HomeScienceঅম্ল, ক্ষারক ও লবণ (অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান)

অম্ল, ক্ষারক ও লবণ (অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান)

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. টমেটোতে কোন এসিড থাকে?

উত্তর : অক্সালিক এসিড।

প্রশ্ন-২. কোন এসিড খাওয়া যায়?

উত্তর : CH3COOH।

প্রশ্ন-৩. কোনটিতে সাইট্রিক এসিড রয়েছে?

উত্তর : কমলা।

প্রশ্ন-৪. ভিনেগারের রাসায়নিক নাম কী?

উত্তর : এসিটিক এসিড।

প্রশ্ন-৫. তেঁতুলে কোন এসিড থাকে?

উত্তর : টারটারিক।

প্রশ্ন-৬. আঙুর ফলে কোন এসিড থাকে?

উত্তর : সাইট্রিক এসিড।

 

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. লবণ কি?

উত্তর : লবণ হচ্ছে একটি যৌগিক পদার্থ, যা মূলত সোডিয়াম ও ক্লোরিন নামের দুই রকম মৌলিক পদার্থের উপাদান দিয়ে তৈরি।

প্রশ্ন-২. লবণের রাসায়নিক নাম কি?

উত্তর : লবণের রাসায়নিক নাম হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)।

প্রশ্ন-৩. ক্ষার কি?

উত্তর : ক্ষার হলো সেই সমস্ত ক্ষারক যারা পানিতে দ্রবীভূত হয়।

প্রশ্ন-৪. নির্দেশক কাকে বলে?

উত্তর : যে সকল পদার্থ নিজেদের রং পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি বস্তু অম্ল না ক্ষার বা কোনটিই নয় তা নির্দেশ করে তাদেরকে নির্দেশক বলে।

প্রশ্ন-৫. কী থেকে লিটমাস কাগজ তৈরি হয়?

উত্তর : লাইকেন নামক এক ধরনের গাছ থেকে প্রাপ্ত রস থেকে লিটমাস কাগজ তৈরি করা হয়।

প্রশ্ন-৬. সংকেত কাকে বলে?

উত্তর : কোন মৌল বা যৌগের অণুর সংক্ষিপ্ত রূপকে সংকেত বলে।

প্রশ্ন-৭. তড়িৎ বিশ্লেষ্য কাকে বলে?

উত্তর : যে সমস্ত পদার্থ দ্রবীভূত বা গলিত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে তাকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলে।

প্রশ্ন-৮. রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে?

উত্তর : একটি যৌগ অথবা একাধিক মৌল বা যৌগের মধ্যে পারস্পারিক রাসায়নিক পরিবর্তন যে সকল চিহ্ন, প্রতীক ও সংকেতের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করা হয় তাকে রাসায়নিক সমীকরণ বলে।

প্রশ্ন-৯. যোজনী কাকে বলে?

উত্তর : কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ কক্ষপথে যত সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে অথবা যত সংখ্যক বেজোড় ইলেকট্রন থাকে তাকে ঐ মৌলের যোজনী বা যোজ্যতা বলে।

 

প্রশ্ন-১০. ভিনেগার এর সংকেত লিখ।

উত্তর : ভিনেগার এর রাসায়নিক সংকেত CH3COOH।

 

প্রশ্ন-১১. লেবু ও আনারসে কী এসিড থাকে?

উত্তর : লেবু ও আনারসে যথাক্রমে সাইট্রিক এসিড ও ম্যালিক এসিড থাকে।

 

প্রশ্ন-১২. এসিড কি?

উত্তর : এসিড হলো ঐসব রাসায়নিক পদার্থ যাদের মধ্যে এক বা একাধিক হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং যা জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) উৎপন্ন করে।

 

প্রশ্ন-১৩. ক্ষারক কাকে বলে?

উত্তর : যে সকল যৌগ পানিতে হাইড্রোক্সাইড আয়ন প্রদান করে, সে সকল যৌগকে ক্ষারক বলে।

 

প্রশ্ন-১৪. আমলকিতে বিদ্যমান এসিডের নাম কি?

উত্তর : আমলকিতে এসকরবিক এসিড থাকে।

 

প্রশ্ন-১৫. ফসফরিক এসিডের সংকেত লেখো।

উত্তর : ফসফরিক এসিডের সংকেত হলো H2PO4।

 

প্রশ্ন-১৬. অক্সালিক এসিডের সংকেত লেখো।

উত্তর : অক্সালিক এসিডের সংকেত হলো HOOC-COOH.

 

প্রশ্ন-১৭. এসিটিক এসিডের সংকেত কী?

