HomeBlogআঞ্চলিক ভাষা কাকে বলে? আঞ্চলিক ভাষার বৈশিষ্ট্য কি কি?

আঞ্চলিক ভাষা কাকে বলে? আঞ্চলিক ভাষার বৈশিষ্ট্য কি কি?

যে ভাষা একটি দেশের অঞ্চলবিশেষের কথ্য ভাষা তাকে আঞ্চলিক ভাষা বলে।

প্রত্যেক দেশেই বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষার মধ্যে পার্থক্য থাকে। এই পার্থক্য কথার টানে, উচ্চারণে এবং শব্দের রূপে দেখা যায়। জিহ্বার জড়তা, বিশেষ ভঙ্গিতে ধ্বনি ও শব্দ উচ্চারণ অন্যান্য অঞ্চল বা দেশের সঙ্গে মেলামেশা, স্থানীয়ভাবে কিছু কিছু শব্দ সৃষ্টি বা সৃষ্ট শব্দের ব্যবহার, জলবায়ু, আবহাওয়া ইত্যাদি কারণে আঞ্চলিক ভাষা গড়ে ওঠে। বাংলাদেশেও বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় পার্থক্য আছে। যেমন–

চট্রগ্রাম জেলার পল্লী অঞ্চলে ‘অতিথি’-কে বলে ‘গর্বা’।

নোয়াখালী জেলার পল্লী অঞ্চলে ‘টাকা’-কে বলে ‘টেকা’, ‘খাব’-কে বলে ‘খামু’।

‘মেয়ে’ শব্দটি বিভিন্ন স্থানে ‘পুরি’, ‘মাইয়া’, ‘ছেমড়ি’, ‘ছেড়ি’, ‘ছোকড়ি’, রূপ লাভ করেছে।

 

আঞ্চলিক ভাষার বৈশিষ্ট্য

আঞ্চলিক ভাষার বৈশিষ্ট্যগুলো হলঃ

(১) আঞ্চলিক ভাষা সাধারণত মৌখিক ভাষা। তবে, তার লিখিত রূপও পাওয়া যায়।

(২) আঞ্চলিক ভাষা স্ব-স্ব অঞ্চলের উচ্চারণ ও বাক্য গঠনরীতি-নির্ভর।

(৩) আঞ্চলিক ভাষা যে কোনো দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত।

(৪) আঞ্চলিক ভাষার কোনো কোনো শব্দ সাধু রীতি বা চলিত রীতিতে গৃহীত হয়ে থাকে।

 

আরো পড়ুনঃ-

১। যৌগিক ক্রিয়া ও মিশ্র ক্রিয়া কাকে বলে? যৌগিক ও মিশ্র ক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য কি?

২। সমাপিকা ক্রিয়া ও অসমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে?

৩। ক্রিয়ার কাল কাকে বলে? ক্রিয়ার কাল কত প্রকার ও কি কি? (Tense in Bengali)

৪। ক্রিয়ামূল বা ধাতু কাকে বলে? ক্রিয়ামূল কত প্রকার ও কি কি?

৫। ক্রিয়ার ভাব কাকে বলে? ক্রিয়ার ভাবের প্রকারভেদ।

৬। বিশেষ্য পদ কী? বিশেষ্য পদ কত প্রকার ও কী কী?

৭। যোজক কাকে বলে? যোজক কত প্রকার ও কি কি?

৮। সাধিত ধাতু কাকে বলে? সাধিত ধাতু কত প্রকার ও কি কি?

৯। সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য কি?

১০। মৌলিক স্বরধ্বনি ও যৌগিক স্বরধ্বনি কাকে বলে?

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

MOST POPULAR