১৬০৯ সালে বিজ্ঞানী কেপলার গ্রহের গতি সম্পর্কিত তিনটি সূত্র প্রদান করেন।
জ্যোতির্বিজ্ঞানে কেপলারের গ্রহীয় গতিসূত্র সূর্যের চারদিকে গ্রহগুলোর গতি ব্যাখ্যা করে। অবশ্য যেকোন তারার চারপাশে গ্রহের আবর্তন বা আরও সাধারণভাবে যেকোন বস্তুর চারপাশে আরেকটি বস্তুর ঘূর্ণন ব্যাখ্যার কাজে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্রগুলো নিচে দেওয়া হলো–
- প্রথম সূত্র (কক্ষের সূত্র) : প্রতিটি গ্রহ সূর্যকে একটি নাভিতে (focus) রেখে উপবৃত্তাকার পথে প্রতিনিয়ত প্রদক্ষিণ করছে।
- দ্বিতীয় সূত্র (ক্ষেত্রফলের সূত্র) : যেকোনো গ্রহ ও সূর্যের সাথে সংযোগকারী রেখা সমান সময়ে সমান ক্ষেত্রফল অতিক্রম করে।
- তৃতীয় সূত্র (পর্যায়কালের সূত্র) : প্রতিটি গ্রহের পর্যায়কালের বর্গ সূর্য হতে ঐ গ্রহের গড় দূরত্বের ঘনফলের সমানুপাতিক।
আরো কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ–
১। কার সৌরতত্ত্বের ব্যাখ্যার মাধ্যমে ভৌতবিজ্ঞান বিজ্ঞান হিসেবে চিহ্নিত হয়?
উত্তর : কেপলার।
ব্যাখ্যা : কেপলার কোপার্নিকীয় নীতি প্রয়োগ করে সৌরতত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন। এর ফলে ভৌতবিজ্ঞান বিজ্ঞান হিসেবে চিহ্নিত হয়। এই নীতি অনুযায়ী মহাবিশ্বের দৃশ্য ও অদৃশ্যমান সব বস্তুই সুনির্দিষ্ট ভৌত নিয়ম মেনে চলে। নিউটনীয় বলবিদ্যার মাধ্যমে এই নীতির স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব হয়।
কেপলারের সূত্র নিয়ে এই লেখাটি ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আর কেপলারের সূত্র নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানান, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।