উত্তর : এসিটিক এসিডের সংকেত হলো CH3COOH.

 

প্রশ্ন-১৮. খনিজ এসিড কী?

উত্তর : প্রকৃতিতে প্রাপ্ত নানা রকম খনিজ পদার্থ থেকে উৎপন্ন এসিডকে খনিজ এসিড বলে।

 

প্রশ্ন-১৯. মানুষের পাকস্থলীতে কোন এসিড থাকে?

উত্তর : মানুষের পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড থাকে।

 

প্রশ্ন-২০. পারক্লোরিক এসিডের সংকেত কী?

উত্তর : পারক্লোরিক এসিডের সংকেত হলো HClO4।

 

প্রশ্ন-২১. অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সংকেত লেখো।

উত্তর : অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সংকেত হলো NH4NO3।

 

প্রশ্ন-২২. জৈব এসিড কাকে বলে?

উত্তর : ফলমূল বা সবজিতে বিদ্যমান এসিড, যেগুলোকে খাওয়া যায় তাদেরকে জৈব এসিড বলে।

 

প্রশ্ন-২৩. Milk of lime কী?

উত্তর : পানি ও ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের তৈরি ঘন পেস্ট Milk of lime নামে পরিচিত।

 

প্রশ্ন-২৪. মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়াম কী?

উত্তর : ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড [Mg(OH)2] এর সাসপেনশনকে বলা হয় মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়াম।

 

প্রশ্ন-২৫. মিল্ক অব লাইমের সংকেত লেখো।

উত্তর : মিল্ক অব লাইমের সংকেত হলো Ca(OH)2।

 

প্রশ্ন-২৬. Lime Water কী?

উত্তর : ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের পাতলা দ্রবণকে Lime Water বলে।

 

প্রশ্ন-২৭. চুনের পানির রাসায়নিক নাম কী?

উত্তর : চুনের পানির রাসায়নিক নাম ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড।

 

প্রশ্ন-২৮. খাবার সোডা কী?

উত্তর : খাবার সোডার রাসায়নিক নাম হলো সোডিয়াম বাইকার্বনেট এবং এর সংকেত NaHCO3।

 

প্রশ্ন-২৯. তড়িৎ বিশ্লেষ্য কাকে বলে?

উত্তর : যেসব পদার্থ তড়িৎ প্রবাহের ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে অন্য পদার্থে পরিণত হয় তাদেরকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলে।

 

প্রশ্ন-৩০. লিটমাস কী?

উত্তর : ক্ষার বা এসিড দ্রবণের প্রকৃতি নির্দেশক হচ্ছে লিটমাস।

 

প্রশ্ন-৩১. Mg (OH)2 এর সাসপেনশনকে কী বলে?

উত্তর : Mg (OH)2 এর সাসপেনশনকে এন্টাসিড বলে।

 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. মিল্ক অফ লাইম কি?

উত্তর : মিল্ক অফ লাইম হচ্ছে পানি ও ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের তৈরি পেস্ট। এর অপর নাম স্ল্যাকেড লাইম। এটি পোকামাকড় দমনে ব্যবহার করা হয়।

 

প্রশ্ন-২. আয়ন কাকে বলে?

উত্তর : রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় যে সব পরমাণু বা পরমাণুগুচ্ছ (মূলক) এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জনের মাধ্যমে ঋণাত্মক বা ধনাত্মক চার্জগ্রস্থ হয়, তাকে আয়ন বলে।

 

প্রশ্ন-৩. খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে আইসোটোপ ব্যবহার করা হয় কেন?

উত্তর : খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়। কারণ বিভিন্ন জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া খাদ্যদ্রব্য নষ্ট করে থাকে। তাই ব্যাকটেরিয়াসহ অনেক জীবাণু তেজস্ক্রিয় রশ্মিতে মারা যায়। তাই আইসোটোপের এই তেজস্ক্রিয় রশ্মি খাদ্যদ্রব্যকে জীবাণুমুক্ত করে সংরক্ষণ করে থাকে।

 

প্রশ্ন-৪. ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তর : ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হলো–

হাইড্রোক্সিল মূলকযুক্ত যৌগই হলো ক্ষার। অপরদিকে, ধাতুর হাইড্রোক্সাইড বা ধাতব অক্সাইড হলো ক্ষারক।

ক্ষারসমূহ পানিতে দ্রবীভূত হয়। অপরদিকে, ক্ষারকসমূহ পানিতে দ্রবীভূত হয় না।

 

প্রশ্ন-৫. নির্দেশক কি?

