HomeChemistryপ্রমাণ দ্রবণ কাকে বলে? প্রমাণ দ্রবণের উদাহরণ

প্রমাণ দ্রবণ কাকে বলে? প্রমাণ দ্রবণের উদাহরণ

যে দ্রবণের ঘনমাত্রা সঠিকভাবে জানা থাকে তাকে প্রমাণ দ্রবণ (Standard Solution) বলে। অন্য কথায়, যে দ্রবণে নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রব নির্দিষ্ট আয়তন দ্রবণে বা নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রাবকে দ্রবীভূত থাকে তাকে প্রমাণ দ্রবণ বলে। সাধারণত আয়তন মাত্রিক বিশ্লেষণে মোলার দ্রবণ বা দশমাংশ মোলার দ্রবণ প্রমাণ দ্রবণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণঃ 1M মোলার দ্রবণ একটি প্রমাণ দ্রবণ। কারণ এর নির্দিষ্ট আয়তনে নির্দিষ্ট পরিমাণ দ্রব দ্রবীভূত আছে অর্থাৎ এর ঘনমাত্রা জানা এবং তা 1M।

 

প্রমাণ দ্রবণের প্রকারভেদ

প্রমাণ দ্রবণকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন-

(i) প্রাইমারী বা মূখ্য প্রমাণ দ্রবণ

(ii) সেকেন্ডারি বা গৌণ প্রমাণ দ্রবণ।

  • প্রাইমারী বা মুখ্য প্রমাণ দ্রবণ : বিশুদ্ধ ও শুষ্ক অবস্থায় পাওয়া যায় এরূপ পদার্থের একটি নির্দিষ্ট ওজনকে সরাসরি রাসায়নিক তুলাদণ্ডে ওজন করে ও উপযুক্ত দ্রাবকে দ্রবীভূত করে যে দ্রবণ পাওয়া যায় তাকে মূখ্য বা প্রাইমারী প্রমাণ দ্রবণ বলে। এ ধরনের দ্রবণকে আবদ্ধ অবস্থায় অনেকদিন রেখে দিলেও দ্রবণটির মাত্রার কোনো পরিবর্তন হয় না। এরূপ দ্রবণ প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত পদার্থগুলি বায়ুর প্রতি নিষ্ক্রিয় হয়। অর্থাৎ পদার্থগুলি বায়ু হতে পানি শোষণ করে না বা বায়ুর CO2 এর সঙ্গে বিক্রিয়া করে না এবং বায়ুর অক্সিজেন দ্বারা সাধারণ উষ্ণতায় জারিত হয় না। এ সকল পদার্থকে প্রাইমারী স্টান্ডার্ড পদার্থ বলে। উদাহরণ : অনার্দ্র Na2CO3 এর দ্রবণ, অক্সালিক এসিড (C2H2O4.2H2O) এর দ্রবণ, পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট (K2Cr2O7) এর দ্রবণ।
  • সেকেন্ডারী বা গৌণ প্রমাণ দ্রবণ : কিছু পদার্থ আছে যাদের সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ ও শুষ্ক অবস্থায় পাওয়া যায় না কিংবা যাদের ওজন সরাসরি রাসায়নিক তুলাদণ্ডের মাধ্যমে পরিমাপ করা যায় না। ফলে উপযুক্ত দ্রাবকে দ্রবীভূত করে প্রমাণ দ্রবণ প্রস্তুত করা যায় না। তাছাড়া এসব পদার্থের দ্রবণ অনেকদিন রেখে দিলে দ্রবণের মাত্রার পরিবর্তন হয়। এই সকল পদার্থগুলিকে সেকেন্ডারী বা গৌণ প্রমাণ দ্রব্য এবং এদের দ্বারা প্রস্তুতকৃত দ্রবণকে সেকেন্ডারী বা গৌণ প্রমাণ দ্রবণ বলে। উদাহরণ : NaOH, KOH, HCI, H2SO4, HNO3, KMnO4 প্রভৃতি।

 

এ সম্পর্কিত আরও কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ–

১। প্রমাণ দ্রবণ কেন ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ প্রমাণ দ্রবণ ব্যবহার করা হয় কারণ, প্রমাণ দ্রবণে নির্দিষ্ট আয়তনে দ্রবের পরিমাণ জানা থাকে। যার কারণে টাইট্রেশন প্রক্রিয়ায় প্রমাণ দ্রবণ ব্যবহার করে কোনো একটি অজানা দ্রবণের ঘনমাত্রা নির্ণয় করা যায়। এজন্য প্রমাণ দ্রবণ ব্যবহার করা হয়।

২। মোলার দ্রবণকে ‘প্রমাণ দ্রবণ’ বলা হয় কেন?

উত্তরঃ যে দ্রবণের ঘনমাত্রা জানা থাকে তাকে প্রমাণ দ্রবণ বলে।

নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 1 লিটার বা 1000 মিলি দ্রাবকে কোন পদার্থের 1 মোল দ্রব্য দ্রবীভূত থাকলে তাকে মোলার দ্রবণ বলে।

এক লিটার দ্রাবকে এক মোল দ্রব্য দ্রবীভূত থাকলে দ্রবণের ঘনমাত্রা 1 mol/L বা 1M হয়।

যেহেতু মোলার দ্রবণের নিদিষ্ট আয়তনে দ্রব্যের পরিমাণ নির্দিষ্ট বা জানা থাকে সেহেতু মোলার দ্রবণ একটি প্রমাণ দ্রবণ।

এ কারণে মোলার দ্রবণকে প্রমাণ দ্রবণ বলা হয়।

 

Tags :

  • প্রমাণ দ্রবণ কেন ব্যবহৃত হয়
  • নরমাল দ্রবণ কাকে বলে
  • মোলার দ্রবণ একটি প্রমাণ দ্রবণ
  • ডেসিমোলার দ্রবণ একটি প্রমাণ দ্রবণ কেন
  • সেমি মোলার দ্রবণ কাকে বলে
  • মূল দ্রবণ কাকে বলে
  • ডেসি মোলার দ্রবণ কাকে বলে
  • প্রাইমারি দ্রবণ কাকে বলে
  • মোলার দ্রবণ তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল কেন
  • নরমাল দ্রবণের ঘনমাত্রা কত
  • টাইট্রেশনের মাধ্যমে দ্রবণের ph নির্ণয়
  • মোলার দ্রবণের ঘনমাত্রা তাপমাত্রা নির্ভরশীল
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments