অ্যাসেম্বলি ভাষা কি? অ্যাসেম্বলি ভাষার সুবিধা ও অসুবিধা কি?

অ্যাসেম্বলি ভাষা কি? (What is Assembly language in Bengali/Bangla?)

অ্যাসেম্বলি ভাষা হচ্ছে মেশিন ভাষার পরবর্তী প্রোগ্রামের ভাষা। এ ভাষা বিভিন্ন সংকেত সহযোগে গঠিত। তাই একে সাংকেতিক ভাষাও বলা হয়। মেশিন ভাষায় প্রোগ্রাম লেখা খুবই কঠিন, তাই অ্যাসেম্বলি ভাষ তৈরি করা হয়েছে। অ্যাসেম্বলার দিয়ে এই অ্যাসেম্বলি ভাষাকে মেশিন ভাষায় রূপান্তর করা হয়।

অ্যাসেম্বলার (Assembler) হল একটি অনুবাদক প্রোগ্রাম, যা অ্যাসেম্বলি ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামকে মেশিন ভাষায় অনুবাদ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এর প্রধান কাজ হলো–

  • নেমোনিক কোডকে যন্ত্রভাষায় অনুবাদ করা।
  • সাংকেতিক ঠিকানাকে যন্ত্রভাষায় লেখা ঠিকানায় পরিণত করা।
  • প্রতিটি নির্দেশ ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করা, ঠিক না থাকলে তা জানানো।
  • সব নির্দেশ ও তথ্য প্রধান মেমোরিতে রাখা।
  • সব ভুল সংশোধনের পর প্রথম নির্দেশ থেকে কাজ শুরু করতে কন্ট্রোলকে নির্দেশ দেওয়া।
  • সাংকেতিক ভাষায় প্রত্যেক নির্দেশকে যন্ত্রভাষায় একটি নির্দেশে পরিণত করা।

অ্যাসেম্বলি ভাষার প্রচলন শুরু হয় ১৯৫০ সাল থেকে। দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে এ ভাষা ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল।

অ্যাসেম্বলি ভাষার সাধারনত ৪টি অংশ থাকে। যথাঃ

ক) লেবেল (Lable) (প্রোগ্রামের সংকেতিক চিহ্ন)।

খ) অপকোড ( pcode) (প্রোগ্রামের add +, sub -, mul x)

গ) অপারেন্ড (Operand) (প্রোগ্রামের x, y, a, b etc)

ঘ) মন্তব্য (Comment) ( প্রোগ্রামের: , ; // etc দ্বারা চিহ্ন করা)।

 

অ্যাসেম্বলি ভাষার সুবিধা (Advantages Of Assembly language)

১. এ ভাষায় রচিত প্রোগ্রাম দক্ষ ও সংক্ষিপ্ত হয়।

২. মেমোরি অ্যাড্রেসের বিবরণের প্রয়োজন হয় না।

৩. প্রোগ্রাম রচনায় ভুলের পরিমাণ কম হয়।

৪. মেশিনের অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে জানা যায়।

 

অ্যাসেম্বলি ভাষার অসুবিধা (Disadvantages of Assembly language)

১. প্রোগ্রাম রচনা অত্যন্ত ক্লান্তিকর ও সময়সাপেক্ষ।

২. এক ধরনের মেশিনের জন্য লিখিত প্রোগ্রাম অন্য ধরনের মেশিনে ব্যবহার করা যায় না।

৩. প্রোগ্রাম রচনার জন্য কম্পিউটারের সংগঠন সম্বন্ধে ধারণা থাকা অপরিহার্য।

৪. প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য অনুবাদক প্রোগ্রাম অ্যাসেম্বলারের প্রয়োজন।

 

যান্ত্রিক ভাষা ও অ্যাসেম্বলি ভাষার মধ্যে পার্থক্য কি? (What is the difference between Machine language and Assembly language)

যান্ত্রিক ভাষা ও অ্যাসেম্বলি ভাষার মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হলো-

  • বাইনারি সংখ্যা ০ ও ১ দিয়ে তৈরি ভাষাকে যান্ত্রিক ভাষা বলে। আর সংক্ষিপ্ত সাংকেতিক চিহ্ন বা সহায়ক নাম দিয়ে লিখিত ভাষাকে অ্যাসেম্বলি ভাষা বলে।
  • যান্ত্রিক ভাষাকে সংক্ষিপ্ত আকারে লেখা যায়। অন্যদিকে অ্যাসেম্বলি ভাষা খুব কম সময়ে রচনা করা যায়।
  • নির্ভরতার দিক থেকে যান্ত্রিক ভাষা কম্পিউটার নির্ভর ভাষা আর অ্যাসেম্বলি যন্ত্র নির্ভর ভাষা।
  • যান্ত্রিক ভাষার ক্ষেত্রে এক কম্পিউটারের জন্য লিখিত প্রোগ্রাম অন্য কম্পিউটারে চালানো যায় না। আর অ্যাসেম্বলি ভিন্ন ভিন্ন যন্ত্রের জন্য ভিন্ন ভিন্ন অ্যাসেম্বলি ভাষা ব্যবহার করে থাকে।

Tags :

১। অ্যাসেম্বলি ভাষা কি?

২। অ্যাসেম্বলি ভাষার অপর নাম কি?

৩। অ্যাসেম্বলি ভাষার প্রচলন শুরু হয় কত সাল থেকে?

৪। অ্যাসেম্বলি ভাষার কয়টি অংশ থাকে?

৫। অ্যাসেম্বলি ভাষার সুবিধা ও অসুবিধা কি কি?

৬। যান্ত্রিক ভাষা ও অ্যাসেম্বলি ভাষার পার্থক্য কি?

Leave a Comment