HomeTechnologyমোবাইল ফোন কি? মোবাইল ফোনের সুবিধা কি?

মোবাইল ফোন কি? মোবাইল ফোনের সুবিধা কি?

মোবাইল ফোন (Mobile Phone) হলো ছোট আকারের একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস। যার মধ্যে শব্দ বা তথ্য গ্রহণ ও প্রেরণ করার জন্য ইনপুট ও আউটপুট ইউনিট থাকে। আর সেই সাথে থাকে একটি ডিসপ্লে ইউনিট বা পর্দা, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী নিজের ফোন অপর প্রান্ত থেকে আসা কোন ফোন কলের নাম্বারসহ নিজের কানেকশন বা সংযোগের প্রকৃতি বুঝা যায়, সেই সাথে সময় ও তারিখের প্রদর্শন হয়ে থাকে।

মোবাইল ফোন সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়সমূহ : মোবাইল ফোন সংযোগের জন্য নিচের বস্তুগুলো প্রয়োজন হবে– (১) একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট; (২) সিম কার্ড; (৩) পিনকোর্ড বা প্যাক কোর্ড; (৪) ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য এবং ছবি; (৫) মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক।

মোবাইল ফোনের বিবর্তন : মোবাইল ফোনের আরেক নাম মুঠো ফোন। স্বয়ংক্রিয় ও তারবিহীন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে মোবাইল ফোনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৪০ এর দিকে। যদিও এ প্রযুক্তির আবিষ্কার ও কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা হচ্ছিল এর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। তবুও ১৯৪০ এর দিকেই সর্বপ্রথম বাণিজ্যিকভাবে এর প্রচলন ঘটে। তারেক ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের মধ্য দিয়ে মোবাইল ফোন প্রযুক্তি ধীরে ধীরে পূর্ণতা লাভ করে। তবে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য যে, ১৯৪০ এ মোবাইল প্রযুক্তির প্রচলনের পর থেকে আজ পর্যন্ত গত ৬৪ বছরে এ প্রযুক্তির তেমন কোন মৌলিক পরিবর্তন ঘটেনি। তবে ২০০৫ সালে উন্নত বিশ্ব মোবাইল ভিডিওর ক্ষেত্রে ঘটাতে সক্ষম হয়েছে মোবাইল বিপ্লব।

বাংলাদেশ মোবাইল ফোন : ১৯৯৩ সালে সিটিসেল কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ মোবাইল ফোনের জগতে প্রবেশ করে। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত মোবাইল ফোন ছিল সাধারণ মানুষ বা মধ্যবিত্তের স্বপ্নের মত, পরে ১৯৯৬ সালে সরকার গ্রামীণ ফোন, একটেল এবং সেবা-এ তিনটি কোম্পানিকে মোবাইল ফোনের লাইসেন্স প্রদান করে। ফলে প্রতিযোগিতা শুরু হয় মোবাইল কোম্পানিগুলোর মধ্যে। মেবাইল ফোন মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে আসে। এই মোবাইল ফোন আর বাহুল্যের বিচার নয়। অন্ন, খাদ্য, বস্ত্রের মত সাধারণ মানুষের কাছে এটি মৌলিক চাহিদার বস্তুতে পরিণত হতে শুরু করেছে শুধু এর সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য। নিজেদের গ্রাহক ধরে রাখা এবং গ্রাহক তৈরির লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রচলিত কোম্পানীগুলো প্রতিনিয়ত মোবাইল নেটওয়ার্ক উন্নত ও বিস্তৃত করছে। সেই সঙ্গে প্রদান করছে আরো উন্নত সেবা।

 

মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক

মোবাইল ফোন ব্যবস্থার অপারেটররা তাদের সেবা অঞ্চলকে ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, পঞ্চভুজ বা ষড়ভুজ ইত্যাদি আকারের অনেকগুলো ক্ষেত্র বা কোষে বিভক্ত করে। সাধারণত ষড়ভুজ আকৃতির কোষই বেশি দেখা যায়। এই প্রত্যেকটি অঞ্চলের মোবাইল সেবা সরবরাহ করা হয় কয়েকটি নেটওয়ার্ক স্টেশন (সচরাচর যেগুলোকে আমরা মোবাইল ফোন কোম্পানির এন্টেনা হিসেবে জানি) দিয়ে। নেটওয়ার্ক স্টেশনগুলো আবার সাধারণত সেলগুলোর প্রতিটি কোণে অবস্থান করে। এভাবে অনেকগুলো সেলে বিভক্ত করে সেবা প্রদান করার কারণেই এটি “সেলফোন” নামেও পরিচিত। মোবাইল ফোন বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বলে অনেক বড় ভৌগোলিক এলাকায় এটি নিরবিচ্ছিন্নভাবে সংযোগ দিতে পারে।

 

মোবাইল ফোনের ব্যবহার

অনেক মোবাইল ফোনই স্মার্ট ফোন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কথা বলার পাশাপাশি এ ধরনের ফোনগুলো অন্যান্য বিষয়েও ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

  • ই-মেইল, এসএমএস বা ক্ষুদেবার্তা, প্রেরণ ও গ্রহণ;
  • ক্যালকুলেটর, মুদ্রা, সঙ্কেত বিষয়ক কার্যাবলী;
  • ইন্টারনেট;
  • গেমস খেলা;
  • ছবি ও ভিডিও তোলা;
  • ঘড়ির সময় দেখা;
  • কথা রেকর্ড করা;
  • ট্রেনের টিকিট বুকিং করা;
  • বিদ্যুৎ/গ্যাস বিল দেয়া ইত্যাদি।
  • টাকার আদানপ্রদান করা।

 

মোবাইল ফোনের সুবিধা (Advantages of Mobile Phone)

মোবাইল ফোনের সুবিধাসমূহ :

১. সাথে করে সহজে সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় (পোর্টেবিলিটি বা মোবিলিটির সুবিধাসংবলিত) ও যে  কোন স্থান থেকে যোগাযোগ করা যায়।

২. স্থান পরিবর্তন করা অবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ স্থপন করা যায়।

৩. কল ডাইভার্ট, হোল্ড রাখা কিংবা বাতিল করার সুবিধা পাওয়া যায়।

৪. স্থির বা ভিডিও চিত্র ধারণ, অডিও-ভিডিও কিংবা রেডিও-টিভির ব্যবহার করা যায়।

৫. ইন্টারনেট সংযুক্ত করে ওয়ের ব্রাউজিং করা যায় এবং ই-মেইল ব্যবহার করা যায়।

৬. SMS (Short Message Service), MMS (Multimedia Message Service) সার্ভিস আদান-প্রদান।

৭. টাচ স্ক্রিন ও হাতের লেখা সনাক্ত করা।

৮. একই সেটে একাধিক সিম ব্যবহার করা যায়।

৯. Global  Positioning System (GPS) সুবিধা, কল ট্র্যাকিং বা ব্যবহারকারী ও তার লোকেশন সনাক্ত করা যায়।

১০. Bluetooth, Infrared প্রভৃতি ওয়্যারলেস সিস্টেম সুবিধা থাকে।

 

Tags :

  • মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন?
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

MOST POPULAR