তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি (ষষ্ঠ শ্রেণির আইসিটি)

প্রশ্ন-১. কম্পিউটারের অংশ কয়টি ও কি কি?

উত্তর : কম্পিউটারের চারটি মূল অংশ। এগুলো হলো ইনপুট, আউটপুট, মেমোরি এবং প্রসেসর।

 

প্রশ্ন-২. ইনপুট ডিভাইস কোনগুলো?

উত্তর : কি-বোর্ড, মাউস, ডিজিটাল ক্যামেরা, স্ক্যানার, ভিডিও ক্যামেরা, ওয়েবক্যাম, জয়স্টিক, ওএমআর, মাইক্রোফোন, বারকোড রিডার ইত্যাদি হচ্ছে ইনপুট ডিভাইস।

 

প্রশ্ন-৩. আউটপুট ডিভাইস কোনগুলো?

উত্তর : প্রিন্টার, প্লটার, স্পিকার, মাল্টিমিডিয়া, প্রজেক্টর, টাচস্ক্রিন, মনিটর ইত্যাদি হচ্ছে আউটপুট ডিভাইস।

 

প্রশ্ন-৪. মেমোরি কি?

উত্তর : কম্পিউটারের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে মেমোরি, যেখানে তথ্য উপাত্তগুলো জমা করে  রাখা হয়।

 

প্রশ্ন-৫. হার্ডওয়্যার কি?

উত্তর : কম্পিউটার তৈরি করতে যেসব যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হয় সেগুলোই হলো হার্ডওয়্যার।

 

প্রশ্ন-৬. হার্ডডিস্ক কি?

উত্তর : হার্ডডিস্ক হলো কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টোরেজ ডিভাইস যা স্থায়ীভাবে তথ্য উপাত্ত সংরক্ষণ করে।

 

প্রশ্ন-৭. প্রসেসর কী?

উত্তর : প্রসেসর মূলত অসংখ্য ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট দ্বারা তৈরি যন্ত্রাংশ।

 

প্রশ্ন-৮. মাদারবোর্ড কি?

উত্তর : মাদারবোর্ড বা প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড হলো প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রাশের সংযোগস্থল।

 

প্রশ্ন-৯. সফটওয়্যার কি?

উত্তর : সফটওয়্যার হচ্ছে এমন এক ধরনের প্রোগ্রাম, যা কম্পিউটারের যন্ত্রপাতিগুলোকে সচল ও অর্থপূর্ণ করে তোলে।

 

প্রশ্ন-১০. অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কাকে বলে?

উত্তর : যে সফটওয়্যারের সাহায্যে কম্পিউটার ব্যবহাকারী প্রাত্যহিক জীবনের বিভিন্ন কাজ করার সুযোগ পায় তাকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলে।

 

প্রশ্ন-১১. কাস্টমাইজড সফটওয়্যার কাকে বলে?

উত্তর : যখন একটা বিশেষ কাজের জন্য আলাদাভাবে একটা বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করা হয় তখন তাকে কাস্টমাইজড সফটওয়্যার বলে।

 

প্রশ্ন-১২. মডেম কি?

উত্তর : কম্পিউটারের সাথে টেলিফোনের নেটওয়ার্ক জুড়ে দেওয়ার জন্য যে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয় তার নাম মডেম।

 

প্রশ্ন-১৩. কীবোর্ড-কে ইনপুট ডিভাইস বলা হয় কেন?

উত্তর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অধিকাংশ যন্ত্রে কীবোর্ড ব্যবহার করা হয়। প্রযুক্তিনির্ভর এসকল যন্ত্র দিয়ে কোনো কাজ করাতে চাইলে যন্ত্রগুলোকে কিছু নির্দেশনা দিতে হয়। যন্ত্রগুলোকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় কীবোর্ড। কীবোর্ডের বোতাম চেপে যন্ত্রগুলোকে নির্দেশ প্রদান করা হলে, প্রাপ্ত নির্দেশনা অনুযায়ী যন্ত্রগুলো কাজ করে। অর্থাৎ কীবোর্ড দিয়ে নির্দেশনাগুলো যন্ত্রে যায় এবং যন্ত্রগুলো প্রাপ্ত নির্দেশনাকে প্রক্রিয়া করে সেই অনুযায়ী কাজ আউটপুটে দেখায়। ফলে কীবোর্ড যন্ত্রের ইনপুট ডিভাইস হিসাবে কাজ করে।

 

প্রশ্ন-১৪. মোবাইল ফোনের ৫টি উপকারিতা উল্লেখ কর।

উত্তর : সাধারণত যে ফোনগুলো পকেটে নিয়ে ঘোরা যায় এই ফোনগুলোকে মোবাইল ফোন বা ভ্রাম্যমাণ ফোন বলা হয়।

নিচে মোবাইল ফোনের ৫টি উপকারিতা তুলে ধরা হলোঃ

১। মোবাইল ফোনের সাহায্যে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেকোনো সময়ে যোগাযোগ করা যায়।

২। মোবাইল ফোন সহজে বহন করা যায়।

৩। এ প্রযুক্তির সাহায্য ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করা যায়।

৪। প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।

৫। মোবাইল ফোনে মাল্টিমিডিয়া সুবিধা উপভোগ করা যায়।

 

প্রশ্ন-১৫. স্মার্টফোন এক ধরনের ক্ষুদ্র কম্পিউটার— কেন?

