ডিজিটাল কনটেন্ট কি? শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল কন্টেন্ট এর গুরুত্ব কি?
ডিজিটাল কন্টেন্ট (Digital Content) বলতে আমরা তথ্য বা কন্টেন্টের ডিজিটাল রূপকে বুঝি। ডিজিটাল কন্টেন্ট কম্পিউটারের ফাইল আকারে অথবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্প্রচারিত হতে পারে। ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত যেকোনো তথ্য, ছবি, শব্দ কিংবা ভিডিও– সবই ডিজিটাল কন্টেন্ট।
ডিজিটাল কন্টেন্ট এর দুটি উল্লেখযোগ্য উপকরণ হচ্ছে- ১. ই-বুক ও ২. ই-লার্নিং। ই-বুক শিক্ষাক্ষেত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আজকাল আমরা বিভিন্ন ধরনের ই-বুক যেমন- চৌকুস ই-বুক, ই-বুকের অ্যাপস ব্যবহার করে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার সহায়তা পেয়ে থাকি। বিশেষ করে ই-বুকগুলো নিজেই একটি অ্যাপস আকারে প্রকাশিত হয়। অ্যাপস ডাউনলোড করে কম্পিউটারে বা মোবাইল ফোনে সহজে পড়া যায়। ফলে সবসময় বইয়ের ব্যাগ বহন করতে হয় না। যেখানে সেখানে অনায়াসে ই-বুকের মাধ্যমে পড়া শুনা করা যায়। অন্যদিকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হচ্ছে ই-লার্নিং যা শিক্ষাক্ষেত্রে এক অনবদ্য সৃষ্টি।
ডিজিটাল কনটেন্ট কত প্রকার? (How Many Types of Digital Content?)
ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত যেকোনো তথ্য, ছবি, শব্দ কিংবা উভয়ই ডিজিটাল কনটেন্ট। কাজেই নানাভাবে ডিজিটাল কনটেন্টকে ভাগ করা যায়। তবে, ডিজিটাল কনটেন্টকে প্রধান চারটি ভাগে ভাগ করা যায়।
১. টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট
২. ছবি
৩. শব্দ বা অডিও এবং
৪. ভিডিও ও এনিমেশন।
১. টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট : ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত লিখিত তথ্যের পরিমাণই বেশি। সব ধরনের লিখিত তথ্য এই শ্রেণীর কনটেন্ট। এর মধ্য রয়েছে নিবন্ধ, ব্লগ পোস্ট, পণ্য বা সেবার তালিকা ও বর্ণনা, পণ্যের মূল্যায়ন, ই-বুক সংবাদপত্র, শ্বেতপত্র ইত্যাদি।
২. ছবি : সব ধরনের ছবি, ক্যামেরায় তোলা বা হাতে আঁকা বা কম্পিউটারে তৈরি সকল ধরনের ছবি এই শ্রেণীর কনটেন্ট। এর মধ্যে রয়েছে ফটো, হাতে আঁকা ছবি, অঙ্কন করা, কার্টুন , ইনফো-গ্রাফিক্স, এনিমেটেড ছবি ইত্যাদি।
৩. শব্দ বা অডিও : শব্দ বা অডিও আকারের সকল কনটেন্ট এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। যেকোনো বিষয়ের অডিও ফাইলই অডিও কনটেন্ট-এর পাশাপাশি ইন্টারনেটে প্রচারিত ব্রডকাস্ট অডিও কনটেন্টের অন্তর্ভুক্ত।
৪. ভিডিও ও এনিমেশন : বর্তমানে মোবাইল ফোনেও ভিডিও ব্যবস্থা থাকায় ভিডিও কনটেন্টের পরিমাণ বাড়ছে। ইউটিউব বা এই ধরনের ভিডিও শেয়ারিং সাইটের কারণে ইন্টারনেটে ভিডিও কনটেন্টের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে ইন্টারনেটে কোনো ঘটনার ভিডিও সরাসরি প্রচারিত হয়ে থাকে। এটিকে বলা হয় ভিডিও স্ট্রিমিং। এমন কনটেন্টও ভিডিও কনটেন্টের আওতাভুক্ত।
এ সম্পর্কিত আরও প্রশ্ন ও উত্তরঃ–
১। কোনো তথ্য যদি ডিজিটাল উপাত্ত আকারে প্রকাশিত হয় তখন তাকে কী বলে?
উত্তর : ডিজিটাল কন্টেন্ট।
২। ডিজিটাল কন্টেন্টকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : ৪।
৩। ডিজিটাল কনটেন্ট কীভাবে প্রকাশিত হয়?
উত্তর : ডিজিটাল উপাত্ত।
৪। ডিজিটাল কনটেন্ট কিভাবে প্রেরিত-গৃহীত হয়?
উত্তর : ডিজিটাল উপাত্ত আকারে।
৫। ডিজিটাল কনটেন্ট কিভাবে কম্পিউটারে সংরক্ষিত হয়?
উত্তর : ডিজিটাল পদ্ধতিতে।
৬। ডিজিটাল কনটেন্ট কম্পিউটারে কীভাবে সম্প্রচারিত হতে পারে?
উত্তর : ফাইল আকারে।
Tags :
- ডিজিটাল কন্টেন্ট গ্রাফিক্স এর কাজ কোনটি
- ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরির নিয়ম
- ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরির বিবেচ্য বিষয়
- ডিজিটাল কন্টেন্ট কাকে বলে
- ডিজিটাল কন্টেন্ট ডাউনলোড
- ডিজিটাল কন্টেন্ট এর সুবিধা
- ডিজিটাল কনটেন্ট এর উপাদান কি কি
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল কন্টেন্ট
- মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট
- ডিজিটাল কনটেন্ট এ কোন ধরনের উপকরণ বেশি থাকে
- তোমরা কীভাবে ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করে উপকৃত হতে পার
- ডিজিটাল কনটেন্ট হতে পারে
- ডিজিটাল কনটেন্ট কি আকারে প্রকাশিত হয়
- ডিজিটাল কনটেন্ট গ্রাফিক্স এর কাজ কোনটি
- ডিজিটাল কনটেন্ট এর ব্যবহার