HomeBiologyসুষম খাদ্য কাকে বলে? সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি ও কি কি?

সুষম খাদ্য কাকে বলে? সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি ও কি কি?

সুষম খাদ্য কাকে বলে?

যেসব খাদ্যে দেহের চাহিদা মেটানোর জন্য পরিমিত পরিমাণে শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি এ ছয়টি উপাদান উপস্থিত থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলে। যেমন- দুধ।

 

সুষম খাদ্যের উপাদান

সুষম খাদ্যের মূলত ৬টি (ছয়টি) উপাদান। এই ছয়টি উপাদান যদি কোন খাদ্যের মধ্যে বিদ্যমান থাকে, তবে সেগুলোকে সুষম খাদ্যের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

উত্তম সুষম খাদ্যের উপাদানগুলো হল:

  • কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা
  • প্রোটিন বা আমিষ
  •  ফ্যাট বা চর্বি
  • ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ
  • খনিজ লবন ও
  • পানি।

নিম্নে সুষম খাদ্যের উপাদানগুলো আলোচনা করা হল:

কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা :

কার্বোহাইড্রেট(Carbohydrate) হল ইংরেজী শব্দ। যার বাংলা প্রতিশব্দ হল শর্করা। কার্বোহাইড্রেট হল এক ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ। যা হল কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বিত রূপ। এটি একটি জৈব যৌগ। যাতে হাইডোজেন ও অক্সিজেনের অনুপাত ২:১। কার্বোহাইড্রেট বা শর্করাকে সুগার বা চিনিও বলা হয়। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্যের প্রধান কাজ হল শরীরে শক্তির যোগান দেওয়া। কার্বোহাইড্রেট শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে। কার্বোহাইড্রেট শরীরে কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করে।

“এক গ্রাম কার্বোহাইড্রেটের সম্পূর্ণ দহনে ৪.০ ক্যালরী তাপশক্তি উৎপন্ন হয় ”

শর্করা প্রোটিন ও ফ্যাট সংশ্লেষনে অংশগ্রহন করে থাকে, এজন্য শর্করাকে ”প্রোটিন বাচোয়া” খাদ্য বলে। শর্করার ফলে শরীরে তাপনের উৎপত্তি হয়। যা মানুষকে কাজ করতে সহায়তা করে।

 

সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন কেন?

সুষম খাদ্যে খাদ্যের প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পুষ্টি উপাদান পরিমাণ মতো থাকে। কর্মক্ষম থাকার জন্য আমাদের সঠিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ না করলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে ও সহজে রোগে আক্রান্ত হয়। তাই আমাদের বয়স ও কাজের ধরণ অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন।

 

সুষম খাদ্যের বৈশিষ্ট্য কি কি?

  • একজন মানুষের বিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদনের সামর্থ্য থাকতে হবে।
  • শর্করা, আমিষ ও চর্বি নির্দিষ্ট অনুপাতে পরিমাণ মতো গ্রহণ করা।
  • খাদ্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও রাফেজ বা সেলুলোজ সরবরাহের জন্য সুষম খাদ্য তালিকায় ফল ও টাটকা শাকসবজি থাকতে হবে।
  • খাদ্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি ও লবণ থাকতে হবে।
  • সুষম খাদ্য অবশ্যই সহজপাচ্য হতে হবে।
  • সুস্থ, সবল ও উন্নত জীবনযাপনের জন্য সুষম খাদ্যের কোনাে বিকল্প নেই। দেহের পরিপুষ্টির জন্য ছয় উপাদানবিশিষ্ট খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করে সুষম খাদ্যের তালিকা বা মেনু পরিকল্পনা করা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেহের চাহিদা, খাদ্যের সহজলভ্যতা এবং পারিবারিক আয়, এ তিনটি বিষয় বিবেচনা করে খাদ্য উপাদান বাছাই বা মেনু পরিকল্পনা করলে তা বাস্তবমুখী হয়। কম দামি খাবার দিয়ে সমান পুষ্টিমানের মেনু পরিকল্পনা করা যায়; তাই সমমানের উপাদান-সংবলিত বেশি দামের খাদ্যের পরিবর্তে কম দামি খাদ্য নির্বাচন করে সুষম খাদ্য গ্রহণের মানসিকতা থাকা ভালাে।

 

সুষম খাদ্য সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর–

১। পরিমিত খাদ্য কী?

উত্তর : দেহকে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম রাখার জন্য পরিমাণ মতো খাদ্যই হলো পরিমিত খাদ্য।

২। কয়টি খাদ্য উপাদান মিলে সুষম খাদ্য তৈরি হয়?

উত্তর : ছয়টি খাদ্য উপাদান মিলে সুষম খাদ্য তৈরি হয়।

৩। সুস্থ সবল দেহের জন্য সকলের কোন ধরনের গ্রহণ করা উচিত?

উত্তর : সুস্থ সবল দেহের জন্য সকলের সুষম খাদ্য খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

MOST POPULAR