HomeUncategorizedশক্তির ব্যবহার (সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান)

শক্তির ব্যবহার (সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান)

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতিতে উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ছাড়াও সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের যেকোনো অংশ থেকে জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক প্রশ্ন আসতে পারে। তাই এ অধ্যায়ের সর্বাধিক কমনের উপযোগী কিছু গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর প্রদান করা হলো।

প্রশ্ন-১. কাজের সাথে কয়টি বিষয় সম্পর্কযুক্ত?

উত্তর : ২টি।

 

প্রশ্ন-২. কাজ করার হারকে কী?

উত্তর : ক্ষমতা।

 

প্রশ্ন-৩. বায়ুশক্তি কাকে বলে?

উত্তর : বায়ুপ্রবাহের ফলে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তাকে বায়ুশক্তি বলে।

 

প্রশ্ন-৪. সৌরকোষের ওপর আলো পড়লে তা থেকে কী পাওয়া যায়?

উত্তর : সৌরকোষের ওপর আলো পড়লে তা থেকে সরাসরি তড়িৎ পাওয়া যায়।

 

প্রশ্ন-৫. আলোকশক্তি কী?

উত্তর : কোনো আলোক উৎস থেকে বিকীর্ণ আলো থেকে যে শক্তি পাওয়া যায় তাকে আলোকশক্তি বলে।

 

প্রশ্ন-৬. কী থেকে শব্দের উৎপত্তি হয়?

উত্তর : পদার্থের কম্পন থেকে শব্দের উৎপত্তি হয়।

 

প্রশ্ন-৭. নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কোনটি?

উত্তর : পানি।

 

প্রশ্ন-৮. পানির জোয়ার-ভাটা কোন ধরনের শক্তি?

উত্তর : নবায়নযোগ্য শক্তি।

 

প্রশ্ন-৯. কোনটি অফুরন্ত শক্তির উৎস?

উত্তর : সূর্যরশ্মি।

 

প্রশ্ন-১০. ক্ষমতা কী?

উত্তর : কোনো ব্যক্তি বা উৎস দ্বারা সম্পাদিত কাজের হারই হলো ক্ষমতা।

 

প্রশ্ন-১১. কাজ কী?

উত্তর : কোনো বস্তুর ওপর বল প্রযুক্ত হলে, বল এবং বলের দিকে বস্তুর অতিক্রান্ত দূরত্বের গুণফলকে কাজ বলে।

 

প্রশ্ন-১২. চুম্বক শক্তি কী?

উত্তর : যে শক্তি দিয়ে কোনো চুম্বক দূর থেকে একটি লোহার বস্তুকে আকর্ষণ করে তাকে চুম্বক শক্তি বলে।

 

প্রশ্ন-১৩. রাসায়নিক শক্তি কাকে বলে?

উত্তর : খাদ্যে বা জ্বালানিতে যে শক্তি জমা থাকে তাকে রাসায়নিক শক্তি বলে।

 

প্রশ্ন-১৪. গতিশক্তি কাকে বলে?

উত্তর : গতির জন্য কাজ করার সামর্থ্যকে গতিশক্তি বলে।

 

প্রশ্ন-১৫. তাপশক্তি কাকে বলে?

উত্তর : রান্না করতে, মোটরগাড়ি বা রেলগাড়ির ইঞ্জিন চালাতে যে শক্তি ব্যবহার করা হয় তাকে তাপশক্তি বলে।

 

প্রশ্ন-১৬. স্থিতিশক্তি কাকে বলে?

উত্তর : কোনো বস্তুর বিশেষ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য বস্তুতে যে শক্তি সঞ্চিত থাকে তাকে ওই বস্তুর স্থিতিশক্তি বলে।

 

প্রশ্ন-১৭. অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কোনটি?

উত্তর : কয়লা।

 

প্রশ্ন-১৮. অনবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে?

উত্তর : যে শক্তি একবার ব্যবহার করা হলে তা থেকে পুনরায় শক্তি উৎপন্ন করা যায় না তাকে অনবায়নযোগ্য শক্তি বলে।

 

প্রশ্ন-১৯. অনবায়নযোগ্য শক্তির উদাহরণ দাও।

উত্তর : অনবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে অন্যতম হলো কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, নিউক্লিয় শক্তি, যেমন ইউরেনিয়াম ইত্যাদি।

 

প্রশ্ন-২০. ফটোগ্রাফিক প্লেটের ওপর আলোর ক্রিয়ার ফলে শক্তির রূপান্তর কীরূপ হয়?

উত্তর : ফটোগ্রাফিক প্লেটের ওপর আলোর ক্রিয়ার ফলে আলোকশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

 

প্রশ্ন-২১. প্রাকৃতিক গ্যাস অনবায়নযোগ্য শক্তি কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : প্রাকৃতিক গ্যাস একটি অনবায়নযোগ্য শক্তি। কারণ প্রকৃতিতে এদের তৈরি করতে যে সময় লাগে তার চেয়ে কম সময়ে ব্যয়িত হয়। প্রাকৃতিক গ্যাস মূলত জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং ব্যবহারের পর তা আর উৎপাদন করা যায় না। তাই প্রাকৃতিক গ্যাস একটি অনবায়নযোগ্য শক্তি।

 

প্রশ্ন-২২. তাপ এক প্রকার শক্তি–ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : শক্তি হচ্ছে এমন কিছু যা দিয়ে কাজ করা যায়। রান্না করতে, মোটর গাড়ি বা রেলগাড়ির ইঞ্জিন চালাতে তাপ প্রয়োজন হয়। কয়লা, গ্যাস, কাঠ, পেট্রোল বা ডিজেল পুড়িয়ে এই তাপ পাওয়া যায়। এই তাপ পৃথিবীকে উষ্ণ রাখে। এ কারণে তাপ এক প্রকার শক্তি।

 

প্রশ্ন-২৩. শব্দশক্তির রূপান্তর ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ঔষধের কারখানায় শব্দোত্তর তরঙ্গের সাহায্য জীবাণু ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া শব্দোত্তর তরঙ্গ দ্বারা জামা-কাপড়ের ময়লাও পরিষ্কার করা হয়। এসব ক্ষেত্রে শব্দশক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। অনুনাদের সময়ও শব্দশক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। আবার টেলিফোন বা রেডিওর প্রেরক যন্ত্রে শব্দশক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে পরিণত করে।

 

প্রশ্ন-২৪. সৌরশক্তির রূপান্তর ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : সৌরচুল্লির মাধ্যমে রান্না করা হয়, এক্ষেত্রে সৌরশক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি যেমন পকেট ক্যালকুলেট, রেডিও, ইলেকট্রনিক ঘড়িতে সৌরশক্তিকে তড়িৎশক্তিতে রূপান্তর করা হয়।

 

প্রশ্ন-২৫. সৌরশক্তির ব্যবহার উল্লেখ কর।

উত্তর : নিচে সৌরশক্তির ব্যবহার উল্লেখ কর হলো–

  • শীতপ্রধান দেশে ঘরবাড়ি গরম রাখার কাজে সৌরশক্তি ব্যবহৃত হয়।
  • শস্য, সবজি শুকানোর কাজে সৌরশক্তি ব্যবহৃত হয়।
  • সৌর কোষে সৌরশক্তি ব্যবহার করে সরাসরি নিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।

 

প্রশ্ন-২৬. শক্তি সংকট সৃষ্টি হওয়ায় ২টি কারণ লেখ।

উত্তর : শক্তি সংকট সৃষ্টি হওয়ায় ২টি কারণ নিচে লেখা হলো–

  • উন্নয়নকামী দেশসমূহ ব্যাপক হরে দালানকোঠা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করছে এবং যানবাহন ব্যবহার করে। এ সকল নির্মাণকাজে ও যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণে অধিক শক্তি ব্যয় করছে।
  • মানুষ উন্নত জীবনযাপনের জন্য বিলাসবহুল বাড়িঘর নির্মাণ করে। রেডিও, টিভি, কম্পিউটার, শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রপাতি অধিকহারে ব্যবহার করার ফলে শক্তির সংকট বাড়ছে।
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments