অ্যামিন কাকে বলে? অ্যামিন কত প্রকার?

অ্যামিন হচ্ছে জৈব যৌগ, অ্যামোনিয়ার জাতক। অ্যামোনিয়া (NH3)-এর এক বা একাধিক হাইড্রোজেন পরমাণু সমসংখ্যক অ্যালকাইল বা অ্যারাইল মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলে যে সব যৌগ উৎপন্ন হয়, তাদেরকে অ্যামিন (amines) বলে। সংক্ষেপে অ্যামিন হল অ্যালকাইল বা অ্যারাইল প্রতিস্থাপিত অ্যামােনিয়া। যেমন : অ্যালকাইল অ্যামিন (R – NH2), অ্যারাইল অ্যামিন বা ফিনাইল অ্যামিন (Ar – NH2), ডাইমিথাইল অ্যামিন (NH3 – NH –NH3), মিথাইল ফিনাইল অ্যামিন (Ar – NH – NH3) ইত্যাদি।

 

অ্যামিনের শ্রেণীবিভাগ

অ্যামিনসমূহকে গঠন অনুসারে, অ্যালকাইল বা অ্যারাইল মূলকের সংখ্যা অনুসারে এবং অ্যামিনাে মূলকের সংখ্যা অনুসারে তিনভাগে ভাগ করা যায়।

(ক) গঠন অনুসারে অ্যামিনসমূহ তিন প্রকার। যেমন-

১. অ্যালিফেটিক মুক্ত শিকল অ্যামিন বা অ্যালকাইল অ্যামিন।

২. অ্যারােমেটিক অ্যামিন বা অ্যারাইল অ্যামিন : অ্যারোমেটিক অ্যামিনসমূহ অ্যানিলিনরূপে নাইট্রোজেন অণুর সাথে যুক্ত থাকে। অ্যামিন গ্রুপের উপস্থিতি অ্যারোমেটিক চক্রের কার্যকারিতা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি করে।

৩. বিষম চাক্রিক অ্যামিন।

 

অ্যামিন এর বৈশিষ্ট্য

  • প্রাইমারি ও সেকেণ্ডারি অ্যামিনের বৈশিষ্ট্যকে হাইড্রোজেন বন্ধন বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। এর ফলে সমরূপী ফসফিন থেকে অ্যামিনের স্ফুটনাঙ্ক বেশি, সমরূপী অ্যালকোহল থেকে কম। অ্যালকোহল বা অ্যালকানল অ্যামিনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও এতে NR2 এর বদলে একটি -OH গ্রুপ থাকে। যেহেতু অক্সিজেন, নাইট্রোজেন থেকে বেশিমাত্রায় তড়িতঋনাত্মক, তাই RO-H, R2N-H যৌগের থেকে বেশি অম্লীয়।
  • গ্যাসীয় অ্যামিনসমূহের গন্ধ অ্যামোনিয়ার মত হয়, তরল অ্যামিনের গন্ধ মাছের মত আঁশটে হয়।
  • অধিকাংশ অ্যালিফেটিক অ্যামিন পানিতে দ্রবণীয় হয়ে থাকে। এতে তাদের হাইড্রোজেন বন্ধন গঠনের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। কার্বন অণূর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বিশেষ করে এর সংখ্যা ৬ এর বেশি হলে দ্রাব্যতা কমে যায়।
  • অ্যালিফেটিক অ্যামিনসমূহ জৈব যৌগে অধিকমাত্রায় দ্রবণীয়তা দেখায়।

Leave a Comment