উত্তর : নির্দেশক হলো সেসব পদার্থ যারা নিজেদের রং পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো একটি বস্তু অম্ল, ক্ষার না নিরপেক্ষ তা নির্দেশ করে। যেমন– লিটমাস কাগজ, মিথাইল অরেঞ্জ, ফেনোফথ্যালিন ইত্যাদি নানা রকমের নির্দেশক।

 

প্রশ্ন-৬. কোনো পাত্রে লেবুর রস নিয়ে বেকিং সোডা যোগ করলে পাত্রে ঠাণ্ডা হয় কেন?

উত্তর : কোনো পাত্রে লেবুর রস বা সাইট্রিক এসিড নিয়ে তাতে বেকিং সোডা যোগ করলে সোডিয়াম সাইট্রেট, কার্বন ডাই-অক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়। এই বিক্রিয়ায় তাপশক্তি হ্রাস পায় বলে পাত্র ঠাণ্ডা হয়।

 

প্রশ্ন-৭. পোকামাকড়ের কামড়ে ক্ষতস্থানে চুন লাগাতে হয় কেন?

উত্তর : পোকামাকড়ের কামড়ের ক্ষতস্থানে পোকার শরীর থেকে যে বিষ প্রবেশ করে তাতে অম্লীয় উপাদান থাকে। মানুষ পোকামাকড়ের কামড়ের জ্বালা-যন্ত্রণা নিবারণ করার জন্য ক্ষতস্থানে চুন ব্যবহার করে। কারণ, চুন হলো ক্ষারধর্মী পদার্থ, এটি পোকার কামড়ের ক্ষতস্থানের বিষের অম্লীয় উপাদানের সাথে প্রশমন বিক্রিয়া করে ব্যথা নিরাময় করে।

 

প্রশ্ন-৮. কৃষিক্ষেত্রে প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ কৃষিক্ষেত্রে প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব অনেক। কোনো কোনো এলাকার মাটির এসিডিটি অত্যধিক বা pH মান কম হওয়ায় ভালো ফসল জন্মায় না। এই মাটিতে চুন যোগ করলে মাটির এসিডিটি হ্রাস পায়। চুন ক্ষারজাতীয় পদার্থ, এর রাসায়নিক নাম ক্যালসিয়াম অক্সাইড। চুন মাটির অতিরিক্ত এসিড প্রশমিত করে ফলে মাটির pH মান বৃদ্ধি পায়। আবার, মাটি অতিরিক্ত ক্ষারকে প্রশমিত করে মাটির pH মান হ্রাস করে।

 

কৃষিক্ষেত্রে আইসোটোপ ব্যবহার করা হয় কেন?

উত্তরঃ কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়। যেমন- পতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে আইসোটোপের তেজস্ক্রিয় রশ্মি ব্যবহার করা হয়। কৃষিক্ষেত্রে ফসলের ক্ষতি রোধ করতে, কখন কোন সার কী পরিমাণ ব্যবহার করতে হবে তা জানতে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

 

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১. নিচের কোন ক্ষারকটি পানিতে অদ্রবণীয়?

ক) NaOH

খ) Ca(OH)2

গ) Al(OH)3

ঘ) NH4OH

উত্তর : গ)

 

২. ফেনোফথ্যালিন একটি–

ক) এসিড

খ) ক্ষার

গ) ক্ষারক

ঘ) নির্দেশক

উত্তর : ঘ)

 

 

আরো পড়ুনঃ-

 

১। প্রথম অধ্যায় : প্রাণিজগতের শ্রেণিবিন্যাস, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

 

২। দ্বিতীয় অধ্যায় : জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

 

৩। তৃতীয় অধ্যায় : ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

 

৪। চতুর্থ অধ্যায় : উদ্ভিদের বংশ বৃদ্ধি, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

 

৫। পঞ্চম অধ্যায় : সমন্বয় ও নিঃসরণ, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

 

৬। ষষ্ঠ অধ্যায় : পরমাণুর গঠন, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

 

৭। সপ্তম অধ্যায় : পৃথিবী ও মহাকর্ষ, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

 

৮। অষ্টম অধ্যায় : রাসায়নিক বিক্রিয়া, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

 

৯। নবম অধ্যায় : বর্তনী ও চলবিদ্যুৎ, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

 

১০। একাদশ অধ্যায় : আলো, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

 

১১। দ্বাদশ অধ্যায় : মহাকাশ ও উপগ্রহ, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

 

১২। ত্রয়োদশ অধ্যায় : খাদ্য ও পুষ্টি, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

 

১৩। চতুর্দশ অধ্যায় : পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্র, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments