এস-ব্লক মৌল কি বা কাকে বলে? What is S-block?

s-ব্লক মৌল কাকে বলে?

যে সব মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ ইলেকট্রনটি s অরবিটালে প্রবেশ করে সেগুলোকে s-ব্লক মৌল বলে। পর্যায় সারণির গ্রুপ IA এবং গ্রুপ IIA এর মৌলসমূহ এবং শূন্য গ্রুপের He s-ব্লকের অন্তর্ভুক্ত। যেমন–

He (1) – 1s1

Mg (12) –  1s2 2s2 2p6 3s2

s-ব্লক মৌলসমূহ দুই ধরনের। যথা– a. ক্ষার ধাতু; b. মৃৎক্ষার ধাতু।

  • ক্ষার ধাতু : s-ব্লক মৌলসমূহের মধ্যে যেগুলোর (গ্রুপ 1) সর্ববহিঃস্থ স্তরের ইলেকট্রন বিন্যাস ns1 ধরনের সেগুলোই ক্ষার ধাতু (alkali metal)। উদাহরণ Li, Na, K, Rb, Cs, Fr. এরা পানির সাথে বিক্রিয়া করে ক্ষার উৎপন্ন করে।
  • মৃৎক্ষার ধাতু : s-ব্লক মৌলসমূহের মধ্যে যেগুলোর (গ্রুপ 2) সর্ববহিঃস্থ স্তরের ইলেকট্রন বিন্যাস ns2 ধরনের সেগুলোই মৃৎক্ষার ধাতু (Alkaline earth metal)। এরাও সক্রিয় তবে ক্ষার ধাতুর চেয়ে এদের সক্রিয়তা কম। উদাহরণ– Be, Mg, Ca, Sr, Ba ও Ra. এরা পানির সাথে বিক্রিয়া করে ক্ষারক উৎপন্ন করে। এদের অক্সাইডকে মৃত্তিকায় পাওয়া যায়।

 

s-ব্লক মৌল সমূহের বৈশিষ্ট্য

s-ব্লক মৌল সমূহের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ–

  • এসব মৌলের পরমাণুর বহিঃস্তরে s-অরবিটালে ইলেকট্রন প্রবেশ করে।
  • এরা সাধারণত আয়নিক যৌগ গঠন করে।
  • এদের যোজনী সাধারণত ১ এবং ২ হয়।
  • এই মৌলগুলোর সর্ববহিঃস্থ কক্ষপথ ছাড়া ভেতরের কক্ষ গুলো ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ থাকে।
  • এই ব্লকের (H ও He ছাড়া) প্রত্যেকটি মৌলই ধাতু এবং এদের রাসায়নিক সক্রিয়তা বেশি। অতি সক্রিয়তার কারণে মৌলগুলোকে প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না। যোজ্যতা কক্ষের ইলেকট্রনের প্রতি নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ কম হওয়ায় এই ধাতুগুলোর পরমাণু সহজে 1 টি (গ্রুপ IA এর ক্ষেত্রে) বা 2 টি (গ্রুপ IIA এর ক্ষেত্রে) ইলেকট্রন ত্যাগ করে একযোজী বা দ্বিযোজী ক্যাটায়নে পরিণত হয়। অর্থাৎ মৌলগুলোর আয়নীকরণ শক্তি খুবই কম।
  • আয়নীকরণ শক্তি কম হওয়ায় এরা তীব্র বিজারক হয়।
  • এরা নরম ও নমনীয়, ছুরি দিয়ে কাঁটা যায় এবং তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। এদের গলনাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক ও ঘনত্ব পার্শ্ববর্তী d-ব্লক মৌল অপেক্ষা কম।
  • গ্রুপ IA ও গ্রুপ IIA এর মৌলগুলোর ক্যাটায়নগুলি ডায়াম্যাগনেটিক ও বর্ণহীন। কারণ এদের অরবিটালে বিজোড় ইলেকট্রন থাকে না।
  • Be এবং Mg ছাড়া অপর s-ব্লক মৌলগুলো শিখা পরীক্ষায় বিভিন্ন বর্ণ উৎপন্ন করে।

Leave a Comment