উত্তর : স্মার্টফোন দিয়ে আমরা ছবি তুলতে পারি, গান শুনতে পারি, রেডিও শুনতে পারি, জিপিএস দিয়ে পথেঘাটে চলাফেরা করতে পারি, কম্পিউটার গেম খেলতে পারি, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি। অর্থাৎ কম্পিউটার দিয়ে করা যায় এমন অনেক কাজই আমরা স্মার্টফোন দিয়ে করতে পারি। তাই এই ধরনের ফোনকে ক্ষুদ্র কম্পিউটার বলা যায়।

 

প্রশ্ন-১৬. প্রিন্টার এবং প্লটার বলতে কী বুঝ?

উত্তর : প্রিন্টার : কোনো কিছু যখন কম্পিউটারের মনিটরে দেখা যায়, সেটা মোটেও স্থায়ী কিছু নয়- নতুন কিছু এলেই আগেরটা আর থাকে না। তাই যদি স্থায়ীভাবে কিছু সংরক্ষণ করতে হয়, তাহলে অন্য কিছুর দরকার হয়। আর তার জন্যে সবচেয়ে সহজ সমাধান হচ্ছে প্রিন্টার। এর সাহায্যে লেখালেখির কাজ এবং ছবি মুদ্রণ করা হয়।

প্লটার : বই বা চিঠিপত্র ছাপানোর জন্য সাধারণ মাপের প্রিন্টারই যথেষ্ট। কিন্তু যদি কোনো বড় বিজ্ঞাপন, পোস্টার, ব্যানার, বাড়ির নকশা ছাপাতে হয়, তাহলে তা আর সাধারণ প্রিন্টার ব্যবহার করা যায় না তখন বড় ধরনের ছাপানোর যন্ত্র ব্যবহার করতে হয় এদের প্লটার বলে।

 

প্রশ্ন-১৭. স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ কীভাবে কাজ করে?

উত্তর : পৃথিবী থেকে মহাকাশের দিকে মুখ করে থাকা এন্টেনা দিয়ে তথ্য স্যাটেলাইট বা উপগ্রহে পাঠানো হয়। স্যাটেলাইট তথ্যটি গ্রহণ করে আবার অন্য দিকে পাঠিয়ে দেয়। এভাবে আমরা পৃথিবীর এক পৃষ্ঠ থেকে অন্য পৃষ্ঠে তথ্য পাঠাতে স্যাটেলাইট ব্যবহার করি। যেমন, টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর পৃথিবীব্যাপী সম্প্রচার।

 

প্রশ্ন-১৮. ফ্লোপি ডিস্কের বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তর : ফ্লোপি ডিস্ক সাশ্রয়ী, সহজে ব্যবহারযোগ্য, কিন্তু তথ্য সংরক্ষণের জন্য নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নয়। তবুও কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এর ব্যবহারকাল বাড়ানো যায়। যেমন–

১. ডিস্ক বাঁকা বা ভাঁজ না করা।

২. ডিস্কের খোলা অংশ স্পর্শ না করা।

৩. বল পয়েন্ট বা তীক্ষ্ণ পেন্সিল দিয়ে ডিস্কে না লেখা।

৪. মনিটর, টিভি বা ম্যাগনেটিক ফিল্ডের কাছে না রাখা।

৫. বাষ্প সৃষ্টিকারী তরল পদার্থের সংস্পর্শে না রাখা।

৬. ডিস্কে রোদ পড়তে না দেওয়া।

৭. ডিস্ক ভূমির সমান্তরাল না করে খাড়াভাবে সংরক্ষণ করা।

৮. খুব গরমে বা খুব ঠান্ডায় ডিস্ক সংরক্ষণ না করা।

৯. আবরণ ব্যবহার করে ডিস্ককে ধূলিকণামুক্ত রাখা ইত্যাদি।

 

 

প্রশ্ন-১৯. কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে তথ্য নেওয়ার দু’টি পদ্ধতি উল্লেখ কর।

উত্তর : হার্ডডিস্কগুলো সাধারণত কম্পিউটারে স্থায়ীভাবে লাগানো থাকে। তাই এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি পদ্ধতি হলো সিডি। সাধারণ সিডিতে একবার কিছু সংরক্ষণ করা হলে তা আর মোছা যায় না- তবে বার বার সংরক্ষণ করা যায়, মোছা যায় এরকম সিডিও পাওয়া যায়। আর একটি পদ্ধতি হলো পেনড্রাইভ, যা আকারে এত ছোট যে পকেটে নিয়ে ঘোরা যায় এবং এর ধারণ ক্ষমতাও অনেক। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়— ৮ গিগা বাইট একটি পেনড্রাইভে দশ হাজার থেকে বিশ হাজার বই রাখা যায়।

Leave a Comment