HomeChemistryপোলারিটি ও পোলারায়ন (Polarity and Polarisation in Bengali/Bangla)

পোলারিটি ও পোলারায়ন (Polarity and Polarisation in Bengali/Bangla)

সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সমযোজী যৌগের উদ্ভব ঘটে। তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্যের কারণে শেয়ারে বিঘ্ন ঘটে এবং আংশিক ধনাত্মক ও আংশিক ঋণাত্মক প্রান্ত বিশিষ্ট পোলারিটির সৃষ্টি হয়। এ পোলারিটির কারণে সমযোজী যৌগসমূহে আয়নিক চরিত্র দেখা যায়। অন্যদিকে পেলারায়নের কারণে আয়নিক যৌগ সমযোজী বৈশিষ্ট্য প্রাপ্ত হয়।

 

পোলারিটি কি বা কাকে বলে? (What is Polarity in Bengali/Bangla?)

শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগলকে কোনো একটি পরমাণু নিজের দিকে অধিক আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণ ক্ষমতা তড়িৎ ঋণাত্মকতা নামে পরিচিত। এভাবে উচ্চ তড়িৎ ঋণাত্মক পরমাণুটি শেয়ারকৃত ইলেকট্রন যুগলকে নিজের দিকে টেনে নেয়। ফলে ঐ পরমাণুতে আংশিক ঋণাত্মক চার্জ (8-) এবং অপর পরমাণুতে আংশিক ধনাত্মক (8+) চার্জ সৃষ্টি হয়। এ ধনাত্মক ও ঋণাত্মক মেরুকে একত্রে ডাইপোল বলা হয়। সমযোজী যৌগের অণুতে ডাইপোল সৃষ্টির এ ধর্মকে পোলারিটি বলে এবং সংশ্লিষ্ট যৌগকে পোলার যৌগ বলে। যেমন— হাইড্রোজেন (2.1) অপেক্ষা ক্লোরিনের (3.0) তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি। এদের তড়িৎ ঋণাত্মকতার পার্থক্য 0.9। ফলে শেয়ারকৃত ইলেকট্রন ক্লোরিন পরমাণুর দিকে অধিক আকৃষ্ট হয় এবং ক্লোরিন আংশিক ঋণাত্মক ও হাইড্রোজেন আংশিক ধনাত্মক চার্জ লাভ করে অর্থাৎ ডাইপোল সৃষ্টি হয়। সুতরাং HCl একটি পোলার যৌগ।

 

পোলারায়ন কি বা কাকে বলে? (What is Polarisation in Bengali/Bangla?)

যখন কোন ক্যাটায়ন একটি অ্যানায়নের খুব নিকটে আসে তখন ক্যাটায়নের সামগ্রিক ধনাত্মক চার্জ অ্যানায়নের ইলেকট্রন মেঘমালাকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। একই সাথে ক্যাটায়নটি অ্যানায়নের নিউক্লিয়াসকে বিকর্ষণ করে। আকর্ষণ ও বিকর্ষণের নীট ক্রিয়ায় অ্যানায়নের ইলেকট্রন মেঘ ক্যাটায়নের দিকে সরে আসে। এ ঘটনাকে ক্যাটায়ন কর্তৃক অ্যানায়নের বিকৃতি বা পোলারায়ন বলে এবং সংশ্লিষ্ট অণুটিকে তখন পোলারিত অণু বলা হয়।

পোলারায়নের পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে যৌগের প্রকৃতি আদর্শ আয়নিক বন্ধনের প্রকৃতি থেকে বিচ্যুত হয়ে সমযোজী প্রকৃতির দিকে ধাবিত হয়। এ বিষয়টিকে ফাযানের সূত্র দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়।

 

 

পোলারিটি ও পোলারায়ন সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

১। অ্যানায়নের আকার বৃদ্ধিতে পোলারায়ন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় কেন?

উত্তরঃ অ্যানায়নের আকার বৃদ্ধির সাথে আয়নিক যৌগের পোলারায়িত হওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অ্যানায়নের ব্যাসার্ধ বৃদ্ধি পেলে সর্ববহিঃস্থ স্তরের ইলেকট্রনের সাথে নিউক্লিয়াসের গড় দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। ফলে ইলেকট্রনের উপর অ্যানায়নের নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। তখন ক্যাটায়ন সহজেই অ্যানায়নকে আকৃষ্ট করে পোলারায়িত করতে পারে।

 

Tags :

  • কোনটির পোলারায়ন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি?; কোনটির পোলারায়ন ক্ষমতা সবচেয়ে কম?; পলারায়ন কি?; পোলারায়নের সাথে সম্পর্কিত যৌগ কোনটি?; পোলারায়ন ও পোলারিটি মধ্যে পার্থক্য কি?; অ্যানায়ন দ্বারা ক্যাটায়নের পোলারায়ন হয় না কেন?;
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments