HomeProgrammingপ্রোগ্রামের ভাষা বলতে কি বুঝ?

প্রোগ্রামের ভাষা বলতে কি বুঝ?

কম্পিউটারকে আদেশ-নির্দেশ প্রদান করার জন্যে কম্পিউটার বুঝতে পারে এমন কিছু সংকেত এবং নিয়ম-কানুম ব্যবহার করে প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়। প্রোগ্রাম তৈরি করার জন্যে ব্যবহৃত এসব নিয়ম-কানুম এবং সংকেত সমূহকে একত্রে প্রোগ্রামের ভাষা বলা হয়। ১৯৪৫ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত কয়েকশত প্রোগ্রামের ভাষা আবিষ্কৃত হয়েছে। এ সকল ভাষাকে ৫টি স্তরে ভাগ করা যায়।

১। মেশিন ভাষা

২। অ্যাসেম্বলি ভাষা

৩। হাই লেভেল ভাষা

৪। অতি হাই লেভেল ভাষা

৫। ন্যাচারাল ভাষা।

 

মেশিন ভাষা (Machine Language)

কম্পিউটারের নিজস্ব ভাষাকে মেশিন ভাষা (Machine Language) বলে। মেশিন বা যন্ত্রভাষায় 0 ও 1 এই দুই বাইনারি অঙ্ক অথবা হেক্স পদ্ধতি ব্যবহার করে সব কিছু লেখা হয়। কম্পিউটার একমাত্র যন্ত্রভাষাই বুঝতে পারে, অন্য ভাষায় প্রোগ্রাম করলে কম্পিউটার আগে উপযুক্ত অনুবাদকের সাহায্যে তাকে যন্ত্রভাষায় পরিণত করে নেয়। মেশিন ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামকে অবজেক্ট প্রোগ্রামও বলা হয়।

মেশিন ভাষায় প্রোগ্রাম রচনার সুবিধা :

মেশিন ভাষায় প্রোগ্রাম রচনা জটিল হলেও এ ভাষা ব্যবহারে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমনঃ

  • এ ভাষা ব্যবহার করে কম্পিউটারে বর্তনীর ভুল-ত্রুটি সংশোধন করা যায়।
  • এ ভাষা অনুশীলনের মাধ্যমে কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ সংগঠন সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা সম্ভব।
  • প্রোগ্রাম তাড়াতাড়ি কার্যকর হয়।

মেশিন ভাষায় প্রোগ্রাম রচনার অসুবিধা :

মেশিন ভাষায় প্রোগ্রাম রচনা বেশ জটিল এবং সময়সাপেক্ষ, তাই সাধারণ ব্যবহারকারীরা এ ভাষায় প্রোগ্রাম লিখতে অভ্যস্ত নয়। এ ভাষা ব্যবহারে অসুবিধাসমূহ হলোঃ

  • প্রোগ্রাম রচনা অত্যন্ত ক্লান্তিকর ও সময়সাপেক্ষ।
  • এক ধরনের মেশিনের জন্য লিখিত প্রোগ্রাম অন্য ধরনের মেশিনে ব্যবহার করা যায় না।
  • প্রোগ্রাম রচনার জন্য কম্পিউটারের সংগঠন সম্পর্কে ধারণা থাকা অপরিহার্য।

 

অতি হাই লেভেল ভাষা

অতি হাই লেভেল ভাষাকে চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা বা 4GL বলা হয়। এই ভাষা ব্যবহার করে খুব সহজেই অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা যায়, তাই একে RAD টুল বলা হয়। RAD মানে- Rapid Application Development। ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্টের কাজে ব্যবহৃত ভাষা সমুহকে 4GL হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই ভাষাতে সাধারণ ইংরেজি ভাষা ব্যাবহার করে কম্পিউটারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই ভাষায় কাজ করতে গেলে কোন প্রক্রিয়ার বর্ণনা দিতে হয় না, তাই একে ননপ্রসিডিউলার ভাষাও বলা হয়। যেমন- SQL, NOMAD, FOCUS, Intellect ইত্যাদি।

অতি হাই লেভেল ভাষার সুবিধা :

১। খুব দ্রুত অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা যায়।

২। সাধারণ ইংরেজি ভাষায় নির্দেশ প্রদান করা যায়।

৩। কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ সংগঠন সম্পর্কে জানতে হয় না।

৪। কোন কাজের প্রক্রিয়া বর্ণনা করার দরকার হয় না।

অতি হাই লেভেল ভাষার অসুবিধা :

১। কাজের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা যায় না।

২। কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ সংগঠন সম্পর্কে জানা যায় না।

৩। বেশি মেমোরি দরকার হয়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments