HomeElectronicsসাবস্টেশন কি? সাবস্টেশন এর কাজ কি?

সাবস্টেশন কি? সাবস্টেশন এর কাজ কি?

সাবস্টেশন কি? (What is Sub-Station in Bengali/Bangla?)

সাবস্টেশন (Sub-Station) বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন , বিদ্যুৎশক্তি সঞ্চালন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের একটি অংশ। এটি কতকগুলো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের সংযোগ স্থল যেগুলোর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক পাওয়ারের কিছু বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও গ্রাহকের মাঝখানে সাবস্টেশন একটি মাধ্যমিক স্টেশন যা বৈদ্যুতিক পাওয়ার পরিবহন (ট্রান্সমিশন) ও বিতরণে (ডিস্ট্রিবিউশন) মূলত এসি ভোল্টেজের পরিবর্তনে কাজ করে। সাবস্টেশনের মাধ্যমে প্রয়োজন অনুসারে কম (লো) ভোল্টেজকে বেশি (হাই) ভোল্টেজে এবং হাই ভোল্টেজকে লো ভোল্টেজে পরিবর্তন করে বিদ্যুৎ পরিবহন (ট্রান্সমিশন) ও বিতরণ (ডিস্ট্রিবিউশন) করা হয়।

 

ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কাকে বলে?

ট্রান্সমিশন কাকে বলে?

বৈদ্যুতিক পাওয়ারকে জেনারেটিং স্টেশন হতে সাব-স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাকে ট্রান্সমিশন বলে। এতে পোল, টাওয়ার কন্ডাক্টর, ট্রান্সফরমার ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে ট্রান্সমিশন ভোল্টেজ সাধারণত ২৩০ কেভি, ১৩২ কেভি, ৬৬ কেভি ও ৩৩ কেভি। বাংলাদেশে উৎপন্ন জেনারেটিং ভোল্টেজ ১১ কেভি বা ১১০০০ ভোল্ট। জেনারেটিং স্টেশন হতে উৎপন্ন ১১ কেভি ভোল্টেজকে উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তর করে ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন সাব-স্টেশনে পৌঁছে দেয়া হয়। ট্রান্সমিশন লাইনে পাওয়ার ট্রান্সফরমার ব্যবহার করা হয়। ট্রান্সমিশন দুই ধরনের হয়। যথা–

(ক) প্রাইমারি ট্রান্সমিশন : জেনারেটিং স্টেশনের ১১/২৩০ কেভি স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার থেকে ২৩০/১৩২ কেভি সাব-স্টেশনের ট্রান্সফরমার পর্যন্ত বিদ্যুৎ শক্তি পৌঁছানোর ব্যবস্থাকে প্রাইমারি ট্রান্সমিশন বলে।

(খ) সেকেন্ডারি ট্রান্সমিশন : ২৩০/১৩২ কেভি সাব-স্টেশনের স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার থেকে অন্য ১৩২/৩৩ কেভি সাব-স্টেশনের ট্রান্সফরমার পর্যন্ত বিদ্যুৎ শক্তি পৌঁছানোর ব্যবস্থাকে সেকেন্ডারি ট্রান্সমিশন বলে।

ডিস্ট্রিবিউশন কাকে বলে?

বৈদ্যুতিক পাওয়ারকে সাব-স্টেশন হতে গ্রাহকের মিটার পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাকে ডিস্ট্রিবিউশন বলে। বাংলাদেশে ব্যবহৃত ডিস্ট্রিবিউশন ভোল্টেজ সাধারণত ১১ কেভি, ৩.৩ কেভি, ০.৪ কেভি হয়ে থাকে।

ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের মাধ্যমে গ্রাহক সরাসরি বিদ্যুৎ সরবরাহ পেয়ে থাকে। ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফরমার ব্যবহার করা হয়। ডিস্ট্রিবিউশন দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা-

(ক) প্রাইমারি ডিস্ট্রিবিউশন : ৩৩/১১ কেভি সেকেন্ডারি ট্রান্সমিশনের থেকে ১১/০.৪ কেভি ট্রান্সফরমার পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাকে প্রাইমারি ডিস্ট্রিবিউশন বলা হয়।

(খ) সেকেন্ডারি ডিস্ট্রিবিউশন : ১১/০.৪ কেভি ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফরমারের সেকেন্ডারি থেকে গ্রাহকের ওয়্যারিং পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থাকে সেকেন্ডারি ডিস্ট্রিবিউশন বলা হয়।

ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশনে বিভিন্ন ভোল্টেজ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা : বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন করে দূর-দূরান্তে সরবরাহ ও বণ্টনের ব্যবস্থা করতে ওভারহেড লাইন ব্যবহার করা দরকার। আমাদের দেশে শুধুমাত্র এসি ওভারহেড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বণ্টন করা হয়। বৈদ্যুতিক পাওয়ার জেনারেটিং স্টেশনে উৎপন্ন হয়। বৈদ্যুতিক পাওয়ার জেনারেটিং স্টেশন হতে দূর-দূরান্তে প্রেরণের জন্য বিভিন্ন ধরনের সাব-স্টেশন স্থাপন করা হয়। সাব-স্টেশন হতে গ্রাহকদের বিভিন্ন লোড ব্যবহার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিস্ট্রিবিউশন লাইন ব্যবহার করা হয়। ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের সাহায্যে নিম্ন ভোল্টেজকে বিভিন্ন লোডে সরবরাহ করে গ্রাহকদের চাহিদা মেটানো হয়। তাই, ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশনে বিভিন্ন ভোল্টেজ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

 

Elements of a substation :

  • Primary power lines’ side
  • Secondary power lines’ side
  • Primary power lines
  • Ground wire
  • Overhead lines
  • Transformer for measurement of electric voltage
  • Disconnect switch
  • Circuit breaker
  • Current transformer
  • Lightning arrester
  • Main transformer
  • Control building
  • Security fence
  • Secondary power lines

সাবস্টেশন এর কাজ (Work of Substation)

বিভিন্ন সুবিধার জন্য লোড প্রান্ত থেকে অনেক দূরে বৈদ্যুতিক পাওয়ার উৎপাদন কেন্দ্র বা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র অবস্থিত। এ কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানির প্রাপ্যতা। সিস্টেমের পাওয়ার লস বা অপচয় কমিয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সরবরাহ করাই সাবস্টেশনের কাজ। সাবস্টেশন পাওয়ার সিস্টেমের একটি গুরূত্বপূর্ণ অংশ। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের উৎপাদিত ভোল্টেজ এর মান বৃদ্ধি করে ট্রান্সমিশন (পরিবহন) লাইনের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে প্রেরণ এবং আবার প্রয়োজনে উচ্চ ভোল্টেজকে ব্যবহার উপযোগী ভোল্টেজে পরিবর্তন করাই সাবস্টেশনের প্রধান কাজ। এ কাজের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বা সুইচ গিয়ার বসানো থাকে। এ কাজের অন্যতম বৈদ্যুতিক মেশিন হলো ট্রান্সফরমার।

সাবস্টেশনের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক পাওয়ারকে কন্ট্রোলিং, রেগুলেটিং, ট্রান্সফরমারিং ও ডিভাইডিং ইত্যাদি করা হয়। তাছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সার্জ এ্যাবজরভার, লাইটনিং এ্যারেস্টার ইত্যাদি রক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।

 

সাবস্টেশনের যন্ত্রপাতি (Equipment of sub-station)

বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সুষ্ঠু কন্ট্রোলিং, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, রেগুলেটিং এর জন্য যে সমস্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১। বাসবার, ২। সার্কিট ব্রেকার, ৩। লাইটনিং এ্যারেস্টার, ৪। আইসোলেটর, ৫। ট্রান্সফরমার, ৬। ইন্সট্রুমেন্ট ট্রান্সফরমার, ৭। ইনসুলেটর, ৮। কন্ট্রোল প্যানেল, ৯। আর্থিং সিস্টেম, ১০। আগুন নিভানোর যন্ত্র, ১২। সার্জ এ্যাবজরভার এবং ১৩। ক্যাবল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

 

Tags :

  • সাবস্টেশন ভাইভা প্রশ্ন
  • সাবস্টেশন কাকে বলে
  • সাবস্টেশন ডায়াগ্রাম
  • সাবস্টেশন ডিজাইন
  • ইনডোর সাবস্টেশন
  • সাবস্টেশনের কাজ কি
  • সাবস্টেশন কত প্রকার
  • সাবস্টেশন ক্যালকুলেশন
  • বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন
  • সাবস্টেশন এর যন্ত্রপাতি
  • সাবস্টেশন লোড হিসাব বের করার নিয়ম
  • ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশন কতটি
  • সাব স্টেশনের আর্থ রেজিস্ট্যান্স কত
  • ফিডার কি
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments