HomePhysicsচল বিদ্যুৎ (নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান)

চল বিদ্যুৎ (নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান)

প্রশ্ন-১. বর্তনীতে ব্যবহৃত রোধক কত প্রকার?

উত্তর : বর্তনীতে ব্যবহৃত রোধক দুই প্রকার।

 

প্রশ্ন-২. স্থির মানের রোধক কী?

উত্তর : যে সকল রোধকের রোধের মান নির্দিষ্ট তাদেরকে স্থির মানের রোধক বলে।

 

প্রশ্ন-৩. কোনো পরিবাহকের রোধ কয়টি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?

উত্তর : একটি পরিবাহকের রোধ চারটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন-৪. রোধ কাকে বলে?

উত্তর : সকল পরিবাহী তড়িৎ প্রবাহে কম-বেশি বাধা দেয়। এ বাধাকে পরিবাহীর রোধ বলে।

প্রশ্ন-৫. অ্যামিটার কি?

উত্তর : যে যন্ত্রের সাহায্যে বর্তনীর তড়িৎ প্রবাহ সরাসরি অ্যাম্পিয়ার এককে পরিমাপ করা যায় তাকে অ্যামিটার বলে।

প্রশ্ন-৬. জীবন্ত তার কি?

উত্তর : যে তার বৈদ্যুতিক সরঞ্জামে বৈদ্যুতিক শক্তি সরবরাহ করে তাকে জীবন্ত তার বলে।

প্রশ্ন-৭. তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে পরিবাহীর রোধের কীরূপ পরিবর্তন হয়?

উত্তর : তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে পরিবাহীর রোধ বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন-৮. কত কিলো ওয়াট ঘন্টা সমান এক ইউনিট?

উত্তর : এক কিলোওয়াট ঘন্টা সমান এক ইউনিট।

প্রশ্ন-৯. তড়িচ্চালক শক্তির এস আই একক কী?

উত্তর : তড়িচ্চালক শক্তির এস আই একক ভোল্ট।

প্রশ্ন-১০. কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে আধান প্রবাহকে কী বলে?

উত্তর : কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে আধান প্রবাহকে তড়িৎ প্রবাহ বলে।

প্রশ্ন-১১. রোধের মাত্রা কি?

উত্তর : রোধের মাত্রা হলো ML2T-3I-2

প্রশ্ন-১২. ওমের সূত্রটি লিখ।

উত্তর : ‘তাপমাত্রা স্থির থাকলে কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে যে তড়িৎ প্রবাহ চলে তা ঐ পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক’।

 

প্রশ্ন-১৩. তড়িৎ বর্তনী কাকে বলে?

উত্তর : তড়িৎ উৎসের ধনাত্মক প্রান্ত থেকে ঋণাত্মক প্রান্তে তড়িৎ প্রবাহের জন্য সম্পূর্ণ পথকে তড়িৎ বর্তনী বলে। যখন তড়িৎ উৎসের দুই প্রান্তকে এক বা একাধিক রোধ, তড়িৎ যন্ত্র বা উপকরণের সাথে যুক্ত করা হয়, তখন একটি তড়িৎ বর্তনী তৈরি হয়।

 

রোধের শ্রেণি সন্নিবেশ কাকে বলে?

উত্তর : রোধের যে সন্নিবেশে রোধগুলো পর্যায়ক্রমে এমনভাবে সংযুক্ত যাতে রোধগুলোর মধ্যে দিয়ে একই পরিমাণ তড়িৎ প্রবাহিত হয় সেই সন্নিবেশকে রোধের শ্রেণি বলে।

 

রোধের সমান্তরাল সন্নিবেশ কাকে বলে?

উত্তর : কতগুলো রোধ যদি এমনভাবে সাজানো থাকে যে এদের এক প্রান্ত একটি সাধারণ বিন্দুতে এবং অপর প্রান্তগুলো অন্য একটি সাধারণ বিন্দুতে সংযুক্ত থাকে এবং প্রত্যেকটি রোধের দুই প্রান্তে একই বিভবান্তর বজায় থাকে তাহলে সেই সন্নিবেশকে রোধের সমান্তরাল সন্নিবেশ বলে।

 

কিলোওয়াট ঘণ্টা কাকে বলে? ১ কিলোওয়াট ঘণ্টা সমান কত?

