তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপদ ও নৈতিক ব্যবহার (অষ্টম শ্রেণি)

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. পাসওয়ার্ড কি?

উত্তর : এক ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

প্রশ্ন-২. জনপ্রিয় এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার কোনটি?

উত্তর : প্যান্ডা।

প্রশ্ন-৩. Virtual শব্দটির অর্থ কি?

উত্তর : কাল্পনিক।

প্রশ্ন-৪. ইন্টারনেটভিত্তিক অপরাধকে কী বলে?

উত্তর : সাইবার অপরাধ।

প্রশ্ন-৫. CIH ভাইরাস প্রতি বছর কত তারিখে সক্রিয় হয়?

উত্তর : ২৬ এপ্রিল।

প্রশ্ন-৬. কম্পিউটার ভাইরাস বহনকারী মাধ্যম নিচের কোনটি?

উত্তর : পেনড্রাইভ।

প্রশ্ন-৭. স্প্যাম কোনটির সাথে সম্পর্কযুক্ত?

উত্তর : ই-মেইল।

প্রশ্ন-৮. কোনটি ক্ষতিকর সফটওয়্যার?

উত্তর : ট্রোজান হর্স।

প্রশ্ন-৯. গুগল ক্রোম কোন ধরনের সফটওয়্যার?

উত্তর : ব্রাউজার সফটওয়্যার।

প্রশ্ন-১০. কোন ম্যালওয়্যার ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটারকে সংক্রমিক করতে পারে?

উত্তর : ওয়ার্ম।

প্রশ্ন-১১. বাংলাদেশ তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইট এর ঠিকানা কি?

উত্তর : http://www.infocom.gov.bd/

প্রশ্ন-১২. ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের কতটি দেশ তথ্য জানাকে আইনি অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে?

উত্তর : ৯৩টি।

প্রশ্ন-১৩. বাংলাদেশ তথ্য অধিকার আইন কত সাল থেকে বলবৎ রয়েছে?

উত্তর : ২০০৯ সাল থেকে।

প্রশ্ন-১৪. ‘মাই এসকুয়েল’ কোন ধরনের সফটওয়্যার?

উত্তর : ডেটাবেজ।

প্রশ্ন-১৫. প্রতি বছর ২৬ এপ্রিল কম্পিউটার হার্ডডিস্কে আঘাত হানতো কোন ভাইরাস?

উত্তর : চেরনোবিল।

প্রশ্ন-১৬. ২০০০ সালে কোন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছিল?

উত্তর : ই-বে।

প্রশ্ন-১৭. বড় বড় তথ্যভাণ্ডারগুলোকে কি বলা হয়?

উত্তর : ডেটা সেন্টার।

প্রশ্ন-১৮. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড কোনটি?

উত্তর : In2p@3Rq।

প্রশ্ন-১৯. ম্যালওয়্যার কোনটি?

উত্তর : ট্রোজান হর্স।

প্রশ্ন-২০. মেলিসিয়াস সফটওয়্যারকে সংক্ষেপে কী বলা হয়?

উত্তর : ম্যালওয়্যার।

 

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. কম্পিউটার ভাইরাস কি?

উত্তর : কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক ধরনের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার বা ম্যালওয়্যার যা নিজে নিজেই অনুরূপ তৈরি করতে সক্ষম এবং এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে সংক্রামিত হতে পারে।

প্রশ্ন-২. নিবাসী ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য কী কী?

উত্তর : নিবাসী ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য–  ১. মেমোরিতে স্থায়ী হয়; ২. প্রোগ্রাম সংক্রমিত করে।

প্রশ্ন-৩. হ্যাকার কাকে বলে?

উত্তর : যারা হ্যাকিং করে তাদেরকে হ্যাকার বলে।

প্রশ্ন-৪. ম্যালওয়্যার কি?

উত্তর : ম্যালওয়্যার একটি ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার যা কম্পিউটারে ব্যবহৃত অন্য সফটওয়্যারগুলোর কাঙ্ক্ষিত কর্ম সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন-৫. এথিক্যাল হ্যাকার কাকে বলে?

