HomeChemistryজৈব যৌগের সমাণুতা কাকে বলে?

জৈব যৌগের সমাণুতা কাকে বলে?

যে সব জৈব যৌগের আণবিক সংকেত এক ও অভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও এদের গাঠনিক সংকেতের ভিন্নতার কারণে এবং অণুস্থিত পরমাণুসমূহের ত্রিমাত্রিক বিন্যাসের ভিন্নতার কারণে এদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মে অন্তত দুই একটা পার্থক্য প্রকাশ পায়, সে সব যৌগকে সমাণু এবং যৌগের এ ধরনের ধর্মকে সমাণুতা (Isomerism) বলে। যেমন, ইথানল (C2H5–OH) ও ডাইমিথাইল ইথার (CH3–O–CH3) উভয় যৌগ পরস্পরের সমাণু। উভয় যৌগের একই আণবিক সংকেত হলো C2H6O, কিন্তু গাঠনিক সংকেত ভিন্ন হওয়ায় এদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মে পার্থক্য ঘটে।

 

সমাণুতার শ্রেণীবিভাগ

সমাণুতাকে প্রধানত দু শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। যেমন,

(ক) গাঠনিক সমাণুতা ও (খ) স্টেরিও ত্রিমাত্রিক সমাণুতা।

 

জ্যামিতিক সমাণুতা কি?

জ্যামিতিক সমাণুতা কার্বন-কার্বন দ্বি-বন্ধন ঘটিত এক ধরনের স্টেরিও সমাণুতা। প্রতিস্থাপিত অ্যালকিন বা অনুরূপ যেসব যৌগের গাঠনিক সংকেত এক কিন্তু তাদের দ্বি-বন্ধনযুক্ত কার্বন দুটির সাথে যুক্ত পরমাণু বা মূলকগুলোর ত্রিমাত্রিক বিন্যাস হওয়ার কারণে যৌগগুলোর ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মে পার্থক্য দেখা যায় তাদেরকে পরস্পরের জ্যামিতিক সমাণু বলে এবং এ ঘটিত বিষয়কে জ্যামিতিক সমাণুতা বলে। দ্বিবন্ধন বিশিষ্ট যৌগসমূহ এবং চাক্রিক যৌগসমূহ জ্যামিতিক সমাণুতা দেখায়। যেমন, বিউটিন-২ এর সিস ও ট্রান্স নামক দুটি জ্যামিতিক সমাণু রয়েছে।

RELATED ARTICLES

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments