পোর (পুং ও স্ত্রী লিঙ্গধর উদ্ভিদ) তৈরি করে অর্থাৎ এরা স্পোরোফাইট অসমরেণুপ্রসূ।
  • এদের রেণুপত্র অর্থাৎ স্পোরোফিলগুলো ঘনভাবে সন্নিবেশিত হয় এবং স্ট্রোবিলাস বা কোন তৈরি করে।
  • মেগাস্পোরোফিল-এ অর্থাৎ স্ত্রীরেণুপত্রে কোনো গর্ভাশয় তৈরি হয় না। তাই এদের গর্ভাশয়, গর্ভদন্ড ও গর্ভমুন্ড নেই। এ কারণে পরাগায়নের সময় পরাগরেণু সরাসরি ডিম্বক রন্ধ্রে পতিত হয়।
  • ডিম্বক থাকে মেগাস্পোরোফিলের কিনারায় নগ্ন অবস্থায়।
  • গর্ভাশয় না থাকায় কোনো ফল সৃষ্টি হয়না।
  • ফল সৃষ্টি হয় না বিধায় বীজ/নিষিক্ত ডিম্বক নগ্ন অবস্থায় থাকে।
  • নগ্নবীজী উদ্ভিদে দ্বিনিষেক ঘটে না তাই শাঁস হ্যাপ্লয়েড এবং নিষেকের পূর্বে সৃষ্টি হয়। তবে ব্যতিক্রম Ephedra।
  • Gnetum ব্যতীত অন্যান্য উদ্ভিদের জাইলেম টিস্যুতে সত্যিকার ভেসেল কোষ থাকে না। এছাড়া ফ্লোয়েম টিস্যুতে সঙ্গীকোষ থাকে না।
  • এরা সকলেই বায়ু পরাগী।
  • এদের জীবনচক্রে অসম আকৃতির অর্থাৎ heteromorphic জনুক্রম বিদ্যমান।
  • সাধারণত এদের আর্কিগোনিয়া সৃষ্টি হয়।

 

এ সম্পর্কিত আরও কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ–

১। সাইকাসকে নগ্নবীজী উদ্ভিদ বলা হয় কেন?

উত্তর : নগ্নবীজী উদ্ভিদের ফুলে ডিম্বাশয় থাকে না, ফলে ডিম্বকগুলো নগ্ন থাকে। নিষেকের পর এ ডিম্বকগুলো বীজে পরিণত হয় এবং তা নগ্ন অবস্থায় থাকে। সাইকাস উদ্ভিদে নগ্নবীজী উদ্ভিদের এ বৈশিষ্ট্যগুলো দেখা যায় বলেই একে নগ্নবীজী উদ্ভিদ বলা হয়।

 

Leave a Comment