উত্তর : যে সকল হ্যাকার কোনো সিস্টেমের উন্নতির জন্য উক্ত সিস্টেমের নিরাপত্তা ত্রুটিসমূহ খুঁজে বের করে তাকে এথিক্যাল হ্যাকার বলে।

প্রশ্ন-৬. ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারের কাজ কি?

উত্তর : ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারের কাজ হচ্ছে অবৈধভাবে কোনো ব্যবহারকারীর কম্পিউটার সিস্টেমে বা নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে অসৎ উদ্দেশ্য সাধন করা।

প্রশ্ন-৭. বাংলাদেশে হ্যাকিংয়ের জন্য কী ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে?

উত্তর : বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০০৯) অনুসারে হ্যাকিং এর জন্য ৩ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

প্রশ্ন-৮. সাইবার অপরাধ কাকে বলে?

উত্তর : যে সকল অপরাধ তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে করা হয় তাকে সাইবার অপরাধ বলে।

প্রশ্ন-৯. স্প্যাম কি?

উত্তর : স্প্যাম হলো যন্ত্র দিয়ে তৈরি করা অপ্রয়োজনীয়, উদ্দেশ্যমূলক এবং আপত্তিকর ই-মেইল যেগুলো প্রতি মুহূর্তে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ই-মেইল অ্যাকাউন্টে পাঠানো হচ্ছে।

প্রশ্ন-১০. সাইবার যুদ্ধ কাকে বলে?

উত্তর : একটি দল, গোষ্ঠী বা দেশের সাথে অনলাইনের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্য দল, গোষ্ঠী বা দেশের মধ্যে সংগঠিত যুদ্ধকে সাইবার যুদ্ধ বলে।

প্রশ্ন-১১. সার্চ ইঞ্জিন কি?

উত্তর : সার্চ ইঞ্জিন হলো এক ধরনের সফটওয়্যার যা কোনো ওয়েবসাইটে তথ্য খোঁজার জন্য ব্যবহার করা হয়।

 

রচনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। কোন কোন কাজ সাইবার অপরাধ হিসেবে গণ্য?

উত্তর : সাইবার অপরাধ হচ্ছে একধরনের অপরাধ যা তথ্যপ্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে সংগঠিত করা হয়। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে শুরু করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাইবার অপরাধ সংগঠিত হয়। সাইবার অপরাধ শুধুমাত্র অনলাইনে সংগঠিত হয় এবং প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন উপায়ে সাইবার অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। নিচে বিভিন্ন সাইবার অপরাধ এর নাম উল্লেখ করা হলো- স্প্যাম, অনলাইনে প্রতারণা, অনলাইনে আপত্তিকর তথ্য প্রকাশ, অনলাইনে হুমকি প্রদর্শন, সাইবার যুদ্ধ ইত্যাদি সাইবার অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

প্রশ্ন-২। তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি দুর্নীতি নিরসনে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে— ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : পৃথিবীর সব দেশেই কোনো না কোনো ধরনের দুর্নীতি হয়ে থাকে। পৃথিবী থেকে দুর্নীতি কমানোর জন্য তথ্য প্রযুক্তি সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে। কারণ তথ্যপ্রযুক্তি সকল তথ্য সবার সামনে উপস্থিত করতে পেরেছে। কাজেই কোথাও কোনো দুর্নীতি করা হলে সেটি সবার সামনে প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে। যেমন- কোনো প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি করে আর্থিক লেনদেন করা হলে সেটি মূল তথ্যভাণ্ডারে চলে আসছে এবং স্বচ্ছতার কারণে সেটি অন্যদের চোখের সামনে চলে আসছে। সে কারণে দুর্নীতিপরায়ণ মানুষ কিংবা প্রতিষ্ঠান অনেক সময় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করতে চায় না। অর্থাৎ দুর্নীতি নিরসনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। ফলে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়বে দুর্নীতির পরিমাণ ততো কমবে।

Leave a Comment