প্যারালাইসিস কাকে বলে?

শরীরের কোনো অংশের ঐচ্ছিক মাংসপেশি ইচ্ছামতো নাড়াতে পারার ক্ষমতা নষ্ট হওয়াকে প্যারালাইসিস বলে। সাধারণত মস্তিষ্কের কোনো অংশের ক্ষতির কারণে ঐ অংশের সংবেদন গ্রহণকারী পেশিগুলো কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। একজনের আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ প্যারালাইসিস হতে পারে, ফলে শরীরের একপাশে কোনো অঙ্গ অথবা উভয় পাশের অঙ্গের কার্যকারিতা নষ্ট হয়, যেমন, দুই হাত ও পায়ের প্যারালাইসিস।

 

ব্যুৎপত্তি

বাংলা পক্ষাঘাত শব্দটি এসেছে “পক্ষ + আঘাত” থেকে। স্ট্রোক অথবা শিরদাড়ার একদিকে আঘাত লাগলে অনেক সময় শরীরের বিপরীত অর্ধেক অবশ এবং পঙ্গু হয়ে যায়। শরীরের এক অর্ধ অর্থাৎ এক পক্ষ আঘাতগ্রস্ত হবার থেকেই সম্ভবতঃ এই শব্দটির উৎপত্তি।

 

কারণ

পক্ষাঘাতের কারণ পেশী জনিত বা স্নায়ুজনিত হতে পারে।

পক্ষাঘাত সাধারণতঃ স্নায়ুতে আঘাত দ্বারা শুরু হয়ে থাকে, বিশেষ করে শিরদাঁড়া (অর্থাৎ মেরুদণ্ডে)চোট লেগে। অন্যান্য কিছু কারণ হল স্ট্রোক, অন্যান্য আঘাত যার সঙ্গে স্নায়বিক আঘাত জড়িত থাকতে পারে, পোলিও, পার্কিন্সন্স ডিজিজ, এ এল এস, বোটুলিজম, মালটিপ্ল স্ক্লেরোসিস, গুলে বারে সিনড্রোম, জন্মগত সিফিলিস, স্পাইনা বাইফিডা, সেরিব্রাল প্যালসি ইত্যাদি।

অনেক স্পাইনা বাইফিডা জনিত জন্মগত পক্ষাঘাত জন্মের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শল্য চিকিৎশা দ্বারা সম্পূর্ণ নিরাময় করা স্মভব হতে পারে।

অনেক সময় আসলে পেশীর দৌর্বল্য না থাকলেও পক্ষাঘাতের মত উপ্সর্গ দেখা দিতে পারে। একে ছদ্ম পক্ষাঘাত বলে।

Leave a Comment