ইকোলজি কাকে বলে? ইকোলজিক্যাল পিরামিড কত প্রকার?

ইকোলজি (Ecology) : জীববিজ্ঞানের যে বিশিষ্ট শাখায় পরিবেশে বিন্যস্ত বিভিন্ন জীব ও তার পারিপার্শ্বিক জড় উপাদান এবং তাদের পারস্পরিক আন্তঃক্রিয়া, নির্ভরশীলতা ও মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে বাস্তুবিদ্যা বা ইকোলজি বলে।

পরিবেশবিজ্ঞানের ইংরেজি পরিভাষা Ecology ইকোলজি। গ্রিক οίκος, ওইকোস অর্থাৎ “বাসস্থান” এবং λόγος লোগোস অর্থাৎ “বিদ্যা” ইংরেজি Ecology পরিভাষাটি এসেছে। ইকোলজি শব্দটি জার্মান বিজ্ঞানী “আর্নস্ট হেকেল” ১৮৬৯ সালে সর্বপ্রথম প্রণয়ন করেন।

 

ইকোলজিক্যাল পিরামিড কত প্রকার ও কি কি?

ইকোলজিক্যাল পিরামিড তিন প্রকার। যথাঃ-

(১) সংখ্যার পিরামিড,

(২) শক্তির পিরামিড এবং

(৩) জীবভরের পিরামিড।

(১) সংখ্যার পিরামিডঃ বাস্তুতন্ত্রে একটি খাদ্যচক্রের প্রত্যেকটি পুষ্টিস্তরের মধ্যে সংখ্যা অনুপাত বিন্যাস সমন্বিত ছককে সংখ্যার পিরামিড বলে। এরকম পিরামিডের ভূমি থেকে শীর্ষ পর্যন্ত ক্রমপর্যায় অনুযায়ী প্রত্যেক পুষ্টিস্তরে জীবের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমে যেতে থাকে। শীর্ষ পুষ্টিস্তরগুলোতে প্রাণীর সংখ্যা যেমন হ্রাস পায় তেমনি আবার ওদের আয়তন তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়।

(২) শক্তির পিরামিডঃ বাস্তুতন্ত্র একটি খাদ্যচক্রের প্রত্যেকটি পুষ্টিস্তরের শক্তি উৎপাদনের হারের বিন্যাস সমন্বিত ছককে শক্তির পিরামিড বলে। এ পিরামিডে ভূমিতে অবস্থিত পুষ্টিস্তরের (অর্থাৎ উৎপাদকের) সর্বমােট শক্তির পরিমাণ সবচয়ে বেশি এবং শীর্ষে অবস্থিত পুষ্টিস্তরে শক্তির পরিমাণ সবচেয়ে কম। এর কারণ, এক পুষ্টিস্তর থেকে অন্য পুষ্টিস্তরে শক্তি স্থানান্তরের সময় শ্বসন, চলন এবং নানান দৈহিক ও বিপাক ক্রিয়ার ফলে স্থিতিশক্তির পরিমাণ কমে যায় (প্রায় ৮০-৯০% কমে যায়)।

(৩) জীবভরের পিরামিডঃ একটি বাস্তুতন্ত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাদ্যচক্রের বিভিন্ন পুষ্টিস্তরে অবস্থিত জীবের শুষ্ক ওজনের উপর ভিত্তি করে যে খাদ্য পিরামিড গড়ে উঠে, তাকে জীবভরের পিরামিড বলে। এ পিরামিডের নিচ থেকে উপরে পুষ্টিস্তরের জীবভর ক্রমশ কম থাকে। কিন্তু পরজীবীদের বেলায় জীবভরের পিরামিড বিপরতিমুখি হয়।

Leave a Comment