উত্তর : এক কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কোন যন্ত্র এক ঘণ্টা কাজ করলে যে শক্তি ব্যয় হয় তাকে এক কিলোওয়াট ঘণ্টা বলে। সাধারণত বিদ্যুৎশক্তি হিসাব-নিকাশের সময় কিলোওয়াট ঘণ্টা এককটি ব্যবহৃত হয়। ১ কিলোওয়াট ঘণ্টা = ৩.৬ × ১০৬ জুল।

 

অন্তরক বা অপরিবাহী কাকে বলে?

উত্তর : যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চলতে পারে না তাদেরকে অন্তরক বা অপরিবাহী বলে। যেমন- কাঁচ, কাঠ, রাবার, প্লাস্টিক ইত্যাদি অপরিবাহী পদার্থ। অপরিবাহী পদার্থের তড়িৎ পরিবাহিতা খুব কম এবং আপেক্ষিক রোধের মান অত্যন্ত বেশি। অন্তরক পদার্থের আপেক্ষিক রোধ প্রায় 1012Ωm ক্রমের।

 

সমবিভব তল কাকে বলে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : যে তলের সকল বিন্দুতে বৈদ্যুতিক বিভবের মান সমান, তাকে সমবিভব তল বলে।

সমবিভব তলের উপরিস্থিত যে কোনো দুটি বিন্দুর মধ্যে বৈদ্যুতিক বিভব পার্থক্য শূন্য বলে এক বিন্দু হতে অন্য বিন্দুতে চার্জকে নিয়ে যেতে কোনো কাজ করতে হয় না। চার্জিত গোলাকার পরিবাহী কর্তৃক সৃষ্ট সমবিভব তলগুলো গোলীয় এবং তড়িৎ ক্ষেত্রের প্রাবল্যের সাথে সমকোণী।

 

ফিউজ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : আমরা দৈনন্দিন জীবনে যেসব তড়িৎ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি সেগুলোর মধ্য দিয়ে একটি নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি তড়িৎ প্রবাহিত হলে তা নষ্ট হয়ে যায়। বাড়ির তড়িৎ বর্তনীতে কোনো কারণে অতিরিক্ত তড়িৎ প্রবাহিত হলে অনেক সময় তার থেকে বাড়িতে আগুন পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এ ধরনের বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা এড়াবার জন্য বর্তনীতে এক ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই বিশেষ ব্যবস্থা হলো ফিউজ তার ব্যবহার করা। ফিউজ সাধারণত টিন ও সীসার একটি সংকর ধাতুর তৈরি ছোট সরু তার।

 

বৈদ্যুতিক বাল্বের ফিলামেন্ট টাংস্টেন দিয়ে তৈরি কেন?

উত্তর : বাল্বের সরু তারের কুন্ডলি বা ফিলামেন্টের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে তা খুব উত্তপ্ত হয় ও চারদিক আলোকিত করে। টাংস্টেন সর্বোচ্চ গলনাংকের ধাতু ও বেশি পীড়ন সহ্য ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় বাল্বকে অধিক টেকসই করতে এটি দিয়ে ফিলামেন্ট তৈরি করা হয়।

 

কী কী কারণে বিদ্যুতের সিস্টেম লস হয়?

উত্তর : নিম্নোক্ত কারণে বিদ্যুতের সিস্টেম লস হয়:

  • বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সময় কিছু সিস্টেম লস হয়।
  • উৎপন্ন বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হয়ে ফেজ মারফত ট্রান্সফরমারে আসার সময়ও সিস্টেম লস হয়।
  • বৈদ্যুতিক লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহের সময়ও সিস্টেম লস হয়।
  • সর্বোপরি অবৈধ ব্যবহারের ফলে বড় আকারে সিস্টেম লস হয়।
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

MOST POPULAR