ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম কি? ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেমের সুবিধা ও অসুবিধা কি?

ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেম একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ইনফরমেশন সিস্টেম। এটি ব্যবস্থাপকদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিতে সহায়তা করে। TPS সিস্টেমে ডেটা রেকর্ড করা হয়। MIS সিস্টেমে সংরক্ষিত ডেটা থেকে সারাংশ তৈরি করা হয় আর DSS সিস্টেমে অবস্থা বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়। একটি DSS সিস্টেম স্থাপন করার জন্য অর্গানাইজেশনকে আগে TPS ও MIS সিস্টেম তৈরি ও উন্নয়ন করতে হবে। DSS এবং প্রচলিত MIS উভয় সিস্টেমই ডেটাবেজ থেকে রিপোর্ট নিয়ে কাজ করে । এ ক্ষেত্রে DSS Decision Maker দের জন্য এমন করে Report তৈরি করে, যার দ্বারা তাদের সামনে সিদ্ধান্ত নেয়ার একাধিক পথ খোলা থাকে। DSS কখনও একজন Decision Maker কে কোন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে না। সিদ্ধান্ত নেয়ার বিভিন্ন বিকল্প ধারা উপস্থাপন করে। এ কারণে DSS সিস্টেম Middle Manager বা মধ্যবর্তী স্তরের ব্যবস্থাপকরা যেমন ব্যবহার করেন তেমনি Top Manager বা সর্বোচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপকরাও ব্যবহার করে থাকে।

 

DSS এর উপাদানসমূহ (Components of DSS)

DSS আর্কিটেকচারের তিনটি মৌলিক উপাদানসমূহ হলোঃ

  1. ডেটাবেজ (অথবা নলেজবেজ)
  2. মডেল (i.e., the decision context and user criteria)
  3. ইউজার ইন্টারফেস

ইউজাররা নিজেরাও আর্কিটেকচারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

 

ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যঃ

  • ইনপুট হচ্ছে বিভিন্ন রিপোর্ট এবং আউটপুট হচ্ছে লেনদেন সংক্রান্ত বিভিন্ন ডেটার প্রসেসকৃত রিপোর্ট।
  • অত্যাধুনিক এ্যানালাইসিস এবং মডেলিং টুল ব্যবহার করা হয়।
  • বাহিরের চেয়ে আভ্যন্তরীণ বিষয়ের সাথে বেশি সংশ্লিষ্ট।
  • রিপোর্টের ধরন হলো পদ্ধতিগত বা Procedural।
  • Analytic Model তৈরি করে।
  • Top level থেকে Mid level ম্যানেজাররাও DSS ব্যবহার করে থাকেন।

 

ডিসিশন সাপোর্ট সিস্টেমের সুবিধাঃ

  • ব্যবস্থাপনা স্তরে ব্যবহৃত হয়।
  • এটি কোন কোম্পানির সমস্যা সমাধানের গতিকে বৃদ্ধি করে।
  • প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে ব্যাক্তিগত আন্তঃসম্পর্ক বৃদ্ধি করে।
  • লর্নিং এবং ট্রেইনিং এর ব্যাপারে উৎসাহ দেয়।
  • প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করে।
  • প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তের পক্ষে নতুন নতুন সহায়ক স্বাক্ষ্য তৈরি করে।
  • কোম্পানিতে প্রতিযোগিতামূলক সুযোগ প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে প্রাপ্তির ধারা সূচিত করে।
  • সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সৃজনশীল ও বিশ্লেষণী হতে উদ্বুদ্ধ করে।
  • কোম্পানির সমস্যার ক্ষেত্রগুলোতে নতুন নতুন এ্যাপ্রোচের দ্বারা সমাধানের সুযোগ সৃষ্টি করে।
  • প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্টকে স্বয়ংক্রিয় হয়ে উঠতে সহায়তা করে।
  • অত্যাধুনিক বিশ্লেষণ ও মডেলিং টুলস ব্যবহার করে।

 

Decision Support System-DSS পদ্ধতির প্রকারভেদ

DSS পদ্ধতি মূলত দুই প্রকার। যেমন-

  1. মডেল চালিত (Model-Driven) DSS পদ্ধতি।
  2. ডেটা-চালিত (Data-Driven) DSS পদ্ধতি।

মডেল চালিত সিদ্ধান্ত সাহায্যকারী পদ্ধতিঃ এ পদ্ধতি বিভিন্ন প্রকার বিশ্লেষণ সম্পাদন করতে কিছু প্রকার মডেল ব্যবহার করে থাকে। এটি একটি একাকি থাকা (Stand Alone) পদ্ধতি।

ডেটা চালিত সিদ্ধান্ত সাহায্যকারী পদ্ধতিঃ এ পদ্ধতি সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে, ব্যবহারকারীকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিশ্লেষণের সুযোগ প্রদান করে।

 

Decision Support System-DSS তৈরি করার কারণ

বিভিন্ন কর্পোরেশন কর্তৃক Decision Support System – DSS তৈরি করার প্রধান কারণগুলো হলো–

  • সময়মত তথ্য দেখা।
  • খরচ কমানো।
  • খুব দ্রুত পরিবর্তিত অর্থনীতির সাথে খাপ খাওয়ানো।
  • ব্যবসায়ের বিভিন্ন সমস্যাকে চিহ্নিত করা।
  • প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়া।
  • ইলেকট্রনিক্স কমার্স পদ্ধতির প্রচলন।
  • বর্তমানে থাকা পদ্ধতি সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে না।
  • তথ্য পদ্ধতি ডিপার্টমেন্ট খুব ব্যস্ত থাকে এবং ব্যবস্থাপনার সব জিজ্ঞাসা দিতে পারে না।
  • লভ্যাংশের এবং আয়ের বিশেষ বিশ্লেষণ করার প্রয়োজনে।
  • সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য।
  • নতুন তথ্য পাওয়ার জন্য
  • যোগাযোগের উন্নয়ন

Leave a Comment