ফাইটোহরমোন কাকে বলে? ফাইটোহরমোন কত প্রকার?

উদ্ভিদদেহে উৎপাদিত বিশেষ যে জৈব রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বিকাশ, বিভিন্ন অঙ্গ সৃষ্টি ইত্যাদি হয়ে থাকে তাকে ফাইটোহরমোন বলে।

ফাইটো শব্দের অর্থ উদ্ভিদ আর হরমোন হলো বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক পদার্থ; সুতরাং ফাইটো হরমোনই হলো উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক পদার্থ।

উদ্ভিদে যেসব ফাইটোহরমোন পাওয়া যায় সেগুলো হলো– অক্সিন, জিবেরেলিন, সাইটোকাইনিন, অ্যাবসিসিক এসিড, ইথিলিন ইত্যাদি। এরা কোষে উৎপন্ন হয় এবং উৎপত্তিস্থল থেকে বাহিত হয়ে দূরবর্তী স্থানের কোষের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে।

 

অক্সিন

অক্সিন হলো উদ্ভিদের বৃদ্ধি সহায়ক একটি হরমোন। এটি শাখা কলমে মূল গজাতে ও ফলের অকালে ঝড়ে পড়া রোধে সহায়তা করে। এছাড়া এটি বীজের অঙ্কুরোদ্গমের জন্য আগাছা দমনেও ব্যবহার করা হয়।

চার্লস রবার্ট ডারউইন অক্সিন প্রথম আবিস্কার করেন।

অক্সিনের বৈশিষ্ট্য :

১. এটি মূল ও কাণ্ডের শীর্ষ ভাগে উৎপন্ন হয়।

২. প্রধানত কোষ প্রসারণে সহায়তা করে।

অক্সিনের কাজ :

অক্সিনের কাজগুলো হলো–

  • অক্সিন কোষের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে।
  • শীর্ষ প্রকটতা সৃষ্টি করে।
  • মূল সৃষ্টির সূচনা করে, ফলে মূলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
  • বীজহীন ফল সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
  • ফলের অকাল ঝরে পড়া রোধ করে।
  • কোনো কোনো অক্সিন আগাছা দমনে ব্যবহূত হয়।

 

জিবেরেলিন

জিবেরেলিন এক ধরনের বৃদ্ধি সহায়ক ফাইটোহরমোন। এরা উদ্ভিদের বীজপত্র ও পাতার বর্ধিষ্ণু অঞ্চলে অবস্থান করে।

 

ফ্লোরিজেন

ফ্লোরিজেন উদ্ভিদের ফুল উৎপন্নকারী একটি ফাইটোহরমোন। এটি পাতায় উৎপন্ন হয় এবং তা পত্রমূলে স্থানান্তরিত হয়ে পত্র মুকুলকে পুষ্পমুকুলে পরিণত করে।

 

অ্যাবসিসিক এসিড

অ্যাবসিসিক এসিড হলো উদ্ভিদের বৃদ্ধি রোধক ফাইটোহরমোন। এর প্রভাবে উদ্ভিদের পাতা ঝরে যায়, কুঁড়ি ঝরে যায় এবং কুঁড়ির বৃদ্ধি রহিত হয়।

 

ইথিলিন

ইথিলিন একটি গ্যাসীয় পদার্থ। এ হরমোনটি ফুল, ফল, পাতা, বীজ ও মূলে দেখা যায়। এর প্রভাবে চারা গাছের বিকৃত বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়।

 

Tags :

  • অক্সিন কে আবিষ্কার করেন?

Leave a Comment