HomeBiologyমূল কাকে বলে? মূল কত প্রকার ও কি কি?

মূল কাকে বলে? মূল কত প্রকার ও কি কি?

উদ্ভিদের ভ্রূণমুকুল থেকে উৎপন্ন হয়ে যে অঙ্গটি মাটির নিচে বৃদ্ধি পায় তাকে মূল (Root) বলে।

মূল হচ্ছে একটি বৃক্ষ বা গাছের ভিত্তি। মূলের নানা ধরন, মাটির নিচের মূল ছাড়াও মাটির ওপরেও মূল দেখা যায়। এ মূলগুলো বের হয় উদ্ভিদের পাতা থেকে। গাছের মূল মাটির তলায় অনেকখানি নেমে গিয়ে মাটির ওপর গাছকে সোজা করে রাখে। মূল কেবল মাত্র গাছটিকে মাটির উপর শক্ত করে শুধু দাড় করিয়েই রাখে না, সঠিক খাদ্য দ্রব্য খনিজ সরবরাহ করে তার পুর্ণ বিকাশের সুযোগ করে দেয়। তাই এই মূল গাছের একটি অন্যতম অংশ। এর মধ্যে থাকে প্রধান একটি মূল। এই মূল থেকে ছোট ছোট অনেক মূল বের হয়।

মূলের প্রকারভেদ

আকৃতি দিক থেকে মূল চার প্রকার। যথা–

১। মুলাকৃতি মূল,

২। গাজরাকৃতি মূল,

৩। শালগমাকৃতি মূল এবং

৪। কন্দাকৃতি মূল।

নিচে সংক্ষেপে এদের বর্ণনা দেয়া হলো—

১। মুলাকৃতি মূল : এ ধরনের মূলগুলো সঞ্চয়ী, মোটা ও রসালো হয়। এই মূলের মধ্যভাগ মোটা এবং নিচের প্রান্ত ক্রমশ সরু হয়। খাদ্য সঞ্চয় করা এদের প্রধান কাজ। যেমন— মুলা।

২। গাজরাকৃতি মূল : খাদ্য সঞ্চয় করে বলে এ ধরনের মূলের উপরের দিক মোটা এবং নিচের দিক ক্রমশ সরু হয়। যেমন- গাজর।

৩। শালগমাকৃতি মূল : এ ধরনের মূলের উপরের অংশ খাদ্য সঞ্চয়ের ফলে গোলাকার এবং নিচের অংশ হঠাৎ করে সরু হয়ে যায়। যেমন— শালগম।

৪। কন্দাকৃতি মূল : যে মূল খাদ্য সঞ্চয়ের ফলে কখনো কখনো মোটা হয় এবং এদের নির্দিষ্ট আকার-আকৃতি নেই, তাকে কন্দাকৃতি মূল বলে।

 

অস্থানিক মূল কাকে বলে?

সাধারণ মূলের স্থান ছাড়া উদ্ভিদের যেকোনো স্থান থেকে মূল উৎপন্ন হলে তাকে অস্থানিক মূল বলে। বিশেষ কাজ করার জন্য অস্থানিক মূল পরিবর্তিত বা রূপান্তরিত হয়ে থাকে। যথা– খাদ্য সঞ্চয়, যান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষা ও শারীরবৃত্তীয় কার্য সম্পাদন করা।

 

মূল যে যে কাজের জন্য রূপান্তরিত হয়?

মূল সাধারণত তিন ধরনের কাজ করার জন্য রূপান্তরিত হয়ে থাকে। যথা : খাদ্য সঞ্চয়, যান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষা এবং শারীরবৃত্তীয় কার্য সম্পাদন করা।

  • খাদ্য সঞ্চয় : বিভিন্ন ধরনের অস্থানিক মূল ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য সঞ্চয় করে স্ফীত হয় এবং বিভিন্ন আকার ধারণ করে। যেমন মিষ্টি আলুর কন্দাল মূল, শতমূলী ও ডালিয়ার গুচ্ছিত কন্দ মূল ইত্যাদি।
  • যান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষা : অস্থানিক মূল উদ্ভিদকে মাটির ওপর খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে, আরোহণ করতে বা পানিতে ভাসতে সাহায্য করে। এ জন্য অস্থানিক মূলের বিভিন্ন রকম রূপান্তর ঘটে থাকে। যেমন— বটের স্তম্ভমূল, কেয়ার ঠেসমূল, পান গাছের আরোহী মূল, ভাসমান মূল ইত্যাদি।
  • শারীরবৃত্তীয় কার্য সম্পাদনা : মূলের স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় কাজ ছাড়াও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে শারীরবৃত্তীয় কাজ সমাধা করার জন্য অস্থানিক মূলের রূপান্তর ঘটে থাকে। যেমন— রাস্নার পরাশ্রয়ী বায়বীয় মূল, স্বর্ণলতার পরজীবী বা শোষক মূল ইত্যাদি।
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments